আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মর্যাদার লড়াইয়ে আবাহনী গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা, জার্মান-ইংল্যান্ড, বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-চেলসি, বায়ার্ন মিউনিখ-বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড ডার্বির মতোই বাংলাদেশে মর্যাদার লড়াই আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ। মানের দিকে হয়তো ধারে কাছে নেই দলগুলোর। তবে পিছিয়ে নেই জনপ্রিয়তায়। গতকাল দেশের দুই জনপ্রিয় ফুটবল দল আবাহনী ও মোহামেডান মুখোমুখি হয়েছিল ঘরোয়া মৌসুমের প্রথম ডার্বি লড়াইয়ে। সেই লড়াই দেখতে উপচেপড়া দর্শকের ভিড় হয়নি বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে।

মাঠে উপস্থিত হাজার পাঁচেক ফুটবলপ্রেমীর মনও ভরেনি দুই দলের ফুটবল সৌকর্যে। কিন্তু দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াইয়ে হাসিমুখেই মাঠ ছেড়েছেন আকাশী-হলুদ জার্সিধারী সমর্থকরা। আবাহনী ২-০ গোলে চির প্রতিপক্ষ মোহামেডানকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে। কোয়ার্টার ফাইনালে আবাহনীর প্রতিপক্ষ ফেনী সকার এবং মোহামেডানের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। দিনের প্রথম খেলায় শেখ জামাল ১-০ গোলে হারিয়েছে ফেনী সকারকে।

গতকালের খেলায় মুখোমুখি হওয়ার আগে জয় নিয়েই লড়াইয়ে নেমেছিল দুই দল। আবাহনী ঘানার স্ট্রাইকার ওসেই মরিসনের হ্যাটট্রিকে রহমতগঞ্জকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল আবাহনী। মোহামেডান জাহিদ হোসেন এমিলির হ্যাটট্রিকে ৫-২ গোলে হারিয়েছিল পুরনো ঢাকার দলটিকে। সে হিসেবে গতকালের ম্যাচে অপেক্ষাকৃত সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল সাদাকালো শিবির। ড্র করলেই নক আউট পর্বে এড়াতে পারত শেখ জামালকে।

কিন্তু পারেনি। দুই অর্ধের দুই গোলে হেরেছে মতিঝিল পাড়ার দলটি।

শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের মিনিট পাঁচেক পর। খেলা মাঠে শুরুর পর নিজেদের গুছিয়ে নিতে সময় নেয় দুই দল। গুছিয়ে নেওয়ার ফাঁকেই ১০ মিনিটে এগিয়ে যায় আকাশী-হলুদ ফ্রি কিকের সুইংয়ে পরাস্ত হন মোহামেডানের গোলরক্ষক মামুন খান।

সেই সুযোগে বঙ্ েদাঁড়ানো আবাহনীর ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার লুইস রুমোলো ডি ক্যাস্ট্রো হেডে বল জালে পাঠান (১-০)। পিছিয়ে পড়ার পর গোল শোধের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে মোহামেডান। ১৬ মিনিটে আচমকা গোলের সুযোগ পেয়েছিল সাদাকালো শিবির। বঙ্রে ডান প্রান্তের কোণা থেকে মাটিঘেঁষা শট নেন জাহিদ হোসেন। আবাহনীর রক্ষণভাগকে ফাঁকি দিয়ে চলতি বলে টোকা দেন এমিলি।

কিন্তু বল জালে ঢোকার আগে আবাহনীর গোলরক্ষক সোহেল খান ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন দলকে। তিন মিনিট পর আবারও সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল মোহামেডান। কিন্তু এবারও ফিনিশিংয়ের অভাবে গোলের দেখা পায়নি সাদাকালো শিবির। এমিলির মাইনাস ধরে চুকা চার্লস কাটিয়ে ছোট বঙ্ থেকে প্লেসিং শট নেন। এবারও সোহেলকে পরাস্ত করতে পারেনি।

এরপর প্রথমার্ধে আর কোনো শানানো আক্রমণ ছিল না দুই দলের। প্রথমার্ধে এক গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আবাহনী।

দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য মোহামেডান আক্রমণ করে খেলতে শুরু করে। কিন্তু 'চিনের প্রাচীর' হয়ে থাকা আবাহনীর রক্ষণভাগকে কোনোভাবেই পরাস্ত করতে পারেনি। এরমধ্যেই ৬২ মিনিটে আচমকা দুরপাল্লার শট নেন রোমুলো।

যতটা ধারাল ছিল তার শট, ঠিক ততটাই দক্ষতার সঙ্গে রক্ষা করেন মামুন। তিন মিনিট পর আবারও গোলের সুযোগ করে দেন রোমুলো। বঙ্রে মাথা থেকে রোমুলো মাইনাস করেন ফাঁকায় দাঁড়ানো মরিসনকে। কিন্তু মরিসন বল ধরে শট নিলেও আগুয়ান গোলরক্ষক মামুনকে পরাস্ত করতে পারেননি।

ফলে গোলসংখ্যা দ্বিগুণ করা হয়নি আবাহনীর।

অবশ্য ৭৫ মিনিটে আকাশী-হলুদ শিবিরের জয় নিশ্চিত করেন মরিসন। রক্ষণভাগ থেকে ওয়ালী ফয়সালের বাড়ানো বল ধরে তৌহিদ বঙ্রে মধ্যে ফাঁকায় দাঁড়ানো মরিসনকে দেন। এবার ভুল করেননি ঘানাইয়ান স্ট্রাইকার। যদিও তার প্রথম শট সাইড বারে লেগে ফেরত আসে। তবে দ্বিতীয়বার ফিরতি বলে গোল করেন (২-০)।

টুর্নামেন্টে মরিসনের এটা চতুর্থ গোল।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.