আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিলেটে বন বিভাগের বাগান উজাড় করে পাথর ব্যবসা!

সিলেটের পর্যটন কেন্দ্র জাফলংয়ের নিকটবর্তী গোয়াইনঘাটের তামাবিলে বন বিভাগের সৃজিত বাগান উজাড় করে পাথর ও কয়লার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রভাবশালীরা। রাতের আঁধারে বাগানের গাছ ও টিলা কেটে তারা তৈরি করছেন ডাম্পিং ইয়ার্ড। অবাধে গাছ কাটায় বন বিভাগের 'গ্রিন পার্ক'টি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়েছে। এরই মধ্যে গ্রিন পার্কের প্রায় ২০ একর জায়গা প্রভাবশালীদের দখলে চলে গেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র দাবি করেছে। প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে আবেদন করলেও কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় বন বিভাগ অসহায় হয়ে পড়েছে।

জানা যায়, ২০০৭ সালে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিলে বেদখল হয়ে যাওয়া ৫৩৭ একর জায়গা দখলমুক্ত করে 'গ্রিন পার্ক' গড়ে তোলার কাজ শুরু করে বন বিভাগ। পার্কটিতে লাগানো হয় নানা জাতের গাছগাছালি। তৈরি করা হয় পর্যটকদের জন্য রেস্ট হাউস। ২০১০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রিন পার্কটির উদ্বোধনও করা হয়। কিন্তু উদ্বোধনের পর থেকেই স্থানীয় প্রভাবশালীরা আবারও বন বিভাগের জায়গা দখলের চেষ্টা চালাতে থাকেন।

তারা গ্রিন পার্কের গাছ ও টিলা কেটে কয়লা, পাথর, চুনাপাথরের ডাম্পিং ইয়ার্ড তৈরি করেন। প্রায় চার বছর ধরে বাগান ধ্বংস করে জায়গা দখল চলে এলেও বন বিভাগ রহস্যজনক কারণে নীরব রয়েছে।

সরেজমিন দেখা যায়, গ্রিন পার্কের বিভিন্ন স্থানে গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। টিলার উপরিভাগের মাটি সমান করে স্তূপাকারে রাখা হয়েছে পাথর ও কয়লা। স্থানীয়রা জানান, প্রতি রাতেই কাটা হয় গাছ ও টিলা।

আর দিনের বেলা এসব জায়গায় প্রভাবশালীরা পাথর ও কয়লা মজুদ রাখেন। অনেকে আবার দখলকৃত জায়গা ভাড়াও দিয়েছেন। স্থানীয়রা আরও জানান, গ্রিন পার্ক দখল করে যারা ডাম্পিং ইয়ার্ড তৈরি করে ব্যবসা করছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল গ্রামের আবদুর রব, একই গ্রামের জয়নাল মিয়া, শামসু মিয়া, রুবেল মিয়া, কালীনগরের ইসমাইল আলী, সোনাটিলার জহির আলী।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।