রিপলিস বিলিভ ইট অর নট
আমাদের ওয়েলকাম প্লাজা হোটেল-এর পাশেই সেই বিখ্যাত রিপলিস বিলিভ ইট অর নট এর জাদুঘর। সকালে নাস্তা শেষে জাদুঘরের সামনে ঘুর ঘুর করছি। আর একটা ছবি তোলা যায় কিনা ভাবছি। ছবি তুলতে পারলে দেশে ফিরে বন্ধুদের কাছে বুক ফুলিয়ে বলা যাবে, এই দেখ রিপলিস বিলিভ ইট অর নট। জাদুঘরের সামনে দেখলাম একজন সুদর্শণ থাই নারী দাড়িয়ে আছে।
পোশাক-আশাকেই বোঝা যাচ্ছে এই জাদুঘরের কর্মী। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, এইখানে ছবি তোলা যাবে কিনা? সে আমার ইংরেজী কী বুঝলো সেই জানে, মিষ্টি হেসে আমাকে একটা ব্রশিয়ুর ধরিয়ে দিল। সেখানে থাই ভাষায় হিজি বিজি লেখা। কিছুই বুঝবার উপায় কী বলতে চাচ্ছে। শুধু এক যায়গায় বুঝতে পারলাম 'রিপলিস বিলিভ ইট অর নট'এর ছবির পাশে লেখা ৩৫০ বাথ।
আর পাশে কয়েকটা সময় উল্লেখ করা। ভাবলাম হয়তো জাদুঘরের ভিতরে প্রবেশ করতে ৩৫০ বাথ লাগবে। কিছুক্ষণের ভিতরেই যেহেতু আমাদের আগে থেকে নির্দিষ্ট স্পট ভ্রমণে বের হয়ে যাবো, সেহেতু এত অল্প সময়ের জন্য ৩৫০ বাথ খরচ করা বোকামীই হবে। আমি আমার মতো ফটাফট ছবি তুলে 'রিপলিস বিলিভ ইট অর নট' জাদুঘরের সামনে থেকে প্রস্থান করলাম। পরে দেশে আসার পর অফিসের এক সহকর্মীর মাধ্যমে জানতে পারলাম 'রিপলিস বিলিভ ইট অর নট'-এ ফোর ডি সিনেমা শো হয়।
তখন একটু বুঝতেও বাকি রইল না যে জাদুঘরের সামনে মেয়েটি আমাকে যে ব্রশিয়ুর ধরিয়ে দিয়েছিল ওইটা ছিল আসলে ফোর ডি সিনেমা শো-এর সময়সূচি। এই জীবনে থ্রিডি সিনেমা দেখাই হলো না আর সেখানে ফোর ডি সিনেমা দেখার সুযোগ পেয়েও হারালাম। দেশে এসে থাই বলদদের মনে মনে গালাগাল দিলাম, তোরা থাই ভাষাকে সর্ব্বোচ্চ গুরুত্ব দিস ঠিক আছে। কিন্তু এমন মাধ্যম তো ব্যবহার করবি যাতে সবাই তথ্যটা পায়। আমি তখন যদি জানতাম 'রিপলিস বিলিভ ইট অর নট'এ ফোর ডি শো হয় তাহলে আমি নিশ্চয় শো দেখার সময় বের করে নিতাম।
(চলবে...)
আমার দেখা থাইল্যান্ড পর্ব-১
আমার দেখা থাইল্যান্ড পর্ব-২
আমার দেখা থাইল্যান্ড পর্ব-৩
আমার দেখা থাইল্যান্ড পর্ব-৪
আমার দেখা থাইল্যান্ড পর্ব-৫
আমার দেখা থাইল্যান্ড পর্ব-৬
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।