নির্বাচন ও সর্বদলীয় সরকারের মন্ত্রিপরিষদ থেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের সরে দাঁড়ানোর সর্বশেষ ঘোষণা নিয়ে দুই দিন ধরে তাঁর জেলা রংপুর ছিল আলোচনায় মুখর। বিয়েবাড়ি থেকে শুরু করে হাটবাজার পর্যন্ত এরশাদের নাটকীয় সব সিদ্ধান্ত নিয়ে চলছে হাসি-তামাশা, আলোচনা-সমালোচনা, তর্ক-বিতর্ক।
এলাকাবাসী জানান, রংপুর শহরের নিউ সেনপারায় এরশাদের বাড়ি। এই রংপুর থেকে এরশাদ ও তাঁর দল বার বার নির্বাচিত হয়ে আসছে। এরশাদ নিজে এখান থেকে ১৯৯১ সালে পাঁচ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পাঁচটিতে এবং ১৯৯৬-এ তিনটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনটিতেই জয়ী হন তিনি।
২০০১ সালে মামলাসংক্রান্ত জটিলতায় নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেননি এরশাদ। এরপর ২০০৮ সালে রংপুরের একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন তিনি। রংপুর এরশাদের ঘাঁটি বলা চলে। তার পরও এবার একেক সময় একেক কথায় এখানকার জনমনেও বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। তবে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণায় জাতীয় পার্টি স্থানীয়ভাবে যথারীতি আনন্দ মিছিল বের করে।
শহরের রিকশাচালক সেলিম মিয়া গতকাল শুক্রবার বলেন, ‘দিন যত যাইতোছে ততই হামার এরশাদোক নিয়া আলোচনা হইতোছে। এই মানুষটার এত বয়স হইল কিন্তু কথার কোনো দাম নাই। হের কথা কবার গেইলে মানুষ খালি হাসে। ’
শহরের জাহাজ কোম্পানি মোড়ের এক চা দোকানের কর্মচারী সিরাজুল হোসেন বলেন, ‘উনি (এরশাদ) এখন সত্য কথা বললেও মানুষের কাছোত সে কথারও দাম নাই। ’
শহরের কাচারী বাজারে জেলা জাতীয় পার্টির কর্মী মাহবুব হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘হামার এরশাদ এমন কথা কইতে কইতে পার্টিটাকই শেষ করি দেবে।
’
জেলা জাতীয় পার্টির সহসভাপতি সৈয়দ নূর আহমেদ অবশ্য বলেন, ‘রাজনীতিতে শেষ বলে কোনো কথা নেই। এরশাদ যেদিকে রংপুরের জাতীয় পার্টিও সেদিকে। ’ তবে এবার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণায় স্থানীয় পর্যায়ে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের সত্যিই কিছুটা বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়েছে বলে জানান সৈয়দ নূর।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।