দুই গোল করে শেখ জামালের জয়ের নায়ক হাইতির স্ট্রাইকার সনি নর্দে।
৩৪ মিনিটে মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলামের ক্রস থেকে বল পেয়ে, প্রতিপক্ষের তিন জন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দারুণ প্লেসিং শটে দলকে এগিয়ে দেন নর্দে।
৫৫ মিনিটে আবার নর্দের লক্ষ্যভেদ। দুই ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে, বক্সের সামান্য বাইরে থেকে দুর্দান্ত শটে গোল করেন তিনি।
এবারের ফেডারেশন কাপে এটা নর্দের পঞ্চম গোল।
মৌসুম-সূচক টুর্নামেন্টটিতে তিনিই এখন সর্বোচ্চ গোলদাতা।
গত মৌসুমে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রর ‘ট্রেবল’ জয়ের অন্যতম নায়ক অবশ্য হ্যাটট্রিক করতে পারেননি। ৬৭ মিনিটে মোহামেডানের নাইজেরীয় মিডফিল্ডার সিসান আইডুর লাথিতে ডান পায়ের হাঁটুতে ব্যথা পেয়ে মাঠ ছেড়ে হাসপাতালে যেতে হয়েছে নর্দেকে।
এর প্রতিবাদ করায় শেখ জামালের নাইজেরীয় কোচ জোসেফ আফুসিকে মাঠ থেকে বের করে দেন রেফারি তৈয়ব হাসান বাবু।
৮২ মিনিটে শেখ জামালের জয় নিশ্চিত করা গোলটি অধিনায়ক মামুনুলের।
মিডফিল্ডার সোহেল রানার শট মোহামেডানের একজন ডিফেন্ডার ফিরিয়ে দিলেও মামুনুলের কোনাকুনি শট কেউ ঠেকাতে পারেনি।
দুই মিনিট পর বক্সের ভেতর ঢুকে আড়াআড়ি শটে মোহামেডানের সান্ত্বনাসূচক গোলদাতা চুকা চার্লস।
আফুসি এই জয়ের পুরো কৃতিত্ব দিয়েছেন নর্দেকে। খেলা শেষে শেখ জামালের কোচ বলেন, “সনি পুরো ম্যাচের চিত্রই পাল্টে দিয়েছে। মাঠে সে যতক্ষণ ছিল ততক্ষণ প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগকে তটস্থ করে রেখেছে।
খেলেছেও অসাধারণ। যা আমার দলের জয়ে প্রধান ভুমিকা রেখেছে। ”
“তবে তাকে যেভাবে ফাউল করা হয়েছে তা মেনে নেয়া যায় না। রেফারির সেই খেলোয়াড়কে লাল কার্ড না দেখিয়ে হলুদ কার্ড দেখানোর সিদ্ধান্ত ছিল ভুল। ”
মোহামেডানের ভারপ্রাপ্ত কোচ জুয়েল রানা বলেন, “প্রথম দুটি গোলই হয়েছে আমাদের ডিফেন্ডারদের ভুলে।
কিছুটা ব্যর্থতা ছিল গোলরক্ষকেরও। তাই আমাদের হারতে হয়েছে। ”
“সনি যখন বল পেয়েছে তখন আমাদের ডিফেন্ডারদের অনেক বেশি নার্ভাস মনে হয়েছে। যেন সনিকে আটকানোর কোনো ক্ষমতাই তাদের নেই!”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।