আপনি ভুল বানানের জগতে প্রবেশ করছেন, আপনি যা জানেন সেটি ও ভুলে যেতে পারেন !
আরো যদি ভালো ভাবে বলি, তাহলে বলতে হবে, সৌরবিদ্দুৎ কি আসলেই পারবে জ্বীবাশ্ব জ্বালানীর বিকল্প হয়ে বর্তমানে বিশ্ববেপী চলমান জ্বালানী সংকট নিরশনে ভূমিকা রাখতে ?
এই আর্টিকেলটি তে আমি খুব সাধরন ভাবে সোলার এনার্জি নিয়ে লিখবো, এটা কোন সায়েনস আটিকেল না, এটাকে পপুলার সায়েনস বলাই ভালো, তবে চলুন শুরু করা যাক :---
সোলার এনার্জি :: এটি আসলে এক ধরনের যণ্ত্র, যে যণ্ত্র সূর্যের আলোকে সরাসরি বিদ্দুৎশক্তিতে পরিনত করে এর ভিতরের এক ধরনের কোষদিয়ে যেটাকে বলা হয় সোলার-সেল যেটি মুলত পি-এন জাংশন ডায়োড দিয়ে তৈরি।
এই সোলার এনার্জির উদ্ভব কিন্তু অনেক আগে, ১৮৯০ সালের দিকে, তখন সোলার থারমাল দিয়ে শীত প্রধান দেশগুলো তে পানি গরম করা হত, এরকম আরো বেশ কিছু কাজ করা হত। কিন্তু উনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে এসে যখন ফসিল ফুয়েল বা পেট্রল আবিষ্কার হয়, তখন সেটি জ্বালানীর চাহিদা দারুন ভাবে মিটাতে সক্ষম হয়, যার ফলে সোলার এনার্জির ডেভেল্পমেন্ট টা পিছনে চলে যায়, মানুসের মনোযোগের ও বাইরে চলে যায় । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপর আবারো বিঙগানীরা সোলার সেল নিয়ে নরে চরে বসে, মুলত উইলিয়াম শকলি পি-এন জাংশন ডায়োট আবিষ্কারের ফলে এটি আরো স্পীড-আপ হয়, ১৯৬৩ সালে তিনি এই ডায়োড ইউজ করে সোলার সেল তৈরি করতে সক্ষম হন, এবং তার পর থেকে চলছে এর উন্নয়ন আর উন্নয়ন। বতর্মানে বিশ্বে বেশ কয়েক ধরনের সোলার সেল আছে।
এর মাঝে মার্কেটের ৮৯ ভাগই দখল করে আছে সিলিকন সোলার সেল, এই সোলার সেলই মুলত আমাদের দেশে সোলার পানেলে বেবহার করা হয় বা আমরা যে সোলার পাওয়ার পাই সেটা এই সিলিকন সোলার সেল থেকেই আসে। এই মুহুতে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সোলার সেল হল মাল্টি-জাংকশন সোলার সেল, এটি দাম আবার খুব বেশি, তবে এটি ইন্ডাস্ট্রি লেভেলে পাওয়ার-আপ করতে সক্ষম, স্পেস ক্রাফ্ট গুলোতেও বেশীর ভাগ এই সোলার সেল ইউজ করা হয় এবং সেটেলাইট গুলোতেও এটি ইউজ করা হয়......তবে নতুন এক ধরনের সোলার সেল সায়েনস ওয়ার্ল্ডে খুবই আলোরন তৈরি করেছে, এটি হলো কোয়ান্টম-ডট সোলার সেল। এটিতে সাকসেস হওয়া গেলে এটি থেকে তো খুব বেশী পাওয়ার পাওয়া যাবে, একই সাথে পানেলের দাম ও কমবে বহুলাংশে।
তো ফিরে আসি আমার আগের প্রশ্নে, সোলার এনার্জি কি আসলেই পারবে ?
