কেবলই নিজেকে খুঁজছি
উত্তরের মাঠে চাঁদ নামে ধান কাঁটা ক্ষেতে গরুর খুঁড়ের গর্তে জমে থাকা জলের ভেতর
মৃত বাছুরের চোখে উঁকি দিয়ে দেখে পোয়াতী চাঁদ, ঘুম তার কতোটা গভীর!
চাঁদ নামে, চাঁদ সওদাগরের অহংকার নিমজ্জিত করা অড়াইয়ের বুকে-পিঠে
চাঁদ নামে জোয়ারের বিলে একা পানকৌড়ির ডানায়, বাঁশঝাড়ে অবচেতন বকের ঠোঁটে-
চিরল বাঁশপাতার গায়ে গায়ে।
চাঁদ নামে আমার মুঠো খোলা বাড়ানো হাতের রেখায়
মিথ্যুক জ্যোতিষী। অযথাই গড়েছিলাম শূন্যে প্রাসাদ!
উত্তরের ধু ধু মাঠে আমি চাঁদ নামা দেখি চন্দ্রগ্রস্ত চোখে।
এক মাঘী পূর্ণিমার রাতে চাঁদ নেমেছিল সাদা প্রজাপতিটার চোখের ভেতর
এক দোল পূর্ণিমার রাতে চাঁদ নামতে চেয়েছিল তার ঠোঁটের ওপর
এক শ্রাবণ পূর্ণিমার রাতে চাঁদ নামতে চেয়েছিল তার পেলব বুকের ওপর।
বেখেয়াল প্রজাপতি খেয়ালের বশে শ্যাওড়া গাছের অন্ধকারে জড়ালো মাকড়সার জালে
এখন তার চোখের ভেতর পুঞ্জীভূত জমাট জংলি অন্ধকার!
অথচ এখনও কচ্ছপের পিঠে চড়ে চাঁদ নামে উত্তরের মাঠে
চাঁদনামা লিখে রাখে বুকে-জোছনাপ্লুত ছিপছিপে উদোম অড়াই।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।