আমি অতি সাধারণ । বিদ্যাকে আমি মুক্ত হস্তে দান করি । বিকলাঙ্গ জীবন বা জাতি আমার সব চাইতে অপছন্দের । চরম কিছু ভাবনা ও উদ্দেশ্যকে নিয়ে জীবনটাকে সাজায় । আমার জীবনে সবচাইতে ৩টি জিনিস বেশী আকর্ষণ করে ।
একটি হল স্ববিশ্বাসী দ্বিতীয়টি উন্মুক্ত চিন্তা চেতনা এবং অন্ শিশু মহাবিশ্ব ও তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ
[Infant Universe and a Brief
Description]
প্রযোজিত কোন কাজ
করতে হলে আতাদমস্তক সকল উপাদানের
উপস্থিতির প্রযোজন হয় ,প্রযোজন হয় কিছু উপস্থিত বুদ্ধির ।
নয়তো In a fixed হয়ে যেতে হয় । যেমন,আপনি অ্যালজেবরার কোন একটা মান নির্ণয় করতে যাচ্ছেন । এ ক্ষেত্রে আপনার
প্রযোজন হবেঃ
১. কয়েকটি মৌলিক সূত্রের ।
২. দ্বিতীয়ত আপনার জানতে হবে সূত্রের
প্রযোগ বিধি ।
৩. এরপর কিছু কৌশল বা Technic এর ।
ঐ জিনিস গুলো আয়ত্ব করতে পারলে আপনি মুটামুটি মান নির্ণয় করতে পারবেন ।
¤ এতে আমরা কি বুঝলাম ?
হ্যা এতে আমরা বুঝতে পারলাম যে , কোন
কিছুর শিক্ষা নিতে চাইলে প্রথমে তার
উৎস , বৈশিষ্ঠ তথা তার ধর্ম
সম্পর্কে বিশেষ বা সাধারণ
ধারণা থাকতে হবে ।
এখন আমার মূল প্রসঙ্গে যাই ।
মূল প্রসঙ্গে যাবার আগে আমি উল্লেখ "আদি-ইতি" -এর উদাহরণ দিলাম যাতে পরের বিবরণটি বুঝতে যেন কারও কষ্ট না হয় ।
প্রাণ থেকে মহাশূণ্য [From Soul to
Universe]
আমাদের বর্তমানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ।
অবিশ্বাস্য অথবা বিশ্বাস্য সকল কিছু
দেখতে ও ব্যবহার করতে পারছি আমরা ।
আমরা কি কখনো চিন্তা করেছি কি তার
আদি আর কোথায় তার অন্ত ?
হে এটা চিন্তা করারই ব্যাপার ।
আমরা মানুষ ।
আমরা এই ধরণীর বুকে ধারণ করা শ্রেষ্ঠ
জীব ।
কারণ আমরা যা পারি তা এ
পৃথিবীতে বসবাস রত সকল বস্তু বা প্রাণীর
পক্ষে অসম্ভব ।
মানুষের বা প্রকৃতির উৎস হিসেব
করলে আমরা দেখতে পাই কোন না কোন
ভাবে মানুষ বা অন্যান্য জীব/প্রাণী/বস্তু এ
কঠিন মৃত্তিকা থেকেই আগত ।
তাহলে পৃথিবীর উৎস কি ?
বিজ্ঞানীদের চিন্তামতে , এ কার্বন
গ্রহটির সৃষ্টি সুদূর অতীতে আমাদের
নক্ষত্রের অর্থাৎ সূর্যে কাছ
থেকে ছিটকে পরা একটি অংশ বিশেষ ।
এখন প্রশ্ন হল নক্ষত্রেরই
বা সৃষ্টি কোথা থেকে ?