এটি নিয়ে আমি আমাদের লোকাল রিচার্সার দের সাথে কথা বলেছি, কথা বলার সুযোগ হয়েছিলো এক ইন্ডিয়ান সায়েন্টিস্টের সাথে, এক আমেরিকান সায়েন্টিস্টের সাথে (........এখানে একটি এলার্মিং নিউজ দেই। আমাদের দেশে যে প্রাকৃতিক গাসের মজিত আছে তা বড়জোর ১৫বছর চলবে এবং বিশ্বে যে তৈল মজুত আছে তা ও নাকি ২০৭২ সালের মাঝেই শেষ হয়ে যাবে ! ) তখন আমাদের অলটার্নেটিভ এনার্জিতে যেতেই হবে হবে, একারনেই আমার ঘাটাঘাটি...আমি প্রশ্নে ফিরে আসি,
উত্তর হল : "না, বতমানে প্রচলিত সব ধরনের সোলার সেল মিলেও জ্বীবাশ্ব জ্বালানী বা ফসিল ফুয়েলের বিকল্প পরিমান শক্তি দিতে পারবে না "---যে পরিমান জ্বালানী দরকার পরে, সেই পরিমান জ্বালানী সোলার সেল থেকে পেতে হয়ে সোলার পানেল দরকার হবে, তা দিয়ে প্রায় অর্ধেক পৃথিবী ছেয়ে ফেলতে হবে, পানেল গুলো তে যে পরিমান বেটারী, ইনর্ভাটার লাগবে তার উৎস, এবং এই বেটারী কয়েক বছর পরপর পরির্বতন করা এবং এর হেতু যে লেড-এসিড ফেলে দিতে হবে, তা পরিবেশের উপর কি ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করবে ? (অবশ্শ যদি গ্রীড কানেকশন সোলার সেন হয় সেক্ষেতে আবার ইনর্ভাটার বড় ফাক্ট) আর এটা করলে কৃষিকাজ কিভাবে হবে, আর বাকি কাজগুলোই বা কিভাবে হবে ? এই সব ফাক্টর বিবেচনায় নিয়ে বলতেই হবে, কোন ভাবেই সোলার এনার্জি ফসিল ফুয়েলের বিকল্প হতে পারবে না।
এক্সপার্ট রাও আমার সাথে একমত হয়েছেন। এ নি্যে আমি একটা কেলকুলেশন ও করেছিলাম, ডাটা টা এমন দুনিয়ায় এখন কয়েকশত টেরা ওয়াট এনর্জি লাগে, সেখানে সোলার সহ নবায়নযোগ্গ শক্তির সবগুলো ব্রান্স মিলে যে শকতি উৎপন্ন করে, সেটা গিগাওয়াট রেন্জেই আছে !!!
তবে নেদারলান্ডে (আরো বেশ কয়েকটি দেশে) এখন এক ধরনের পানেল ইউজ করা হচ্চে, সেটির নিচে আবার কৃষি কাজ ও করা যায়। আসুন একটি ছবি দেখি।
তবে বেপক ভিত্তিতে এটা কতটুকু ইফেকটিভ হবে, সেটাই প্রশ্ন সাপেক্ষ।
তবে সায়েনস মানেই এডভান্সমেন্ট, আমরা সায়েনসের অগ্রগতিতে বিশ্বাস করতে পারি, ইনশাল্লাহ "একদিন নতুন কোন সোলার সেল আবিষকার হয়ে যাবে, সেটা হয়তো ভিন্ন কোন মডেলের-; সেটা ইনপুট হিসেবে সূযের আলোই নিবে এবং এটা বেবহার করে বিদ্দুৎ তৈরি করবে", যেটা পারবে এই এনার্জি ক্রাইসিসের সমাধান দিতে।
অপ্রাসাঙ্গিক কিছু বিষয় এই প্রসঙগ আলোচনা করতে চাই ::
