গ্রামের মেঠো পথে হেঁটে যেতে যেতে , গরুর গাড়ী দেখিনি আমি দেখিনি আমি দুরন্ত বালকের রসের টিলায় ছোঁড়া নির্ভুল গুলতি সোনালী ধানের মাঝে আলের পথে হয়তো কাউকে দেখি, তবু দেখি না সেই দৃষ্টি। দেখবো না আমি কখনো পালতোলা নৌকা ঢেঁকিতে ভাঙ্গা ধান কাঁচা রসের গন্ধে কি শিহরন, বুঝবো না আমি হয়তো দেখবনা ছনের ঘরে মাটির চুলায় উৎসব করে বানাতে পিঠা মধ্যরাতে পাব না – মোরগ-কোর্মার আতীথেয়তা শীতের রাতে জড়াবো না নকশী কাঁথা জ্যোৎস্না রাতে বিস্তৃত উঠানে শুনবো না কখনো পুঁথি পাঠ শুনবো না কখনো কুপির আলোয় গ্রাম্য বালকের উচ্চস্বরে পাঠ “পাখি সব করে রব” অনুভূতিতে থাকবে না হেমন্তের বিকাল নতুন চালের উৎসব হয়তো দেখা হবে না সাঁঝের বেলায় দেখবো না কঁচুর পাতার আলোক বাজি। নদীর ধারে কখনো দেখা হবে না নানান রঙের ঘুড়ি মুগ, কলাই, রবি শস্যে আর সাদা কাঁশফুলে হয়তো বুঝবো না কোন ঋতু। দেখবো না কাঁঠাল গাছে নানা রঙের পাতায় দোয়েল পাখি। দেখবো না গাছের ফাঁকে কাঠ ঠোকরা, হলুদ পাখি আর ভাঙ্গা কলসীর মাঝে অজস্র মুনিয়া। ( একটা কবিতা দিয়ে শুরু করলাম। ছোট বেলায় স্কুল ছুটি হলে চট্টগ্রাম থেকে গ্রামের বাড়ী নড়াইল বেড়াতে যেতাম, সেই অনুভূতি থেকে এই স্মৃতিকাতরতা মূলক লেখা। )
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।