আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পানি থেরাপী....

আসুন মুক্ত চিন্তায় নিজেকে লীন করি, গোড়ামী ও পক্ষপাতিত্ব পরিহার করি। এবার ব্লগে আসলাম এমন একটি থেরাপী নিয়ে যার জন্যে কোন সম্ভাবনা নেই বিন্দুমাত্র অর্থনাশের। জ্বী, পানি থেরাপী। ভারতবর্ষে প্রাণায়ম ও যোগব্যায়ামে এটি অনুষংগ হিসেবে আছে বহু বছর ধরে। জাপানের মেডিকেল সোসাইটি দাবি করেন এই পানি থেরাপীর দ্বারা বহু জটিল ও পুরাতন রোগ সম্পূর্ণ রূপে নির্মূল করা সম্ভব।

পানি থেরাপী কি? ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পানি খাওয়াই হল পানি থেরাপী। তবে এ ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। যেমনঃ- ১। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই দাঁত ব্রাশ এবং হাত মুখ ধোয়ার পূর্বেই ১.৫ লিটার বা ৬ গ্লাস পানি পান করুন। ২।

দাঁত ব্রাশ করুন বাথরুমের সকল কাজ সারুন কিন্তু ৪৫ মিনিটের আগে কোন কিছু খাবেন না বা পানি করবেন না। ৩। ঠিক ৪৫ মিনিট পরে আপনি নরমালি নাস্তা করুন এবং পান করুন। ৪। সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার এবং রাতে খাবারের ১৫ মিনিটের পর থেকে ২ ঘন্টার মধ্যে আর কোন কিছুই খাবেন না বা পান করবেন না এবং ৫।

যে কোন প্রকার এলকোহল যাতীয় পানীয় বা কোমল পানীয় বা এনার্জি পানীয় অব্যশই পরিহার করুন। আসলে আমরা কম বেশী সবাই জানি সকালে খালিপেটে পানি পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। তাই আমরা প্রায় সকলেই সকালে খালিপেটে পানি পান করে থাকি। কিন্তু এটা যদি একটু নিয়ম মাফিক করি তাহলে অনেক পুরাতন ও জটিল রোগ সম্পূর্ণ রূপে নির্মূল করা সম্ভব। জাপানে স্বাস্থ্যসেবা অঙ্গনে এই পদ্ধতি বহুল প্রচলিত।

বিজ্ঞানীরাও গবেষণা করে এর হিতকারী দিক খুজে পেয়েছেন। মাথা ধরা, শরীর ব্যথা, হূদ্যযন্ত্রের সমস্যা, আর্থ্রাইটিস, দ্রুত হার্টবিট, মৃগীরোগ, স্থুলতা, ব্রংকাইটিস, হাপানি, কিডনি ও প্রস্রাবের রোগ, বমি, গ্যাস্ট্রাইটিস, ডায়রিয়া, পাইলস, ডায়াবেটিস, কোষ্ঠবদ্ধতা, চোখের রোগ, নাক ও গলার রোগ, ক্রিমি, ক্যান্সার, ঋতুস্রাব সমস্যা- সবগুলোতেই এই পানি থেরাপী বড় উপকারী। চলুন জানা যাক কোন রোগ থেকে কতদিনে সুস্থতা লাভ করবেন- ১। উচচ রক্তচাপ (High Blood Pressure)- ৩০ দিন। ২।

গ্যাস্ট্রিক (Gastric) - ১০ দিন। ৩। ডায়াবেটিস (Diabetes) - ৩০ দিন। ৪। কনেষ্টিপিসন (Constitaption) - ১০ দিন।

৫। ক্যান্সার (cancer) - ১৮০ দিন। ৬ টিবি (TB) - ৯০ দিন ৭। কোষ্ঠ (১০ দিন) আর্থারাইটিস রোগী প্রথম সপ্তাহে তিন দিন পানি থেরাপী নিবেন, দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে চালিয়ে যাবেন প্রতিদিন। এই থেরাপীর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

প্রথম দিকে একটু বেশি প্রস্রাব হতে পারে মাত্র। এই পানি পানকে প্রাত্যহিক জীবনের অংশ করে নিলে সর্বাঙ্গীন মঙ্গল হবে। আরও আকর্ষণীয় ব্যাপার হল চীনা ও জাপানীরা খাবারের সঙ্গে পান করে গরম চা (গ্রীন টি), ঠান্ডা পানি নয়। হয়তো খাবার গ্রহণের সময় এই অভ্যাস করে নিলে আমাদের জন্যে ভাল হয়। কারণ, খাওয়ার পর ঠান্ডা পানি পান করলে খাওয়া তেল জাতীয় খাবারকে কঠিন করে ঠান্ডা পানি।

ধীরগতি করে পরিপাক ক্রিয়া। এই আঠালো খাদ্যমন্ড যখন অম্লরসের সঙ্গে বিক্রিয়া করে, এটি ভেঙ্গে যাবে এবং কঠিন খাদ্যের চেয়ে দ্রুত শোষিত হয় অন্ত্রে। তবে এটি আস্তরণ ফেলে অন্ত্রে, চর্বিস্তর, ফল ভাল হয় না। বরং খাওয়ার পর হট স্যুপ বা কুসুম গরম পানি পান করা ভাল। তাই রুটিন করে নিন, নিয়ম মাফিক পানি পান করুন আর উপভোগ করুন সুস্থতা, রোগ মুক্ত থাকুন প্রতিদিন আর লাভ করুন দীর্ঘায়ু।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.