আমাদের দেশেও ইদানিং সোলার এনার্জি নিয়ে বেশ আলোচনা শোনা যায়, আসুন দেখি আমাদের দেশের চিত্র। আমাদের দেশে সাধারনত বিদেশের থেকে সোলার পানেল, বেটারী, ইনভাটার ও এর এক্সসেসোরিস কিনে আনা হয় এবং মেক্সিমাম ক্ষেত্রেই এনজিওর মাধমে বিভিন্ন কোম্পানি এই পানেলগুলো বিক্রি করে, আমাদের দেশে মুলত নিম্ন মানের সিলিকন সোলার পানেল (কম ইফিসিয়েনসির) বেবহার করা হয়। এই মুহুর্তে দেশে কোন কোম্পানি পানেল ফেব্রিকেশন করছে না (কিছুদিন আগে দেখলাম রহিম-আফরোজ, ভারতের টাটা-বিপির সাথে ২৫মিলিয়ন ডলারের একটা চুক্তি করলো পানেল ফেব্রিকেশন করার জননে, কিন্তু এরপর আর কিছু দেখলাম না)। আসলে পানেল ফেব্রিকেশন করাটা মোটেও সহজ কাজ নয়, এর জননে কয়েক হাজার কোটি টাকার ইনভেস্টমেন্ট দরকার ফেব্রিকেশন টেকনলোজির জননে। এর সাথে আরো আছে আমাদের দেশের পলিসিতে প্রোবলেম....আমাদের দেশে সাধারনত পানেলের উপর টেক্স নেয়া হয় না, যে কারনে বাইরে থেকে পানেল কিনে এনে বিক্রয় করাটাই লাভজনক।
কিন্তু আমাদের দেশে যে পরিমান সিলিকন আছে (যে পরিমান পিউর বালি তথা সিলিকা আছে) আর আমাদের শ্রমিকের দামও বেশ সস্তা, সুতরাং এখানে এই ইন্ডাস্ট্রি করা তো খুব টাফ না। আমরা সবাই জানি কুইক রেন্টালের নামে দেশের ইলেকট্রিসিটি খাতে হাজার হাজার কোটি টাকা লোকশন দেয়া হয়। তাহলে সোলার এনার্জিতে কেন টাকা ঢালা যায় না !
ইন্ডিয়া যে কাজ টি করেছে, সেটি হলো ওরা ইন্ডাস্ট্রি লেভেলে ভর্তুকি দেয়, পাশাপাশি বিদেশ থেকে পালেন ইমপোর্ট করার উপর টেক্স বসায়, যার ফলোস্রুতিতে ওদের দেশে এখন ১৭-১৮ টা সোলার ইন্ডাস্ট্রি দারিয়ে গেছে, যেহেতু নেজেরাই তৈরি করে, সেহেতু পানেলের দাম ও কম। আর চায়নার কথা না হয় নাই বললাম।
যারা আমাদের দেশে পলিসি মেকিং এ আছেন, আমি জানি না কি কারনে তারা এটি বুঝতে চান না !!!
এবার আসি, এই দেশে সোলার সেল নিয়ে গবেষনা কি হয় ! আমার তো মনে হয় এই ফিল্ডে আমার 'সায়েনস ফেয়ার' টাইপের পর্যায়ে আছি।
বুয়েটের পার্ফমেনস খুবই হতাশাজনক। ঢাবি তে কিছটা কাজ হয়, সেটিও বলার মত না, বিশ্বের প্রোসপেক্টে। সাম্প্রতি এখানে একটি ইনসটিটিউট হয়েছে 'রিনিউএবল এনার্জি' নামে, কিন্তু প্রথমেই একটা ধাক্কা খেয়েছে (বাংলাদেশের কমন প্রোবলেম, তাই বললাম না !!! )। এই দুই প্রতিস্ঠানের বাইবে বিসিএসআইআর এ মাত্র গবেষনাগার হতছে, এটোমিক কমিশনে ও কিছু কাজ হয়। তবে এসব গবেষনা মোটেও যথেষ্ট নয়।
বাকি কোন প্রতিস্ঠান ই বলার মত কোন কাজ করে না।
বি দ্র : সোলার সেল নিয়ে আমার আগ্রহের কমতি নাই, নাই কোন ক্লান্তি, কেউ আমাকে এই ফিল্ড সম্পর্কে জানালে খুশিই হবো। আমি টুকটাক কাজ করি সোলার সেল নিয়ে। কেউ যদি ঘাটাঘাটি করতে চান, নিচের লিংটা তাদের কাজে দেবে [এখানে রিনিউএবল এনজির সবগোলো ব্রান্স, সব ধরনের সোলার সেল, বাংলাদেশের এনার্জি সেক্টর, ফিউচার প্রসপেক্ট সম্পর্কে কিছুটা ধারনা দেয়া আছে]
http://benjapan.org/iceab10/27.pdf
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।