যারা উত্তম কে উচ্চকন্ঠে উত্তম বলতে পারে না তারা প্রয়োজনীয় মুহূর্তে শুকরকেও শুকর বলতে পারে না। এবং প্রায়শই আর একটি শুকরে রুপান্তরিত হয়।
কারণ ১.
স্বাভাবিক অবস্থায় এদেশের মানুষ পরোপকারী এবং বিপদের বন্ধু।
উদাহরণ: আজ সকাল ৮:২৫ এ মিরপুর ডিওএইচএস থেকে বনানী যাবার পথে দেখলাম, ব্লু-মুন রেস্টুরেন্টের একটু সামনেই হাতের বাঁদিকে উল্টে পড়ে আছে একটি সিএনজি। চারপাশে মানুষের ভীড়, ভেতর থেকে মানুষ উদ্ধারের কাজ চলছে।
স্বভাবতই বাইক থামালাম, ভাবছিলাম যদি কোন কাজে আসতে পারি।
ইতোমধ্যে ব্যাগ হাতড়ে তন্নতন্ন করে ব্যান্ডএইড খুঁজছি। সাধারণত আমার ব্যাগে বেশ কয়েকটা থাকেই। সৌভাগ্যবশত পেয়েও গেলাম। ব্যান্ডএইড নিয়ে ছুট লাগাতেই সবাই জায়গা ছেড়ে দিল।
দেখি মায়ের বয়সী ভদ্রমহিলার মুখের হাতের বেশ কিছু অংশ কেটে গেছে। মনে হল আমার মা ই রক্তাক্ত হয়ে বসে আছেন। যথা সম্ভব যত্ন করে ব্যান্ড এইড লাগিয়ে দিলাম। এর মধ্যে আরেক জার্নালিস্ট নিয়ে এলেন জীবাণু নাশক ব্যান্ড, সেটাও লাগিয়ে দিলাম। তিনি আরো কয়েকটা ব্যান্ডএইড দিয়ে দিলেন।
সিএনজি করে যাচ্ছিলেন চারজন, তাও উত্তরায় রোগী দেখতে। পথে মোটরবাইকের গতির সাথে সমান গতিতে তাল সামলাতে না পেরে উল্টে যায় সিএনজিটি। যাত্রীদের মধ্যে দুজন বয়ষ্ক স্বামী-স্ত্রী এবং তাদের মেয়ে ও মেয়ে জামাই। মোট চারজন। দূর্ঘটনায় সিএনজিটির সামনের গ্লাস খুলে যায় এবং ভেঙ্গেও যায়।
চালক সেভাবে আহত হননি। তবে ভীষণ শকে থরথর করে কাঁপছিলেন যাত্রী চারজন।
সিএনজি উল্টে যাবার সাথে সাথেই পথচারীরা সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন, তারাই উদ্ধারকর্ম চালাতে থাকেন। সৌভাগ্যবশত যাত্রী বা চালক কেউই খুব আহত নন। কিন্তু তাদের এই বিপদ দেখে বিশ্বরোডগামী একটি মাইক্রো সেখানে থামে এবং যাত্রীদের এগিয়ে নিয়ে যেতে এগিয়ে আসে।
একটি পুরো পরিবার যেখানে ভয়ংকর দূর্ঘটনায় পতিত হয়েছিল সেখানে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে সাধারণ মানুষ, কোন স্বার্থ বা লোভ ছাড়াই। এই দেশটার নাম বাংলাদেশ।
ব্যাগে ক্যামেরা ছিল কিন্তু ছবি তোলার বিষয়টা নিতান্তই গৌণ। মূল কাজ সেরে এর ফাঁকে মোবাইলে ছবি তুললাম
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।