জালিমের ফাঁসি হোক, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি হোক, রাজাকারদের ফাঁসি হোক
চুপে চুপে বা জোরে আামিন বলা নিয়ে অনেক জায়গায়ই ফিতনা হয়।
হানাফী মাযহাবে এ নিয়ে কি ফয়সালা রয়েছে , আসুন তাই দেখি।
হানাফী মাযহাবের ইমাম, ইমামে আ’যম হযরত আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি হাদীছ শরীফের হাকিম ছিলেন । অর্থাৎ তিনি সমস্ত হাদীছ শরীফ সম্পর্কে ইলম রাখতেন । যার কারণে উনার প্রতিটি মাসয়ালার স্বপক্ষে হাদীছ শরীফ থেকে দলীল-আদিল্লাহ রয়েছে ।
অতএব, হানাফী মাযহাবে সূরা ফাতিহা শেষে ‘আমীন’ চুপে চুপে বলে সে বর্ণনা বা প্রমাণ অসংখ্য হাদীছ শরীফ দ্বারাই ছাবিত রয়েছে ।
যেমন হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে,
“হযরত ওয়ায়িল বিন হজর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন আল্লাহ্ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সূরা ফাতিহা পাঠ শেষ করে আমীন বলতেন এবং তা অনুচ্চ আওয়াজে তথা চুপে চুপে বলতেন । ” (তিরমিযী শরীফ)
হাদীছ শরীফে আরো ইরশাদ হয়েছে,
“হযরত আবূ ওয়ায়িল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, হযরত উমর ফারূক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বিসমিল্লাহ্, আউযুবিল্লাহ্ ও আমীন চুপে পাঠ করতেন । ” (ত্বহাবী শরীফ)
হাদীছ শরীফে আরো ইরশাদ হয়েছে,
“হযরত উমর ফারূক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, ইমাম চারটি জিনিস চুপে পাঠ করবে । ১. আউযুবিল্লাহ্, ২. বিসমিল্লাহ্, ৩. আমীন, ৪. সুবহানাল্লাহ্ ।
” (বায়হাক্বী, তবারানী)
হাদীছ শরীফে আরো ইরশাদ হয়েছে,
“হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, ইমাম তিনটি জিনিষ চুপে চুপে পাঠ করবে। ১. আউযুবিল্লাহ্, ২. বিসমিল্লাহ্, ৩. আমীন । ” (আমানিউল আহবার)
উপরোক্ত বর্ণনার মাধ্যমে ছাবিত বা প্রমাণিত হয়েছে যে, ইমাম, মুক্তাদী সকলের জন্যই সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর চুপে চুপে আমীন বলা খাছ সুন্নতের অন্তর্ভূক্ত ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।