আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমি সদ্য রাজাকারের ভাগীনা বলছি

জীবন একটা বাঁশ ঝাড়........খালি মুথা আর মুথা..... প্রথমেই অনুরোধ করবো সম্পূর্ণ পড়ার পর আপনার মন্তব্য করবেন .......... প্রসঙ্গ আমার বড়মামা খন্দকার আতিয়ার রহমান ( আতিয়ার মাষ্টার নামে এলাকায় পরিচীত) । ১৯৭১ সালে আমার মেজ নানার ছোট ছেলে মৃত সিরাজুল ইসলাম তৎকালীন রাজাকার কমান্ডারের হুমকিতে রাজাকার বাহীনিতে নাম লেখান কারন বংসের কেউ যদি রাজাকার বাহীনিতে না থাকে তো সেই বংস নিবংস করা হবে। আমি গুরুজনদের কাছথেকে এই কথাগুলো শুনেছি । তো মামা বংস বাচাতে নাম লেখান রাজাকারের খাতায় । যার ফলস্রুতিতে আমার মেজ নানা আমৃত্যু তার ছেলের সাথে কথা বলেন নি ।

আর আমার জানা মতে মামার দ্বারা তার অঞ্চলের কার ও ক্ষতি তিনি করেন নি । তার পর ও তিনি রাজাকার আর এই কারনে দেশ স্বাধীন হবার পর মুক্তিযোদ্ধারা এসে রাজাকার হবার কারনে মেজ নানার বাড়ি ভাংচুর করেন ও নানাকে মার-ধোর করেন । এর পর অসুস্থ হয়ে নানা মারা যান। আমার এই রাজাকার মামা কে আমি দেখেছি সদা হাস্যজ্বল একটি মানুষ ছিলেন । তিনি ২০০১ সালে নিদারুন কষ্ট ভোগ করে মারা যান ।

আমার কোন আক্ষেপ নেই তার জন্য কারন তিনি রাজাকার ছিলেন । তার দাফনের সময় এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের ও উপস্থীতি আমি দেখেছি। আমার এইলেখা তার উদ্দেশ্যে নয়। এইটা লেখা আমার বড়মামা কে কেন্দ্র করে। আমার বড়মামা নানাদের বংসের বড়ছেলে।

১৯৭১ সালে তিনি ভয়ে তিনার শশ্বুর বাড়ি (আমাদের পাশের গ্রাম কুর্ষা ) গ্রামে আবস্থান করেন । তার ভয় তাকে আবার রাজাকার না হতে হয়। আবার তিনি যুদ্ধে যেতেও ভয় পেয়েছিলেন তার কাছের বন্ধুরা যুদ্ধে গিয়েছিলেন। আমি দেখেছি তিনি কেমন ভীতু নানী বেঁচে থাকার সময় যদি ঝড় হত তো মামা নানীর কাছথেকে সরতেন না ঝড় থেমে যাওয়া পর্যন্ত। এখন ও আকাশে বিদ্যুৎ চমকালে মামার বন্ধু হায়দার মামার বাড়ি যেয়ে বসেথাকেন ।

তো আমার এই মামা সদ্য তৈরী রাজাকার তালিকায় স্থান পেয়েছেন। তিনি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন বর্তমানে অবসর গ্রহন করেছেন । বর্তমানে তিনি একটি মসজিদে ইমিমতি করেন । মামার ঘনিষ্ঠ বন্ধু বীরমুক্তিযোদ্ধা আফসার আলী মামার কাছে আমি এই সদ্য তালিকা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম তিনি বললেন এই তালিকা তৈরী সম্পর্কে আমার কাছে কেউ জানতে চায়নি আর কে তৈরী করেছে আমি ও জানিনা হয়তো একদিন দেখবে আমি ও রাজাকার হয়ে গেছি কারন আমার মুখেও দাড়ি আছে আমি ও ইমামতি করি আর তোমার মামা কোনদিন ও রাজাকার ছিলেন না। তুমি এই বিষয়ে নিশ্চিত থাক।

আমার ও একই প্রশ্ন এই তালিকা হালনাগাদ করলো কে বা কারা ? স্থানীয় পেপারে রাজাকারের তালিকায় মামার নাম দেখে তিনার ছাত্ররা ফোন করছেন জানতে চাচ্ছেন এর কারন মামা বিব্রত বোধ করছেন। কারন তিনি যা করেন নি তার জন্য কেন হেয় হবেন সবার কাছে। এর কারন কি এই যে যিনি বা যারা এই তালিকা করেছেন মামার মুখে দাড়ি আছে তিনি ইমামতি করেন এইদেখে ??? আমি চিনি এমন একজনকে যে মুক্তিযুদ্ধ না করেও সকল সুবিধা ভোগ করছেন। আর আমার মামা রাজাকার না হয়েও এখন রাজাকার। আমি চায় ১৯৭১ সালের সকল রাজাকারদের বিচার হউক ।

আমার বাড়িতে জামাত শিবির নিশিদ্ধ এই কারনে। আমি চাই আমার মামা মৃত সিরাজুল ইসলাম এর ও বিচার হউক । পরিশেষে , আপনাদের কাছে সদুপোদেশ চাই নব্য তালিকা থেকে মামার নাম কিভাবে প্রত্যাহার করা সম্ভব। চাই এই বিষয়ের সুষ্ঠ তদন্ত হউক। আর এইটুকুই আমার মামা আমার কাছথেকে চেয়েছেন।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।