জীবনে যা চেয়েছি তাই পেয়েছি কোন চাওয়াই অপূর্ন নেই । বড়লোক হওয়ার খুব সখ
আমার সাথে আমার এক বন্ধু যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু ভিসা পাওয়ার পর আর কোনভাবেই অপেক্ষা করতে পারলাম না। আমার বন্ধু কাজের চেয়ে চাপায় বেশি বিশ্বাসী তাই তাকে ফেলেই ১৭ তারিখ রওয়ানা দিলাম কলকাতার উদ্দেশ্যে ২ দিন আগে বিমানের (Regent Air) টিকেট কাটলাম ১২,২০০ টাকা দিয়ে। ১৭ তারিখ শুক্রবার সকাল ৬ টার মধ্যে এয়ারপোর্ট গেলাম ৮টার মধ্যে ইমিগ্রেশন শেষ করে ভেতরে গিয়ে বসলাম। খুব একা একা লাগছিল কোথায় থাকবো কি করবো এগুলো ভাবতেই মনটা কেমন জানি করছিল।
আমার পাশে ৪ জন ছেলেব বসেছিল তারাও একই বিমানে যাবে, একবার জিজ্ঞেস করলাম আপনারা কি ঘুড়তে যাচ্ছেন ? ২জন আমার দিকে কেমন করে যেন তাকালো আর ১জন অনিচ্ছাসত্তেও জবার দিল হ্যা...!!
ভেবেছিলাম আমিতো একা, ওদের সাথে যদি জয়েন করতে পারি তাহলে ভালই হবে কিন্তু তা আর হল না।
৮.৩০ এ ফ্লাইট ছিল ৯.৪০ এ বিমান ছাড়ল।
১০.৪৫ কলকাতা পৌছাল..... এয়ার থেকে নেমে খুব খারাপ লাগছিল
মার্কুইস স্রেট যাবো এটা জানি...কিন্তু অচেনা শহর কিভাবে কি করবো মাথায় আসছিলনা...সব ফর্মালিটিস শেষ করে এয়ারপোর্টের এক্সিট গেট পর্যন্ত এসে অনেকক্ষন দাঁড়িয়ে থাকলাম। বের হব কিনা চিন্তা করছি এমন সময় দেখালাম ওই ৪জন ছেলে আমার দিকে আসছে
জিজ্ঞেস করলো কোথায় যাবেন?
বললাম জানিনা, ভাবছি
কি বলেন এটা কোথায় যাবেন সেটাই জানেন না?
আরে ভাই আমিতো একা আসছি কোন প্লান পোগ্রাম ছাড়া তবে এতোটুকু জানি আপাতত মার্কুইস স্রেট যাব
তাদের মধ্যে একজন বলল আমরা আজকে দিল্লী চলে যাব আপনি মার্কুইস স্রেট পর্যন্ত গেলে আমাদের সাথে যেতে পারেন।
তাহলে তো ভালই হয় চলেন... এই বলে তাদের সাথে রওয়ানা দিলাম
যেহেতু সবাই নতুন এয়ারপোর্ট থেকে বের সোজা রাস্তায় হাটা দিলাম
যেতে যেতে জিজ্ঞেস করলাম আপনাদের প্লানটা আমাকে একটু বলেন
যদি কিছুটা মিলে যায় তবে আপনাদের সাথেই যাবো।
তাদের মধ্যে যিনি লিডার সে বলল আমরা আজকে দিল্লী যাবো তারপর জয়পুর কাশ্মির আগ্রা আবার দিল্লী তারপর কলকাতা এসে ২৫ তারিখ ঢাকা ফিরবো। বুঝলাম তাদের সাথে আমার মিলবে না। আমার ব্যাক করার ফ্লাইট ২৪ তারিখ। যাই হোক কিছুক্ষনের মধ্যেই আমাদের সামনে এসে একটা টেক্সি থামলো জিজ্ঞেস করলো কোথায় যাবো
বললাম মার্কুইস স্রেট কত নিবেন ? ৫ জন দেখে ভয় পেয়ে গেল, বলল
আপনারা ৫জন কষ্ট করে বসতে হবে আর ভাড়া একটু বেশি দিতে হবে
বললাম কত?
৫০০ টাকা (টাকা মানে রুপি কলকাতার লোকজন আমাদের মতই টাকা বলে)
বললাম ৩৫০ টাকা দিবো যাবেন?
বলে নাহ হবেনা...বললাম তাহলে যান
কিছু দূর গিয়েই আবার থামলো বলল আর ৫০ টাকা দিয়েন ঊঠেন
আমি বলি নাহ ৩৫০ দিবো গেলে চলেন
বলে উঠেন
সামন একজন আর পেছন ৪ জন গাদাগাদি করে বসলাম
চলবে.........
ভিসা সবার দিধাদন্দ বেশি তাই পরের পর্বে ভিসা নিয়ে বিস্তারিত লিখবো
(দেশে ফিরে চাকরিটা হারালাম তাই লিখার মত মন মানষিকতা নাই আর আমি গুছিয়ে কোন কিছু বলতেও পারিনা লিখতেও পারিনা। কোন ভুল থাকলে সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।