তবে মধ্যবর্তী নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে সহিংসতা বন্ধ এবং প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে রাজনৈতিক সমঝোতার বিষয়টি তুলে ধরেছেন তিনি।
দশম সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত আনিসুল ইসলাম ভোটের দুদিন পর মঙ্গলবার তার গুলশানের বাড়িতে সাংবাদিকদের বলেন, “সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় এই নির্বাচন হয়েছে। একটি বড় দল নির্বাচনে আসেনি।
“ব্যক্তিগতভাবে আমি মধ্যবর্তী নির্বাচনের পক্ষে। কারণ দেশকে বিভক্ত করে কেউ খুশি হতে পারবে না।
”
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের ভোট ঠেকানোর হুমকির প্রেক্ষাপটে সংঘাতের মধ্যে ৫ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ হয়েছে। ভোটের পরও হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি রয়েছে বিরোধী জোটের।
আনিসুল বলেন, “সহিংসতা কোনো সমাধান নয়। একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সহিংসতা কখনোই কাম্য নয়। সহিংসতা হবে না, এমন একটি আন্ডারস্ট্যান্ডিং এ পৌঁছতে হবে।
”
নানা নাটকীয়তার জন্ম দিয়ে এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছে জাতীয় পার্টি। দলের চেয়ারম্যান নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে নাটকীয় অসুস্থতায় হাসপাতালে ভর্তি থেকেই ভোটে জিতেছেন।
এই নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিপক্ষে দলের একটি অংশ থেকে বক্তব্য এলেও আনিসুল বলেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচনে না গেলে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হত।
জাতীয় পার্টি নবনির্বাচিত দুই সংসদ সদস্য এক দিন আগেই বলেছেন, তারা সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রী রওশন এরশাদের নেতৃত্বে সংসদে যাবেন।
মহাজোটের হয়ে গত সরকারে থাকা জাতীয় পার্টির এবারের অবস্থান কী হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “জাতীয় পার্টি দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
“এ অবস্থায় বিরোধী দল হিসেবে থাকলেও জাতীয় পার্টি সরকারের অংশ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে সাংবিধানিক কোনো বাধা নেই। ”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।