ও ভাই, কে আছেন... শুনছেন! ভাসমান শ্রমিক মজিদ মিয়ার ছোট ছোট বাচ্চাগুলো না খেয়ে আছে। কাজ নেই। অবরোধে থমকে গেছে দেশ তবু পেটের কি বিলাসিতা... কেবল ভাত চায়। মোটা চালের ভাত।
বড় মেয়ের বিয়ে দিতে গিয়ে অটোরিকশা চালক রুস্তম আলী নিজেকে বন্ধক রেখেছেন এনজিওর পাশ বইয়ের ভাঁজে।
অবরোধের আগুনের ভয়ে ফাঁকা পকেট, শূন্য হাঁড়ি, ছোট মেয়ের মলিন মূখ আর রাত পোহালে কিস্তির টাকার জন্য খেকশেয়ালের হাঁকডাক... রুস্তম আলী আকাশের পানে চেয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন, যেন বেঁচে থাকাটা আজন্ম পাপ!
ককটেলের আঘাতে রক্তাক্ত আনোয়ারা বেগম ২০ মিনিট রাজপথে পড়েছিলেন। কেউ এগিয়ে আসেনি। অতঃপর আনোয়ারা বেগম মরে গেছেন। দুই দল ক্ষমতালোভীদের অশ্লীল রাজনীতির হিংস্র থাবায় মরে গেছে আরও ২০ জন। নিহতদের ভীড়ে হারিয়ে যায় আহতদের আর্তনাদ... প্রিয়জনের কান্না আর স্বজনের শোকার্ত হাহাকার।
হায়! মানব জীবন এতো সস্তা আর মূল্যহীন কেন? এতো এতো মানুষ মরে তবু রাজনীতিবিদদের টনক নড়ে না। আচ্ছা, কতটুকু বিবেক বিসর্জন দিলে অনুভূতিহীন আর পাথুরে হৃদয়সম রাজনীতিবিদ হওয়া যায়?
ডিওএইচএসের বিশাল রাস্তা আজ প্রায় ফাঁকা। বিষন্য লাইট পোষ্টের আলোয় দাঁড়িয়ে আছি। বাতাসে বেহালার করুন সূর। রক্তের ঘ্রান।
বিদ্রোহী সুধাংশুরা একদিন জেগে উঠবে। বিপ্লবী শ্লোগানে মুখোরিত হবে রাজপথ। অবশেষে একদিন ভোর হবে! সেদিন কবে আসবে জানি না। আমি তাই হাঁটা ধরি বেদনাসিক্ত মন নিয়ে... নিকোটিন বড় প্রয়োজন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।