ডাক্তার সাজিয়া আফরিন ইভা মারা যাবার পর তার বাবা -মা তা জানতে পারেন , সকালে তারা ক্লিনিক এ যাবার পর ...ডাক্তার ইব্রাহিম ফোন করে , বলেন তাঁর বাবা -মা কে ...আপনারা আসেন , আপনার মেয়ে অসুস্থ । । তারা গিয়ে দেখেন , তাঁর মেয়ে আর নেই ...তাঁর মৃত দেহ তাঁর রুম এ মেঝেতে শুয়ানো ...খুব সুন্দর করে গুছিয়ে সব কিছু ...যেমন ...উত্তর দিকে তাঁর মাথা , গলায় উড়না ভাজ করে দেওয়া , চোখ বন্ধ , হাত গুছানো , কাপড় সব গুছানো ...তিন তলায় আর একটি স্টোর রুম এ মশারি টানানো ......যেহেতু ডাঃ সাজিয়ার বাবাও একজন পুলিশ এর কর্মকর্তা ...সেহেতু তাঁর মনে ...স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্নো জাগে ঐ রূম এ কে গুমিয়েছিলেন । । সে তখন ঐ ক্লিনিক এ কর্মরত নার্স , দারোয়ান কে তা জিজ্ঞেস করেন ...কিন্তু তৎক্ষণাৎ তারা বলেন তারা তা জানেন না ...তখন সেখানে উপস্থিত ডাঃ সাজিয়ার মামা ও তাঁর বাবা মিলে তাদের ভালো ভাবে জিজ্ঞেস করার পর তারা বলেন যে ঐ রুম এ ফয়সল থাকেন ।
। ঐ কথা বলার আগে ঘাতক ফয়সল ঐ ক্লিনিক এ অবস্থান করছিলেন । । দারোয়ান এর কথা শুনার পর সে পালিয়ে যায় । ।
ঐ রাতে তিন ্তলায় ...ডাঃ সাজিয়া , ফয়সল আর যে রোগির সাজিয়া ডেলিভারি করিয়েছিলেন তাঁর মা । । অবস্থান করছিলেন । । কিন্তু সেই মা বলেন সে কোন চিৎকার শুনেন নি ...নীচে তলার নার্স অবস্থান করছিলেন ...সেও নাকি কিছু শুনেন নি ।
। আমি নিজে যে এপার্টমেন্ট এ থাকি তা ৭ তলা ...রাতে রাস্তায় যদি কেউ কথা বলে তাও আমি শুনতে পাই ......কিন্তু ঐ ফ্লাট এ অবস্থান রত ...নারস , দারোয়ান , রোগির লোক , উপর তলায় বাড়ী ওয়ালা কেউ কোন চিৎকার শুনে নি কেনো ...??? এটা কি বিশ্বাস যোগ্য ...??? তাহলে কে ডাঃ সাজিয়াকে সাজিয়ে গুছিয়ে শুয়ায়ে রাখলো ...??? তারা কি ঐ ক্লিনিক এর লোক নয় ... যে হত্যা করেছে সাজিয়াকে তাঁর একার পক্ষে সম্ভব নয় .. এভাবে গুছিয়ে রাখা ... সাজিয়ার রুমের দরোজা সকালে খোলা পাওয়া যায় ...সারা রাত কি নার্স একবারো ঐ সদ্য প্রসূতিকে দেখতে আসেন নি ...?? তা হলে সে কেন দেখতে পেলো না ডাঃ সাজিয়ার লাশ ...??? ঐ রোগীর লোক কি সারা রাত একবারো ডাক্তার কল দেন নি ...??? তাহলে তারা রাতে কেন ডাঃ সাজিয়ার জন্য কাউকে ডাকেন নি ...?? ডাঃ ইব্রাহিম ...যে সাজিয়াকে ডেকে নিয়েছিলো ডিউটি করার জন্য ...ডাঃ তাহমিনা ( ওই ক্লিনিক এর ইনচারজ ) এর পরামর্শে ...তারা কেনো রাতে ফোন করে সাজিয়ার বাবা -মা কে বলল না কিছু ...??? তা হলে কি সবাই জানে কে খুনি ...??? ডা সাজিয়ার বাবা- মার ধারনা সবাই জেনেছে রাতেই । । কিন্তু তাদের সকালে জানানো হয়েছে ......আজ পর্যন্ত ডাঃ তাহমিনা তাদের সাথে ফোন করে একটিবার কথা বলে ......সমবেদনা জানান নি ...কিন্তু তাঁর পরামর্শে ই সাজিয়াকে ডেকে নেওয়া হয়েছিলো ডিউটিতে ...এ কেমন মানবতা ...??? ব্রাক এর পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত ডাঃ তাপস রয় ( প্রোগ্রাম কো-অরডিনেটর হেলথ ) ও ইকরামুল ইসলাম ( আসোসিয়াট ডিরেক্টর হেলথ ) সাজিয়ার বাবা-র সাথে যোগাযোগ করেছে বাট তা সন্তোষ জনক নয় । ।
ব্রাক যা সংবাদ পত্রে বলেছে তাঁর কিছু কি তারা করছে ...তা তাদের জানা নেই ...আজ তারা খুব অসহায় জীবন যাপন করছে ...তাঁর মায়ের , তাঁর নানীর চোখে যে পানি আমি দেখেছি তা আমদের বঙ্গোপসাগরকে হার মানাবে ...আমি সহ্য করতে তা পারছি না ...সাজিয়া ছিলো শান্ত , সৎ , মহৎ , আত্মকেন্দ্রিক , মেধাবী , পরহেজগার , অমায়িক ব্যবহার , নির্লোভী একজন ডাক্তার । । আমার বলার আরো কথা আছে ...আমার দুই চোখ ভিজে একাকার ...আজ আর লিখতে পারছি না ... আপনারাই বলুন এই মেয়েটির জন্য আমাদের কি কি করনীয় ...???
Justice for Dr. Sajia Afrin Eva ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।