প্রাচীন যুগ থেকে মানুষের চিন্তা চেতনার
সম্প্রসারণের ফলে এই সৃষ্টির রহস্যটা আরও
গভীর থেকে গভীরতর হয়ে যাচ্ছে ।
এখনকার বিজ্ঞান বলে যে , " এই সমস্ত
মহাবিশ্বের কেন্দ্র কেবল সূর্য না ।
মহাবিশ্বের চিন্হিত বা আনুষ্ঠানিক কোন
কেন্দ্র নেয় । তবে নিয়ম-নীতির
তাগিদে এর কেন্দ্র একটা অতি বৃহৎ(Super
Massive)
তারা থাকতে পারে বলে চিন্তা করছেন ।
এর সামান্য বিবরণ দেওয়া দরকার।
আমাদের মহাবিশ্বের সু সঙ্গত কোন আকার
অকল্পনীয় । " কোন বস্তুর ভর (Mass)
ও তার ওজন (Weight) কে কেন্দ্র করেই
তার মধ্যাকর্ষণ শক্তি নির্ণয় করা হয়
"।
তাহলে আমরা সাধারণ
ভাবে কি বুঝতে পারি ?
কোন বস্তুর ভর ও ওজন যত বেশী সে বস্তুর
আকর্ষণ শক্তিও তত বেশী । এখন
একটা ছোট্ট উদাহরণ দেয় , একটা বাই-
সাইক্যালের ওজন ২০ কে.জি. এবং ভর (সমগ্র বস্তুটির মোট পদার্থের পরিমাণ) ও একই
। অন্যদিকে একটি মুটর সাইক্যলের ওজন
১২৫ কে.জি. এবং ভরও একই । বাতাসের
উপস্থিতিতে বস্তুদ্বয়কে কোন উঁচু দালান
থেকে একসাথে ফেললে অবশ্যই মুটর
সাইক্যালটি আগে পড়বে । কারণ আগের
সূত্রটির অনুসারে ।
এই
পরীক্ষাটি গ্যালিলিও গ্যালিলিই পাতলা ও
ভারী বস্তুকে একসাথে উঁচু দালান
থেকে ফেলে পরীক্ষা করেছিলেন ।
এই সৌর জগৎ কোটি কোটি বছর
আগে একটা বৃহৎ বিষ্ফোরণের
ফলে সৃষ্টি হয়েছিল । যার বিজ্ঞান সম্মত নাম বিগ ব্যাং(Big Bang) । এডুইন হাবল প্রথমে এই তত্ত্বটি আনুষ্ঠানিক
ভাবে উপস্থাপন করেছিলেন । কিন্তু
ইতিহাস পর্যবেক্ষণ করলে দেখতে পাব
বেলজিয়ামের এক ধর্ম যাজক নাম জর্জেস
ল্যামাইতার ।
তিনিই প্রথমে এই
কথাটি উপ্ত করেছিলেন । তিনি ১৯২৯
সালে এই তথ্যের উপর পরীক্ষা চালান ।
এরপর তিনি এর নামকরণ করেন ।
প্রথমে তিনি এর নাম দেন "বিগ নয়েজ
"(Big Noyes) । তার এই
তথ্যটি বিজ্ঞানী হোয়েলের পছন্দ হয়।
তিনি নামটি পরিবর্তন করে রাখেন "বিগ
ব্যাং" (Big Bang)। জ্যোতির্বিজ্ঞান
ী ও গণিতবিদ জর্জেস ল্যামাইতার
একটা বিশেষ তথ্য দেন যাকে আমরা চিরন্তন
রুপে ব্যবহার করতে পারি । সেই
তত্ত্বটি নিম্নরুপঃ
"মহাবিশ্ব সম্প্রসারণশীল" ।
যদিও তাকে এই Universel Truth এর
অধীকারী ধরা না হয় ।
তাহলে এখন আমরা বুঝতে পারলাম "আমাদের সূর্যের বা নক্ষত্ররাজির
উৎপত্তি সম্পর্কে সাধারণ কিছু জ্ঞান
"।
এরকম এক সময় একটা অতি বৃহৎ ডিম্বক থেকে আমাদের সমস্ত মহাবিশ্বের
সৃষ্টি হয়েছিল ।
মহাশূণ্য থেকে পৃথিবী [From Space to
Earth]ঃ
