আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্মৃতিতে ২০১৩!


আবার নির্বাচন! আবার অবরোধ! বুঝতে পারছেন না ভোট দিতে যাবেন, নাকি ভোট বন্ধ করতে যাবেন? যারা এই দ্বিধায় ভুগছেন, তাদের জন্য ২০১৩ এর শেষ দিনে শেষ ফেসবুক বটিকা। এই বছরের কিছু বিখ্যাত উক্তি থেকে কিছু একটা সমাধান পাওয়া যায় কিনা দেখি।

দেশে নিরাপত্তা নাই, স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নাই? থাকবে কীভাবে, যিনি এই দায়িত্তে আছেন, তার মাথায় কোন ধূসর পদার্থ থাকলে তো। মনে নাই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা প্লাজা ধসের পর ২৪শে এপ্রিল কি বিবৃতি দিয়েছিলেন?
“কিছু হরতাল সমর্থক রানা প্লাজার ফাটল ধরার দেয়ালের স্তম্ভ এবং গেট ধইরা নাড়া দিসিল, নইলে এত বড় একটা দালান কীভাবে নিজে নিজে পড়ে যায়!”
এক হাজারের বেশি মানুষ মরল, তবে আলমগীর সাহেবদের বুদ্ধি বাড়ল না।
অবশ্য দেশের মানুষের স্মরণশক্তি বড়ই ক্ষীণ।

আমরা যেমন অতীত দ্রুত ভুলে যাই, আবার ভবিষ্যতও দেখতে পাই না।

তবে আশার কথা, আমাদের নতুন প্রজন্মের নেতা জয় সাহেব কিন্তু ভবিষ্যৎ দেখেন। মনে নাই ২৩শে জুলাই উনি কহিলেন, “আমার কাছে তথ্য আছে, লীগ আবার ক্ষমতায় আসিবে”।
একদলীয় নির্বাচন দেখে এখন তো মনে হয়, ভুল বলেন নাই তিনি!

বিদ্যুতের প্রয়োজনীয় উৎপাদনের পরও কেন লোডশেডিং, এই প্রসঙ্গে ৪ই আগস্ট আমাদের ডিজিটাল প্রধানমন্ত্রী কহিলেন, “আমি নিজেই দিনে দুই ঘণ্টা লোডশেডিং দিতে বলেছি, এই দেশে লোডশেডিং ছিল – নইলে এটা লোকে ভুলেই যাবে। ”

ও আচ্ছা, ভাবছেন শুধু লীগ আর হাসিনার বদনাম করছি!!
আমাদের লিপস্টিক বেগমের একটা কথাও বেশ মনে আছে।

উনি ২১শে অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে বলিলেন, “৯৬ ও ২০০১ সালের সরকারে থাকা ২০ জন উপদেষ্টাদের মধ্য থেকে সরকার ৫ জন এবং বিরোধী দল ৫ জনের নামে প্রস্তাব করলেই তো ল্যাঠা শেষ। “
উনি অবশ্য জানিতেন না যে, উপদেষ্টাদের মাত্র ১৪ জন এখন জীবিত আছেন এবং জীবিতদের অনেকেই আর উপদেষ্টা হতে রাজি নন। উনি ব্যস্ত থাকেন শাড়ীর সাথে রঙ মিলিয়ে লিপস্টিক দিতে, খোঁজ খবর নিয়ে বক্তৃতা দেবার সময় কই!

তৃতীয় পক্ষের খবর আরও মজার! প্রথম পাল্টিতে এরশাদ ১১ই নভেম্বর কহিলেন, “সব দলের অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচনে গেলে মানুষ আমাকে থুতু দেবে। তারচেয়ে জেল উত্তম। ” দ্বিতীয় পাল্টিতে বললেন, “এই সরকারকে সরাতে হলে দরকার নির্বাচনের।

নির্বাচনে না গেলে মানুষ থুতু দেবে। ” তৃতীয় পাল্টিতে তিনি আপাতত নির্বাচনে না যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

(যাহারা জামাত শিবিরের বক্তব্যের অপেক্ষায় আছেন, তাদের জন্য দুঃসংবাদ। রাজাকার এই দলটি ফাকিস্তানের একটি শাখা, ইহাদেরকে আমি বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল বলে গণ্য করি না। )

তাহলে কি করা যায়, কারে রেখে কারে ভোট দেবেন? ঘুরে ফিরে তো আবার এরা এরাই!

ক্ষমা চাই, উত্তর আমার কাছেও নাই।

তবে ডিসেম্বরের ১ তারিখ অবরোধের আগুনে পোড়া গীতা সরকার মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে তাকে দেখতে যাওয়া প্রধানমন্ত্রীসহ সকল রাজনীতিবিদদের উদ্দেশ্যে একটা কথা বলেছিলেন।

“আপনাদের আমরাই তৈরি করছি, আপনারা আমাগো তৈরি করেন নাই। আমরা খাই আমাগো স্বামীরটা, আপনাগোর না। ”

ভোট যারেই দিন, ক্ষমতায় যেই অপদার্থই আসুক, অন্তত আসুন নতুন বছরে স্মৃতি শক্তিটাকে একটু শাণ দিয়ে রাখি।

 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।