আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছাত্রদের পড়ালেখায় মনোযোগী বানানোর চৈনিক বুদ্ধি !

গুরু সিরাজ সাঁই

চিন্তা করুন আপনি MSc স্টুডেন্ট, ক্লাস ফাঁকি দিলে কিংবা থিছিছের কাজ ঠিকমত না করলে সঙ্গে সঙ্গে উহা আপনার বাবা-মা জেনে যায় ! হুম এটাই চৈনিক সিস্টেম আমাদের department এর এক শিক্ষক তার অধীনস্ত MSc ছাত্রদের বাপ-মা কে ফোন করে, শুনলাম কিছুদিন আগে এক চাইনিজ পোলার মা'রে ফোন করে বাড়ি থেকে ক্যাম্পাসে আনাইছিল এবং অভিভাবকের সামনে ছাত্ররে পড়ালেখার ব্যাপারে ছবক দিছে. পোলাডা এ্যাকচুয়ালী পড়ালেখা করে কিন্তু তা প্রফেসরের এক্সপেকটেশন অনুযায়ী নয়. kindergarten থেকে MSc সব ছাত্রের বাব-মায়ের মোবাইল নম্বর শিক্ষকরা জানে, কেউ ক্লাসে অনুপস্হিত থাকলে বা কোন ঘটনা ঘটলেই সরাসরি অভিভাবকের সাথে কথা বলে; ব্যাপারটা অনেক সময় নেগেটিভ মনে হলেও সত্যি বলতে কি এতে করে পোলা মাইয়্যাদের বখে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না. ইউনিগুলো সব সরকার নিয়ন্ত্রিত হলেও এক এক ইউনির টিউশন ফি এক এক রকম, আবার রেজাল্টের পর ভিত্তি করে যেমন এত % marks পেলে ৫০% waiver কিংবা এত % marks পেলে পুরোই ফ্রি. এতে করে আপনি দেখবেন চাইনিজ সকল ছাত্রই পড়ালেখা করে, আমাদের পাবলিক ইউনির মত নয়; backlog পেলেও নো প্রোব ! অনেকে আছে ইউনিতে এডমিশন হওয়ার পর পলিটিক্স কিংবা অন্যান্য কিছুতে জড়িয়ে পড়ে ক্লাসও ঠিকমত করে না. আমি যে ইউনিতে আছি এটাতে চাইনিজ MSc ছাত্রদের প্রতি সেমিস্টারে টিউশন ফি ৪,৫০০ ইউয়ান আর ডরমের জন্য বছরে ১২০০ ইউয়ান. হলে তোষক, বালিশ সব অথরিটি দেয়; বিদ্যুৎ, খাবার পানির ক্ষেত্রে একটা লিমিট অবধি ফ্রি. টিউশন ফি বাঁচানোর চিন্তা থেকে ছাত্রদের পড়ালেখার ব্যাপারে সিরিয়াস হওয়ার ব্যাপারটা আমার কাছে বেশ লেগেছে! ছাত্রদের জন্য ইউনি এডুকেশন লোনের ব্যবস্হা করে, আর হ্যাঁ অবশ্যই তা পরীক্ষার রেজাল্টের উপর ভিত্তি করে. MSc ছাত্রদের ৭,০০০ ইউয়ান দেয় যা সুদমুক্ত এবং জব পাওয়ার পর শোধ করতে হয়. চীনা গভ: এমন ব্যবস্হা করে রাখছে ছাত্ররা ব্যাটারা তোরা আবার পড়ালেখা করবি নাহ, না করলে পয়সার ফ্যাকড়ায় পড়বি! পয়সা এমন এক জিনিস যা মানুষের সামনে ঝুলাইয়া রাখলে অন্তত ওর লোভে হলেও কোমড়ে গামছা বাইন্ধ্যা পড়বে মেধাবী গ্র্যাজুয়েটদের স্কুল শিক্ষক বানানোর চৈনিক বুদ্ধি- Varsity admission টেস্টে যারা ভাল করে তাদের জন্য সরকারের তরফ থেকে এক ধরনের স্কলারশীপের অফার দেওয়া হয়. টিউশন ফি তো লাগবেই না বরং মাস মাস ১,০০০ ইউয়ান ! বিনিময়ে ব্যাচেলর শেষে হাই স্কুলে যোগদান করতে হবে. যারা গরীব মেধাবী ছাত্র, বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ চালানোর মত সামর্থ নাই এরা এধরনের অফার লুফে নেয়. এই চৈনিক নীতির কারনে একদিকে যেমন গরীব ছাত্ররা উচ্চশিক্ষার সুযোগ পায় তেমনি স্কুলের ছাত্ররাও গাইড হিসেবে মেধাবী শিক্ষক পায়. মানুষের সংসারের টানাটানি তো আর সব সময় এক রকম যায় না, কপাল খুলতেও পারে তাই কেউ যদি চায় স্কুলের জব ছেড়ে দিয়ে অন্য প্রফেশনে যাবে সেক্ষেত্রে চলে যেতে পারবে! নো প্রোব, জাষ্ট গভঃ তার পিছে যত টাকা ঢালছে সেটা ব্যাক দিতে হবে এবার আসেন ইউনির শিক্ষকদের পাবলিকেশন বাড়ানোর চৈনিক বুদ্ধি জানি ! কনফারেন্স, পেপার পাবলিশ করলেই গভঃ থেকে পয়সা পায় ; যত পেপার তত পয়সা. শুনেছি প্রমোশনের ক্ষেত্রেও নাকি সিস্টেম হল, অমুক পদে পদাসীন হতে গেলে এই কয়টা পেপার লাগবে! বিশ্ব র্যাংকিংয়ে ইউনির পজিশন উপরে উঠানোর জন্য পেপার পাবলিশের উপর গুরুত্ব দিতেই গভঃ... শিক্ষকদের সামনে পয়সা ঝুলাইয়া রাখে

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.