আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রতিবন্ধীদের ইউনিয়ন

ঝালকাঠির রাজাপুরের বড়ইয়া ইউনিয়নের সর্বত্র চোখে পড়ে শত শত অসহায় প্রতিবন্ধীর জীবনলীলা।

গোটা রাজাপুর উপজেলার মোট প্রতিবন্ধীর সংখ্যার চেয়েও বড়ইয়া ইউপির প্রতিবন্ধীর সংখ্যা বেশি। আর এ জন্য এ ইউনিয়নটি স্থানীয়দের কাছে প্রতিবন্ধীদের ইউনিয়ন হিসেবে পরিচিত।

পঞ্চাশোধর্্ব বাবার কাঁধে চড়ে বাঁশের সাঁকো পার হতে হতে কথা হয় প্রতিবন্ধী কাদেরের সঙ্গে। এভাবে বাবাকে কষ্ট দিয়ে পথ চলতে খারাপ লাগে ওর।

বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় ছোট ভাই মনিরেরও একই অবস্থা। আদাখোলার হতদরিদ্র দিনমজুর মনসুর আলীর দুই ছেলে কাদের ও মনির দুজনই প্রতিবন্ধী। তাদের হাড্ডিসার দেহ অন্যের সাহায্য ছাড়া বসতেও পারে না। সম্প্রতি শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে গেছেন তাদের মা কুলসুম বেগমও। এ জীবন থেকে মুক্তি পেতে সর্বদা তারা প্রার্থনা করেন মৃত্যুর জন্য।

পালট বড়ইয়া প্রতিবন্ধী সমিতির হিসাব মতে, গোটা ইউনিয়নে প্রতিবন্ধীর সংখ্যা ১৬৬২ জন। এদের মধ্যে শুধু বড়ইয়া গ্রামে ২৪১ ও পালট গ্রামে ২৯৯ জন। এসব প্রতিবন্ধীর জন্য নেই কোনো সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ। অযত্নে-অবহেলায় অতি কষ্টে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। রাজাপুরের স্বেচ্ছাসেবী প্রতিবন্ধী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আলমগীর শরীফ বলেন, একটি ইউনিয়নে এত প্রতিবন্ধীর বাস দেশের কোথাও আছে বলে আমার মনে হয় না।

উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ভবানী শঙ্কর বল বলেন, নানা প্রতিবন্ধকতার জন্য অসংখ্য প্রতিবন্ধীর মধ্যে উপজেলার মাত্র ৩২৭ জন ৩০০ টাকা করে ভাতা পাচ্ছে, যা খুবই নগণ্য। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুখরঞ্জন দাস বলেন, 'আবহাওয়া ও জলবায়ুগত কারণে দুর্গম পালট বড়ইয়ায় প্রতিবন্ধীর সংখ্যা বেশি হতে পারে। এ ছাড়া গ্রামের অশিক্ষিত অসচেতন মায়েদের কারণে প্রতিবন্ধী সন্তান জন্ম নেয়।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.