পাবনার চাটমোহর উপজেলার বোথর গ্রামে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক খালেকুজ্জামানকে (৪১) কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। গত বুধবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দলীয় কোন্দলের জের ধরে এ হামলার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন আহত নেতা।
আহত ব্যক্তির পরিবার জানায়, খালেকুজ্জামান রাতে নিজ ঘরে ঘুমিয়েছিলেন।
রাত দুইটার দিকে একদল সন্ত্রাসী সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে তাঁকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। তাঁর চিৎকারে বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। রাতেই খালেকুজ্জামানকে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেকুজ্জামান অভিযোগ করেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সাংসদ (পাবনা-৩) মকবুল হোসেনের সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেনের বিরোধ চলছে। তিনি সাংসদের সমর্থক হওয়ায় সভাপতির লোকজন তাঁর ওপর এ হামলা চালিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের স্থানীয় সূত্র জানায়, চাটমোহরের বিভিন্ন বিলের মাছ বিক্রির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দলের এই দুই নেতার মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। পরে সংসদ নির্বাচনে দুজনই প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিলে বিরোধ চরমে ওঠে।
আওয়ামী লীগের নেতা সাখাওয়াত হোসেন অবশ্য বলেন, ‘হামলার সঙ্গে আমার লোকজনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বিলের মাছের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে সাংসদের লোকদের অভ্যন্তরীণ বিরোধেই এসব ঘটেছে। ’ সাংসদ মকবুল হোসেন বলেন, ‘আহত খালেকুজ্জামান আমার খুবই ঘনিষ্ঠ।
তাঁর ওপর এই হামলায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ’
চাটমোহর থানার ওসি আসাদুজ্জামান মুন্সি বলেন, ‘আহত খালেকুজ্জামান সন্ত্রাসীদের চিনতে পেরেছেন। তিনি আমাদের নামগুলো জানিয়েছেন। আমরা তাঁদের আটকের চেষ্টা করেছি। এ ঘটনায় মামলা দায়েরেরও প্রস্তুতি
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।