আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কলকাতা টু আগ্রা - দিল্লি আর ঘাগরা

জীবন মানে এ গিয়ে চলো, ভাল থাকার প্রচেষ্টায় এগিয়ে যাই।

রাত ১১,৪০ মিঃ এ হাওড়া থেকে আগ্রা যাবার ট্রেন, ট্যাক্সি করে সিয়ালদা থেকে হাওয়া পৌঁছলাম ঠিক ১১ টায়, ফটা ফট কিলিক মেরে নিলাম এর পর গেলাম ইনফরমেশন ডেস্ক এ, কিন্তু লাভ হল না কোন। অনেক ভিড় দেখে বেড়িয়ে এলাম। টিকেটে প্লাটফর্ম নাম্বার দেখেনিলাম, এর পর গেলাম ওই প্লাটফর্ম এ। সেখানে বিসাল এক তালিকা দেখে আবার চোখ রাখলাম টিকেট এ, এবার বগি নাম্বার ও আসন নং দেখে খুজতে লাগলাম আমার নাম ওই তালিকায় আছে কিনা।

অতঃপর খুজে পেলাম আমার নাম। এর পর যথা সময় ট্রেন আসল কিন্তু এত লম্বা ট্রেন আমার জীবনে দেখিনি, প্লাটফর্ম দিয়ে দৌড়াতে লাগলাম কারন আমার তখন ১১,৩০ মিঃ এর পর পেলাম কাঙ্খিত সেই বগি, উঠলাম ট্রেন এ। আর কলকাতা থেকে আগ্রা ১৫০০ কিঃমিঃ তাই কিছু শুকনা খাবার ও পানি কিনে নিলাম । ট্রেন এ সব খাবার ই পাওয়া যায় কিন্তু দামটা একটু বেশি। সব মিলিয়ে নন এসি তে খরচ ৬০০ টাকা টিকেট আর ২০০/২৫০ রুপি খাওয়া।

১১,৪০ মিঃ এ ট্রেন ছেরে দিল, চলতে শুরু করল আগ্রা এর উদ্দেশে। ঘুমিয়ে পড়লাম আমার সিলিপারে। অতপর সকাল হল দেখলাম নাস্তা / পানি / খাবার নিয়ে ট্রেন এর ক্রু রা হেটে চলছে । আমি মোবাইল চার্জ দিলাম এবং প্রাত কর্ম সেরে নিয়ে নাস্তা খেলাম। আমার পাসের সিটে ছিলেন একজন টিচার ( ইঞ্জিনিয়ার), তার সাথে গল্প চলছে।

সকাল ১১ টার দিকে আমাদের ট্রেন ''মুঘলসর'' এ থামল। ১০/১৫ মিনিট বিরতি দিল, যার জা দরকার কিনে নিল, আবার ট্রেন চলতে চলতে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে তুন্দলা আসল, তুন্দলা এর পর ইয়ামুনা ( যমুনা ) নদী পার হলেই আগ্রা ক্যান্টনমেন্ট এস্তেসন। এখানেই নামতে হবে। এর পর আপনি চাইলে রিক্সা / ট্যাক্সি ধরে হোটেল এ চলে যান, তবে আমি আগ্রা মূল শহর এ ছিলাম, এম জি রোড এর শ্রী প্যালেস হোটেলে। আপনি চাইলে তাজ এর আসে পাসে ও থাকতে পারবেন, শ্রী প্যালেস এর ডিলাক্স এসি রুম ভাড়া ৮০০ রুপি।

এই হোটেলে এর ভিতরে আছে একটা বাঁর আর খাবার এর হোটেল। আপনি অবশ্যই দিল্লির বিরিয়ানি খেতে ভুলবেন না যেন চলবে

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।