সবাই পেঁৗছে গেছে। তখনো দৌড়-ঝাঁপ করেই চলেছে উরুগুয়ে। গত বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্ট দলটার গতি কি হবে! এমন বিস্ময় ছিল ভক্তদের মনে। তবে আন্তর্জাতিক প্লে-অফ নিশ্চিত করার পর অনেকেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন। যাক, অন্তত এশিয়ান জর্ডান দুইবারের বিশ্বজয়ী উরুগুয়ের মুখোমুখি হতে পারবে না।
হলোও ঠিক তাই। প্রথম লেগেই মূলত বিশ্বকাপ খেলার টিকিটটা ফিফার কাছ থেকে আদায় করে নিয়েছিল তারা। জর্ডানকে হারিয়েছিল ৫-০ গোলে! তবে উরুগুয়ের মাটিতে জর্ডান কিছুটা ম্যাজিকই দেখাল গত বুধবার। নিজেরা কোনো গোল করেনি বটে, উরুগুয়েকেও করতে দেয়নি। ফলাফল গোল শূন্য ড্র।
এতে অবশ্য নিয়তিটা বদলায়নি। উরুগুয়ে পেঁৗছে গেছে বিশ্বকাপে। সর্বশেষ দল হিসেবে!
২০১১ সালের ১৫ জুন শুরু হয়েছিল ব্রাজিল বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব। এরপর পেরিয়ে গেছে প্রায় আড়াই বছর। এই সময়টাতে ফুটবল দুনিয়ায় অনেক কিছুই বদলে গেছে।
মাঝখানে বিশ্বজয়ী স্পেনকে ঠেলে দুইয়ে নামিয়েছিল ডাচরা। ব্রাজিল নেমে গিয়েছিল বিশের বাইরে! ফরাসিদের চোখে ছিল দুঃস্বপ্ন। তবে কি বিশ্বকাপটা খেলা হবে না জিদানের ফ্রান্সের। এই অনিশ্চয়তাও কেটে গেছে। করিম বেনজেমারা ঠিকই সময়মতো আলো ছড়িয়েছেন।
যে আলোয় উদ্ভাসিত হয়েছে কেবল ফ্রান্সই নয়, পুরো ফুটবল দুনিয়া। গত আড়াই বছরে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে উত্তীর্ণ হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ২০৭টি দল মাঠে নিজেদের ফুটবলীয় ক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। ৮১৬টি ম্যাচে গোল হয়েছে ২২৮৬টি! বাছাই পর্বে সর্বোচ্চ ১১টি করে গোল করেছেন উরুগুয়ের লুইস সুয়ারেজ, নেদারল্যান্ডের ফন পার্সি এবং বেলিজের দিওন ম্যাকুলে। এছাড়া ১০টি করে গোল করে দ্বিতীয় স্থানে আছেন আর্জেন্টাইন লিওনেল মেসি, বসনিয়ান এডিন জেকো, মেঙ্কিান অরিবে, পানামার ব্লাস এবং অ্যান্টিকুয়ার পিটার।
বিশ্বকাপের মূল পর্ব থেকে বলতে গেলে কোনো ফেবারিটই বাদ পড়েনি।
কোনো বিশ্বজয়ী তো নয়ই। ব্রাজিল, ইতালি, জার্মানি, আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড এবং স্পেন। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কষ্ট করতে হলো ফ্রান্সকেই। উরুগুয়েকেও কম ভুগতে হয়নি। ল্যাটিন অঞ্চলের বাছাই পর্বে সেরা পাঁচে না থাকতে পারলে বিশ্বকাপের আশা বাদ দিতে হতো তাদের।
৩২ নম্বর দল হিসেবেই বিশ্বকাপে পা রেখেছে উরুগুয়ে। এবার দেখা যাক, মূল পর্বে কত নম্বরে থাকতে পারে তারা! গত আসরে নতুন দল হিসেবে বিশ্বকাপ খেলেছিল সার্বিয়া এবং স্লোভাকিয়া। এবারের নতুন দল বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা। সাবেক যুগোস্লাভিয়ার অংশ হিসেবে বিশ্বকাপের রেকর্ডটা তাদের ভালোই। দুইবার সেমিফাইনাল খেলেছে সাবেক যুগোস্লাভিয়া।
তবে ১৯৯২ সালে স্বাধীন হওয়ার পর এই প্রথম বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল মুসলিম প্রধান এই ইউরোপীয়ান দেশ।
বসনিয়ার নতুন প্রজন্মের তারকা ম্যানসিটির এডিন জেকো এবং স্টুটগার্ডের ভেদাদ ইভিসেভিচ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।