রাষ্ট্রায়ত্ব অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে ফলাফল স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত রাজধাণীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, পরীক্ষা শুরুর আগেই শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে এমনকি বিভিন্ন ফটোকফির দোকানে এ উত্তরপত্র পাওয়া যাচ্ছিলো। পরে পরীক্ষা কেন্দ্রেও মোবাইল ফোনে এসএমএস করে উত্তর সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া পরীক্ষা গ্রহণেও নানা অব্যবস্থাপনার অভিযোগ করেছেন পরীক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ শুনেছেন বলে বাংলানিউজকে জানান।
তিনি বলেন, “এ বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। আপাতত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে না। ”
পরীক্ষা বাতিল করা হবে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ”
কেউ ষড়যন্ত্র করছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হবে বলে তিনি জানান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রায় একহাজার জনকে নিয়োগের জন্য এ পরীক্ষায় সাড়ে ৪৫ হাজার প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস (এমআইএস) বিভাগকে।
পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ৭৫ নম্বরের প্রশ্নপত্র ছিল। সকাল নয়টা থেকেই হাতে লেখা প্রশ্নপত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল এবং বিভিন্ন ফটোকপির দোকানে পৌঁছে যায়। অনেকেই মুঠোফোনে আত্মীয় ও পরিচিতদের প্রশ্ন জানিয়ে দেন।
প্রশ্নপত্রে ছিল না কোনো সেট কোড, যা অগ্রণী ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার ক্ষেত্রে নজিরবিহীন।
রাজধানীর তিতুমীর সরকারি কলেজে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া মেহেদী হাসান নামের এক প্রার্থী অভিযোগ করে বাংলানিউজকে বলেন, “পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে দুই টাকায় প্রশ্নপত্রের ফটোকপি বিক্রি হয়েছে। যা পরীক্ষায় হুবহু মিলে যায়। ”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “নিষিদ্ধ থাকলেও পরীক্ষা কেন্দ্রে অনেক পরীক্ষার্থী মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করে। আর মোবাইল ফোনেই এসএমএস করে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান বিভাগের প্রশ্নের উত্তরপত্র পাঠানো হয় পরীক্ষার্থীদের কাছে।
”
আজিমপুরের ওয়েস্ট অ্যান্ড হাইস্কুল কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়া প্রার্থী খোরেশেদ আলম বাংলানিউজকে বলেন, “পরীক্ষার হলে প্রবেশের আগে এক প্রার্থী মোবাইল ফোনে কল করে উত্তরপত্র সরবরাহ করে। যা পরীক্ষায় হুবহু মিলে যায়। ”
পরীক্ষার্থীরা বলেন, এভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গেলে সাধারণ প্রার্থীদের চাকরি পাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে।
সূত্র: বাংলানিউজ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।