বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর দেওয়া রায়ের কপি ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁর আইনজীবী ফখরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচার চেম্বার থেকে ফখরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মো. মাসুদুর রহমান প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ফখরুল ইসলামকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় ফখরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার দায়ে গত ১ অক্টোবর সাকা চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
তবে রায় ঘোষণার আগেই তা ফাঁস হয়ে গেছে বলে অভিযোগ তোলে সাকা চৌধুরীর পরিবার।
২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার নাসির উদ্দিন মাহমুদ রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ট্রাইব্যুনালের কম্পিউটার থেকে রায়ের খসড়া ফাঁস হয়ে থাকতে পারে বলে জিডিতে উল্লেখ করেন তিনি।
পরে ডিবি তদন্তে নেমে জানতে পারে ট্রাইব্যুনালের অস্থায়ী পরিচ্ছন্নতাকর্মী নয়ন এর সঙ্গে জড়িত। আটকের পর নয়ন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানের কক্ষের কম্পিউটার থেকে রায়ের খসড়া পেনড্রাইভে করে নিয়ে তা সাকার আইনজীবীর (ফখরুল ইসলাম) সহকারী মেহেদি হাসানকে সরবরাহ করার কথা স্বীকার করেন বলে ডিবি দাবি করে।
ডিবি দাবি করেছে, মেহেদির সঙ্গে নয়নের পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী ফারুক। চুরি করা রায়ের খসড়া দেশের বাইরে পাঠান মেহেদি। বিদেশ থেকে তা ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়। এ ঘটনায় তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়। মামলায় ট্রাইব্যুনালের ওই দুই কর্মী ছাড়াও আইনজীবীর সহকারী মেহেদি হাসানকে আসামি করা হয়েছে।
মেহেদি পলাতক।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।