সুবিশাল আকাশের তলে শ্যামল মাটি মানবতাবিরোধী মামলায় কারাগারে আটক বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর (সাকা চৌধুরী) বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
কাশিমপুর কারাগারে পার্ট-১ থাকা অবস্থায় তারই এক সেবককে জামিন দেওয়ার লোভ দেখিয়ে তিনি এ যৌন নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
সাকা চৌধুরীর এ যৌন নির্যাতনের ঘটনায় ভিকটিমের বাবা কারা মহাপরিদর্শককে এক লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কাশিমপুর কারাগার পার্ট-১ এর জেল সুপার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি এখন তদন্তাধীন। একই সঙ্গে ভিকটিম সেবককে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, সাকা চৌধুরীকে কাশিমপুর কারাগার পার্ট-১ এ আনার পর তার জন্য একজন সেবক নিয়োগ করা হয়।
ভিআইপি অর্থাৎ ডিভিশনপ্রাপ্ত হাজতি/কয়েদিদের জন্য সরকারিভাবে একজন সেবক নিয়োগ করার বিধান রয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওই সেবককে তিনি জামিন পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ফুঁসলিয়ে কৌশলে যৌন সম্পর্ক তৈরিতে উদ্বুদ্ধ করতেন।
একপর্যায়ে এটি মাত্রাতিরিক্ত হয়ে যায়। গত ১২ ফেব্রুয়ারি ভিকটিমের বাবা দেখা করতে গেলে সে সব ঘটনা খুলে বলে।
এর পরই ভিকটিমের বাবা লিখিত আকারে এ বিষয়ে কারা মহাপরিদর্শক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগের পরপ্রেক্ষিতে কারা মহাপরিদর্শকের নির্দেশে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিট গঠন করা হয়েছে।
এদিকে, এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভিকটিম সেবককে সাকার কাছে থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
বর্তমানে অন্য একজন তার সেবক হিসেবে কাজ করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে কাশিমপুর কারাগার পার্ট-১ এর জেল সুপার জামিল আহমেদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “গত ১২ ফেব্রুয়ারি এ ধরনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তারা এখনও তদন্ত কাজ শেষ করতে পারেননি। ”
তিনি বলেন, “এই অভিযোগের পর তার (সাকা-র) সেই সেবককে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার বদলে অন্য একজন কাজ করছেন।
কারা এই বিষয়টি তদন্ত করছেন এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “বিষয়টি যেহেতু স্পর্শকাতর, সেহেতু এখন বিষয়টি বলা যাচ্ছে না। ”
পরে জানানো হবে বলে জানান তিনি। BANGLANEWS24.COM ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।