আবারও যে কখনো ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন, সেটা হয়তো জেসি রাইডার নিজেও ভাবেননি। গত মার্চে নিউজিল্যান্ডের একটি পানশালার বাইরে বেধড়ক মার খেয়ে চলে গিয়েছিলেন কোমায়। জীবন আর মৃত্যুর মাঝখানে সুতোর ওপর ঝুলছিল তাঁর জীবন। শেষ পর্যন্ত মৃত্যুদুয়ার থেকে ফেরা সেই রাইডার খুব শিগগির হয়তো ফিরবেন জাতীয় দলেও। ২৯ বছর বয়সী রাইডার ডাক পেয়েছেন নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলে।
এ মাসের শেষেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন দিনের একটি ম্যাচ দিয়ে ক্রিকেট ক্যারিয়ারের পুনর্জন্ম ঘটাবেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
রাইডার সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। এরপর ছিলেন স্বেচ্ছা-নির্বাসনে। এরই মধ্যে এ বছরের মার্চে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের একটি পানশালায় সেই মারামারি। মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে দুদিনেরও বেশি সময় ছিলেন কোমায়।
সাত দিন হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যার পর কাটাতে পেরেছিলেন মৃত্যুশঙ্কা।
কিন্তু দুর্দশার আরও বাকি ছিল নিউজিল্যান্ডের খেয়ালি এই ক্রিকেটারের। কিছুটা সুস্থ হয়ে আবারও ক্রিকেট ক্যারিয়ারটার কথা ভাবা শুরু করতে না করতেই পেয়েছিলেন নিষেধাজ্ঞা। ডোপ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হতে পারায় রাইডারের ওপর এই নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল গত ১৯ এপ্রিল। গত মাসে এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরই আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন রাইডার।
তবে এর আগে প্রমাণ করতে হবে নিজেকে।
আবারও ব্যাট-বলের লড়াইয়ে ফেরার সুযোগ পেয়ে সেটা অবশ্য ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের এই মারমুখী ব্যাটসম্যান। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে খেলতে নেমে প্রথম ম্যাচেই করেছিলেন সেঞ্চুরি। মূল জাতীয় দলে ফিরতে যে এখনো অনেক ঘাম ঝরাতে হবে, সেটা উপলব্ধি করেছেন রাইডারও। তবে ‘এ’ দলে সুযোগ দিয়ে রাইডারকে সবুজ সংকেতই দিয়েছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড।
জাতীয় দলের নির্বাচক ব্রুস এডগারও বলেছেন, ‘জেসকে আবার নিউজিল্যান্ড দলে দেখতে পাওয়াটা হবে দারুণ ব্যাপার। এটা তার জন্য একটা সুযোগ। তাঁকে এখন প্রমাণ করতে হবে যে সে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দেখাতে পারবে। ’
মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরা রাইডার ক্রিকেট অঙ্গনে দাপটের সঙ্গেই ফিরতে পারবেন কি না, সেটাই দেখার বিষয়। আগামী ২৭ তারিখ থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন দিনের ম্যাচ খেলবে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দল।
রয়টার্স।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।