মহাবিশ্ব শুরুর আদিতে এই মহাশূণ্যে ছিল শুধু মেঘীয় গ্যাস (Cloudy Gass) । যার প্রধান উপাদান ছিল হিলিয়াম ও
হাইড্রোজেন ।
সৃষ্টির প্রারম্ভে এই মহাশূণ্য যে অতি বৃহৎ
প্লাজমায়িত পদার্থ ছিল তার
মধ্যে দুটি পদার্থ ছিল যার জন্য
ডিম্বকটি গঠিত হয় ।
একটি হল কৃষ্ণ বস্তু (Dark Matter)
এবং অপরটি সৃষ্টি বস্তু (Anti Matter) ।
ঐ সময় সমস্ত ডিম্বকের পূর্ণ দুই ভাগে এই
বস্তুদ্বয় বিদ্যমান ছিল । কেউ কেউ
বিশ্বাস করতেন যে , ডার্ক ম্যাটার ও
অ্যান্টি ম্যাটারের পরিমাণ সমান হলেও
সামান্য পরিমাণ অ্যান্টি ম্যাটার বেশি ছিল
অন্য বস্তুটির তোলনায় । যার জন্য
মহাবিষ্ফোণ ঘটেছিল সৃষ্টির আদিতে ।
তবে এটাই ভিন্ন মত যে , পদার্থের
উত্তাপৈর অতি বৈষ্ময়িকতার কারণে এক
পর্যায়ে ডিম্বকটি তাপ সহ্য
ক্ষমতাকে অতিক্রম করে ফেলে ।
ফিইশানের অতি তাপ উৎপাদনে ডিম্বকের
অন্তঃস্থরে তাপ ও চাপের প্রকটতা বৃদ্ধির
কারণে এক পর্যায়ে সমস্ত মহাশূণ্যে বিশাল
একটা মহা বিষ্ফোরণ হয় ।
বিষ্ফোরণে ডিম্বক থেকে পদার্থ
গুলো ছিটকে নানান দিকে ছিটকে যায় ।
এরপর বিলিয়ণ বিলিয়ণ বছর ধরে সে পদার্থ গুলো তাপ বিকিরণ করতে থাকে । এক
পর্যায়ে অতি বৃহৎ খণ্ড গুলোর মধ্যেও বিগ
ব্যাং-এর মত আবারও বিষ্ফোরণ ঘটে ।
পরক্ষণে যে উপখণ্ড গুলো ছিটকে যায়
সেগুলো গ্রহ , উপগ্রহ , কমেট ,
গ্রহাণুপুঞ্জতে পরিবর্তীত হয়েছিল ।
আর যে অবস্থানে বিষ্ফোরণ হয়েছিল
সেস্থান থেকে একটি স্থায়ী তারার উদ্ভব
হয়েছিল ।
এর পরবর্তীতে আরও বিলিয়ণ
বিলিয়ন বছর অতিবাহীত হওয়ার পর তাপ
বিকিরণের কারণে গ্রহ উপগ্রহ গুলো শান্ত
হয়ে যায় ।
এর পর যে গ্রহ বা উপগ্রহে উপযুক্ত
পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে সে বস্তু
গুলোতে প্রাণের বিকাশ ঘটেছে । যেমন ,
পৃথিবী ।
তেমনি আর অনেক গ্রহ বা মহাশূণ্যের অনেক
বস্তুই থাকতে পারে যেখানে প্রাণের ক্ষুদ্র
বিকাশ ঘটেছে । হয়তো পৃথিবীর মানুষের
চাইতে বুদ্ধিমান নয়তো কেবল ইনসেন্ট
প্রাণী ।
এখন অন্য একটা বিষয়ের কথায় আসি ।
ব্লাক হোল (Black Hole), ওয়ার্ম হোল
(Worm Hole) ,হোয়াইট হোল (White
Hole) ইত্যাদি গুলোর আদিবৃত্ত
কি বা কি কারণে ?
অন্য একটা পোষ্টে উক্ত বস্তু
গুলো সম্পর্কে এরকম সাধারণ কিছু তথ্য
দিব । অনেক ক্লান্ত হয়ে গেছি ।
ধন্যবাদ সবাইকে ।
অবশ্যই ভাল লাগল কিনা জানাতে ভুলবেন
না ।
Cosmology(Science In Bangladesh) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।