নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, রাজপথের হরতাল-সহিংসতা এবং ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের’ ওপর সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস। বাংলাদেশ সময় বুধবার রাত পৌনে ৩টায় কংগ্রেসের পররাষ্ট্র-বিষয়ক উপ-কমিটিতে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে এই শুনানি হয়, যার শিরোনাম ছিল 'নৈরাজ্যে বাংলাদেশ: খাদের কিনারে একটি দেশ?'।
শুনানি শুরুর আগে সূচনা বক্তব্য দিচ্ছেন মার্কিন কংগ্রেসের পররাষ্ট্র-বিষয়ক উপ কমিটির চেয়ারম্যান ষ্টিভ শ্যাবোট। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে প্রধান দুই দলের অনড় অবস্থান, রাজপথের ক্রমবর্ধমান সহিংসতা, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা আর সন্ত্রাসবাদের উত্থানের আশঙ্কায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন মার্কিন কংগ্রেস।
আজ বৃহস্পতিবার মার্কিন কংগ্রেসের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপকমিটির শুনানিতে প্যানেল আলোচকসহ মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যরা তাঁদের এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
শীর্ষক এ শুনানিতে সভাপতিত্ব করেন মার্কিন কংগ্রেসের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান স্টিভ শ্যাবোট।
সভাপতির সূচনা বক্তৃতার মধ্য দিয়ে শুনানি শুরু হয়। এরপর তিন কংগ্রেস সদস্য ব্র্যাড শারমেন, জেরার্ড কোলোনি ও টুলসি গ্যাবার্ড বক্তৃতা করেন।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর সাম্প্রতিক হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন এড রয়েস। শুধু হিন্দু সম্প্রদায় নয়, খ্রিস্টানসহ বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী ও নাস্তিক লোকজনের ওপর হামলায় তিনি উদ্বিগ্ন।
এ পরিস্থিতিতে মাদ্রাসা শিক্ষা বাংলাদেশে পাকিস্তানের মতো মৌলবাদে মদদ জোগাচ্ছে কি না কিংবা এ সমস্যা কতটা প্রকট তা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন। পাকিস্তানে এ সমস্যা অঙ্কুরে বিনষ্ট করা যায়নি, তাই গভীর সংকটের তৈরি করেছে বলে তিনি মনে করেন।
স্টিভ শ্যাবোট মন্তব্য করেন, নির্বাচনের দিন-ক্ষণ ঘনিয়ে আসার প্রাক্কালে রাজনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।