আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মোহামেডানকে হারিয়ে শেখ জামালকে এড়ালো আবাহনী

আগেই ঐতিহ্যবাহী দুই দলের কোয়ার্টার-ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় ম্যাচটি ছিল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাশাপাশি মর্যাদার লড়াইও। আর তাতে জিতে শক্তিশালী শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবকে এড়িয়েছে আবাহনী। ম্যাচের দশম মিনিটে আবাহনী ব্রাজিল মিডফিল্ডার লুইস ডি কাস্ত্রোর গোলে এগিয়ে যায়। ফরোয়ার্ড তৌহিদুল আলমের ফ্রি কিকে হেডে গোলটি করেন কাস্ত্রো। ডিফেন্ডারদের ভুলেই মোহামেডান এই গোল খেয়েছে।

কারণ কাস্ত্রো ছিলেন একেবারেই অরক্ষিত। ১৬ মিনিটে মোহামেডান সমতা আনার দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করে। ফরোয়ার্ড জাহিদ হোসেনের ক্রসে এমিলির প্লেসিং শট সাইডবার ঘেষে বাইরে বলে যায়। চার মিনিট বাদে আরেকটি সুযোগ হাতছাড়া করে সাদা-কালো শিবির। নাইজেরীয় স্ট্রাইকার আনোনেমি চুকা মাঝমাঠ থেকে একটি বল পেয়ে বক্সে ঢুকে গোলরক্ষকে একা পেয়েও গোল করতে পারনেনি।

তার শট সাইডবার ঘেষে বাইরে চলে যায়। এমনি করে মোহামেডান বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করে যখন গোল পাচ্ছিল না, ঠিক তখনই পাল্টা আক্রমণ থেকে আরেকটি গোল খেয়ে বসে তারা। ৭৬ মিনিটে আবাহনীর ব্যবধান দ্বিগুন করেন ঘানার স্ট্রাইকার ওসই মরিসন। তৌহিদের শট সাইডবারে লেগে ফিরে এলে ফিরতি বলে লক্ষ্যভেদ করেন ফাকায় দাঁড়ানো মরিসন। এবারও রক্ষণভাগের ভুলে গোলটি খেয়েছে মোহামেডান।

পাল্টা আক্রমণ থেকে তৌহিদ বলটি পেয়ে সাদা-কালোর শিবিরের ডিফেন্ডারদের ফাকি দিয়ে বলটি নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েই শট করেন। মোহামেডানের ভারপ্রাপ্ত কোচ জুয়েল রানা এই হারের জন্য তাই ভাগ্যকেই দুষেছেন। “আমরা যে সুযোগগুলো পেয়েছি তা কাজে লাগাতে পারলে হারতো হারতে হতো না। আসলে এখানে ভাগ্যকে দোষারোপ করা ছাড়া কিছুই বলার নেই। ” “আর আবাহনী শুরুতেই এক গোল পেয়ে পরবর্তী সময়ে সময়ে এই গোল ধরে রাখতে নানান কৌশল অলম্বন করেছে।

এতে তারা সফল হয়েছে”, যোগ করেন মোহামেডান কোচ। আবাহনীর ভারপ্রাপ্ত কোচ অমলেশ সেন বলেন, “প্রাপ্ত সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারায় মূলত আমারা জয় পেয়েছি। শুরু থেকেই সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম, ছেলেরা তা কাজে লাগিয়েছে। তাছাড়া কোয়ার্টার ফাইনালে শেখ জামালকে এড়াতে হলে এই ম্যাচে জয় পাওয়া অত্যাবর্শক ছিল। এতে আমরা সফল হয়েছি।

” টানা দুই ম্যাচ জিতে আবাহনী ‘ডি’ গ্রুপ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তারা আগের ম্যাচে রহমতগঞ্জ এমএফসকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল। আর মোহামেডান এক জয় নিয়ে হয়েছে গ্রুপ রানার্সআপ। স্ট্রাইকার জাহিদ হাসান এমিলির হ্যাটট্রিকে তারা ৫-২ গোলে জিতেছিল রহমতগঞ্জের বিপক্ষে। আবাহনী ২৯ নভেম্বরের কোয়ার্টার ফাইনালে প্রতিপক্ষ পেয়েছে ‘এ’ গ্রুপ রানার্সআপ ফেনী সকার ক্লাবকে।

আর ২৮ নভেম্বর মোহামেডানের প্রতিপক্ষ ‘এ’ চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।