পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি পাঁচ হাজার ৩০০ টাকার প্রস্তাব চূড়ান্ত ঘোষণা করেছে নিম্নতম মজুরি বোর্ড। একই সঙ্গে শ্রমিকদের বার্ষিক প্রণোদনা বাড়বে মূল মজুরির ৫ শতাংশ। এক বছর কর্মরত থাকা সাপেক্ষে শ্রমিকদের ক্ষেত্রে এটি কার্যকর হবে।
আজ বৃহস্পতিবার বোর্ডের দশম বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়। বৈঠক শেষে বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে রায় এক ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বোর্ডের চেয়ারম্যান আরও জানান, নিম্নতম মজুরি বোর্ড শ্রমিকদের জন্য মূল মজুরি তিন হাজার ২০০ টাকা প্রস্তাব করে। তবে তা কমিয়ে তিন হাজার টাকা করা হয়েছে। বাড়িভাড়া এক হাজার ২০০, চিকিত্সাভাতা ২৫০, যাতায়াত ভাড়া ২০০ ও খাদ্যভাতা ৬৫০ টাকা করা হয়েছে।
আগে সর্বনিম্ন মজুরি ছিল তিন হাজার টাকা।
বোর্ডের গত সভায় দীর্ঘ আলোচনার পর পাঁচ হাজার ৩০০ টাকার খসড়া মজুরি প্রস্তাব করা হয়।
তবে প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করে মালিকপক্ষের প্রতিনিধি এতে স্বাক্ষর করেননি। অবশ্য পরে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর নেতারা প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে এই মজুরি প্রস্তাব মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেন।
মজুরি বোর্ড জানায়, ৪ নভেম্বর খসড়া মজুরি প্রস্তাবের গেজেট প্রকাশের পর ১৪ দিন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষ থেকে লিখিত আপত্তি দেওয়ার সুযোগ ছিল। এ সময় বোর্ডে পাঁচ শতাধিক আপত্তি জমাও পড়ে। এর মধ্যে বেশির ভাগ আপত্তি এসেছে পোশাকমালিকদের কাছ থেকে।
এ ছাড়া আপত্তি দিয়েছে বেশ কয়েকটি শ্রমিক সংগঠন ও বিজিএমইএ।
মজুরি বোর্ডের সচিব সালাহউদ্দীন মাহমুদ বলেন, কালকের (আজ) সভায় মজুরি প্রস্তাব চূড়ান্ত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর বিষয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।
নতুন মজুরিকাঠামো ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।