রাজনগর চা বাগানে ২৮ নভেম্বর পুলিশ এসল্ট-এর ঘটনায় ৬ শ' শ্রমিককে অভিযুক্ত করে মামলার প্রতিবাদে শ্রমিকরা গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
সন্ধ্যা ৬টায় চা শ্রমিক নেতা আদি নারায়ণ নাইডুর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নেছার আহমদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মিছবাহুদ্দোজা ভেলাই, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আছকির খান, টেংরা ইউপি চেয়ারম্যান টিপু খান, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির মোতালেব। বক্তব্য রাখেন ফজলু খান, রামলাল রাজভর, মাহমুদুর রহমান, দিনানাথ উপাধ্যায়, শ্যামলাল কালোয়ার প্রমখ। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন চা বাগানের পঞ্চায়েত প্রধানগণ বক্তব্য রাখেন।
এর আগে বাগান ম্যানেজারের যোগসাজসে পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মাদকবিরোধী অভিযানকে কেন্দ্র করে বাগান কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্ঠি হয়। এসময় ঘটনাস্থলে গেলে রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হামরুল হাসানসহ ২ পুলিশ সদস্য আহত হন ও সরকারি মোবাইল ফোন ছিনতাই হয়। পরবর্তীতে পরিস্থিতি শান্ত করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ ২ ইউপি চেয়ারম্যান শ্রমিকদের আর কোন হয়রানি করা হবে না মর্মে আশ্বস্ত করলে শ্রমিকরা কাজে ফিরে যায়। কিন্তু গত ২৮ নভেম্বর রাজনগর থানার এসআই রতন দেনাথ বাদী হয়ে ৬শ' জনকে আসামী করে রাজনগর থানায় মামলা দায়ের করলে শ্রমিকরা আবার প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন।
রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ঘটনার দিন শ্রমিকদের শান্ত করতে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।
এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি, এখন সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে বাগান কর্তৃপক্ষ তাদের ভূমিকা রাখবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।