বর্তমানে নির্বাচন কমিশন যে ধরনের আচরণ করছে, তা সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বিরাট বাধা বলে মন্তব্য করেছেন বেসরকারি সংস্থা সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনের ২০০৮ সালের আচরণবিধি ও গতকাল চূড়ান্ত হওয়া আচরণবিধি প্রসঙ্গে বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, বিদ্যমান আচরণবিধির তুলনায় নতুন আচরণবিধিতে ‘নির্বাচন-পূর্ব সময়ের’ পরিমাণ অর্ধেক কমিয়ে আনা হয়েছে। এতে কোনো অজ্ঞাত কারণে নিজের ক্ষমতাই খর্ব করেছে কমিশন।
সুজনের সভাপতি আরও বলেন, সংবিধানের ১২৩ (৩)-এর ধারা অনুযায়ী সংসদের মেয়াদের শেষ ৯০ দিন ‘নির্বাচনকালীন সময়’, যা বিদ্যমান আচরণবিধিতে ‘নির্বাচন-পূর্ব সময়’ বলে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
সংবিধান নির্দেশিত নির্বাচনকালীন সময়ে কমিশনের রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করার কথা। সংবিধান কমিশনকে এ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা ৯০ দিনের জন্য দিলেও আচরণবিধি সংশোধনের মাধ্যমে কমিশন তা অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে, যার কারণ বোধগম্য নয়। কমিশনের চূড়ান্ত করা এ আচরণবিধি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সুজনের সম্পাদক বলেন, গত ২৭ অক্টোবর থেকে নির্বাচনকালীন সময়ের সূচনা হলেও ক্ষমতাসীন দল বিনা দ্বিধায় নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী সরকারি ব্যয়ে ও অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছেন ও বিভিন্ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করছেন এবং অন্যান্য উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী জনসভা করে নিজ দলের পক্ষে ভোটও চাইছেন। নিঃসন্দেহে এসব কর্মকাণ্ড আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে।
বিদ্যমান আচরণবিধির ১২ নম্বর ধারা অনুযায়ী কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বা তার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী অথবা তাঁদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি নির্বাচনের তারিখের আগের ২১ দিন কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচার করতে পারবেন না। তবে বর্তমান নির্বাচন কমিশন তাদের চূড়ান্ত করা আচরণবিধি থেকে এ ধারাটিই তুলে দিয়েছে।
একতরফা নির্বাচন হলে সহিংসতা বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে বদিউল আলম মজুমদার সবার অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার কর্মী ও সুজনের নির্বাহী সদস্য হামিদা হোসেন। তিনি বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নির্বাচন হয় নাগরিকদের জন্য। আর বাংলাদেশে দুটো দলের মধ্যে লড়াই হচ্ছে। এ লড়াইয়ে রেফারিও থাকছে না। সরকারি দলের প্রচার-প্রচারণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসব কাজে কমিশন কোনো বাধা দিচ্ছে না।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।