শুক্রবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দুই গোল করে শেখ জামালের জয়ের নায়ক হাইতির স্ট্রাইকার সনি নর্দে। এ নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো এই মৌসুম-সূচক টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠলো তারা।
গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচ এবং কোয়ার্টার ফাইনালে কোনো গোল খায়নি আবাহনী। কিন্তু শেখ জামালের মুহুর্মুহু আক্রমণের সামনে ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে যায় তাদের রক্ষণভাগ।
পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যায় শেখ জামাল।
আবাহনীর গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে গোলটি করেন হাইতির স্ট্রাইকার ওয়েডসন অ্যানসেলমে।
শুরুতেই গোল পেয়ে যাওয়ার পর শেখ জামাল আরো আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। তার সুফল পেয়ে যায় ২১ মিনিটের সময়।
আবাহনীর ডিফেন্ডার আতিকুর রহমান মিশু ব্যাক পাস করে এক সতীর্থকে বল দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নর্দে দৌড়ে এসে বল ছিনিয়ে নিয়ে, গোলরক্ষককে কাটিয়ে আলতো শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।
৩৮ মিনিটে আবার নর্দের লক্ষ্যভেদ। ওয়েডসনের পাস ধরে, এগিয়ে আসা গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে প্লেসিং শটে গোল করেন তিনি। চার ম্যাচে ৭ গোল নিয়ে নর্দে এখন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
৪১ মিনিটে মিডফিল্ডার আব্দুল বাতেন কোমলের শট শেখ জামাল গোলরক্ষক জিয়াউর রহমান ঠেকিয়ে দিলে হতাশ হতে হয় আবাহনীকে।
৭৫ মিনিটে আবার আবাহনীর জন্য হতাশা।
বক্সের বাইরে থেকে নেয়া মিশুর চমৎকার শট ক্রস বারের ওপর দিয়ে চলে যায়।
শেষ মুহূর্তে হ্যাটট্রিক করার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন নর্দে। ইনজুরি সময়ে বক্সের মধ্যে আবাহনীর ঘানার ডিফেন্ডার সামাদ ইউসুফ নর্দেকেই ফেলে দিলে রেফারি মিজানুর রহমান পেনাল্টির নির্দেশ দেন। কিন্তু হাইতির স্ট্রাইকারের শট সাইড বারের পাশ দিয়ে বাইরে চলে যায়।
এই জয়ে শেখ জামালের নাইজেরীয় কোচ জোসেফ আফুসি দারুণ খুশি।
তিনি বলেন, “খেলোয়াড়দের সবার প্রচেষ্টার ফলে আমরা জয় পেয়েছি। আজ প্রতিটি বিভাগে প্রত্যেকে নিজের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করেছে। তাই জয় পাওয়া সহজ হয়েছে। ”
আবাহনীর ভারপ্রাপ্ত কোচ অমলেশ সেন বলেন, “শুরুতেই গোল খেয়ে যাওয়ায় আমাদের খেলোয়াড়রা মানসিকভাবে পিছিয়ে পড়ে। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।
আমাদের রক্ষণভাগ খুব একটা জমাট ছিল না। বিশেষ করে নর্দেকে আটকাতে হিমশিম খেতে হয়েছে ডিফেন্ডারদের। ”
খেলা শেষে ফুটবল কমিটির ‘অব্যবস্থাপনা’র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আবাহনীর সমর্থকরা স্টেডিয়ামের চার পাশে মিছিল করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।