অবরোধের কারণে উৎপাদন শুরু করার মাত্র তিন দিনের মাথায় নাটোরের দুই চিনিকল নাটোর সুগার মিল ও নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল বন্ধ হয়ে গেছে। ক্ষেত থেকে আখ চিনিকলে আসতে না পারায় কল দুটির উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এতে কর্তৃপক্ষ ও আখচাষিদের প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা লোকসান গুণতে হচ্ছে।
জানা গেছে, ২৮ হাজার পাঁচশ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে গত ২২ নভেম্বর শুক্রবার দুপুরে এ বছরের উৎপাদন মৌসুম শুরু করা হয়। এর মধ্যে নাটোর চিনিকলে ১ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ১২ হাজার মেট্রিক টন চিনি ও নর্থ বেঙ্গল চিনিকলে ২ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ১৬ হাজার পাঁচশ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
কিন্তু অবরোধ শুরুর আগেই সোমবার রাত থেকে বিভিন্ন সড়কে আখ বহনকারী গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। চাষিরাও অবরোধকারীদের হামলার ভয়ে আখ নিয়ে চিনিকলে আসছেন না। ফলে মঙ্গলবার সকালে চিনিকল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
নাটোর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরশাদ হোসেন জানান, অবরোধ ও হরতার বন্ধ না হলে চিনিকল চালু করা সম্ভব না।
নর্থ বেঙ্গল চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেন, গতবারের উৎপাদিত বিপুল পরিমাণ চিনি এখনো অবিক্রিত থাকায় এমনিতে লোকসান গুণতে হচ্ছে।
তার ওপর অবরোধের কারণে অতিরিক্ত ব্যয় হওয়ায় আরও আর্থিক ঝুঁকির মধ্যে পড়েছি।
এদিকে, মিলে আখ সরবরাহ করতে না পেরে চাষিরাও পড়েছেন বিপাকে। সদর উপজেলার আখচাষি আব্দুস সালাম বলেন, ধার-দেনা করে একবছর ধরে আখ চাষ করেছি। এখন তা বিক্রি করে যাবতীয় খরচ মেটানোর কথা। কিন্তু মিল বন্ধ থাকায় আখ বিক্রি করতে পারছি না।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।