বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ফখরুল শুক্রবার টেলিফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে সংকটের সমাধানে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে সরকারকে সংলাপে বসার অনুরোধ জানানো হলেও তাদের তরফ থেকে কোনো সাড়া মিলছে না।
“আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সাহেবকে টেলিফোনে পাচ্ছি না। দুই দিন ধরে তার সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে যাচ্ছি। টেলিফোনে তার কোনো জবাব পাচ্ছি না। ”
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া পাল্টাপাল্টি প্রস্তাব দেয়ার পর গত ১০ নভেম্বর সৈয়দ আশরাফের সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয় ফখরুলের।
ওইদিনই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে সংলাপের উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে একটি চিঠি দেন বিএনপির মুখপাত্র।
“তিনি আমাকে জানিয়েছিলেন, তিন-চারজনের প্রতিনিধি নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হতে পারে। বলেছিলেন, সংলাপে বসতে হলে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি লাগবে। তার সঙ্গে আলাপ করে আমাকে বিষয়টি জানাবেন। আমি তাকে বলেছি, আপনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলুন।
’’
কিন্তু এরপর আর সৈয়দ আশরাফের পক্ষ থেকে কোনো টেলিফোন পাননি বলে জানান ফখরুল।
তিনি বলেন, “পরে আমিই যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। ”
এরইমধ্যে ২৯ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়ার টেলিফোনে কথা হয়। সে সময় প্রধানমন্ত্রী হরতাল প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে গণভবনে বসার আমন্ত্রণ জানালেও খালেদা জিয়া বলেন, হরতাল শেষ না করে তিনি আমন্ত্রণ গ্রহণ করতে পারবেন না।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের দাবি পরিষ্কার, নির্বাচনকালীন সময়ে একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা।
এ বিষয়ে আমরা একটা সমাধান চাই। ”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দাবি, কেবল বিএনপি নয়, দেশের ‘৯০ শতাংশ মানুষ’ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়।
সব দলের অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোও নির্দলীয় একটি সরকারকে দেখতে চায় বলে দাবি করেন তিনি।
ফখরুল বলেন, “সংকট নিরসনে সংলাপে সরকারের কোনো আগ্রহ নেই। তাদের উদ্যোগ নেই।
সব মিলে আমার কাছে মনে হচ্ছে- সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতি ভ্রুক্ষেপ করছে না। তারা একদলীয় নির্বাচনের নীল নকশার পথে হাঁটছে। ”
গত ৮ নভেম্বর বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের পক্ষ থেকে ফখরুল টানা তিন দিনের হরতাল ঘোষণার পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির তিন সদস্যসহ পাঁচ নেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই রাতের পর তিনি আর প্রকাশ্যে আসেননি।
বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, ফখরুল ‘নিরাপদ স্থান’ থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।