আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অসম্ভবের আত্মপ্রকাশ :: আসছে নতুন চেতনা :: ঐ দেখো সবাই জেগে উঠেছে।

বাংলাদেশী জাতি আজ মহা দূর্যোগে। এক মহাজাগরণের ধামামা চারিদিকে বাজছে। কান খাড়া করে শুনুন। আজ আমার ভাই বোনের রক্ত দিয়ে রাজনীতিবিদরা খেলছে। তবুও তাদের রক্তস্নান শেষ হচ্ছে না।

এ কোন খেলা? এ কোন রাজতীতি? বাংলাদেশের ইতিহাস বাড় গৌরবের। এই জাতির মহান স্বধিনতা যুদ্ধের মতো এতো অল্প সময়ে এতো রক্ত আর কে দিয়েছিলো। বিশ্বের বুকে আমরা কেনো মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারি নি। আজকের এই রাজনীতি বিদরা কারা? তারা যদি গণতন্ত্রের মধ্য দিয়েই এসে থাকে তাহলে এতো রক্ত কেনো। এতো এতো রক্ত প্রাণ যাচ্ছে কোন দাবির জন্য।

কি এমন জিনিস আমাদের অর্জনের বাকি আছে যার জন্য আজ আমাদের মতো নিরিহ মানুষদের জীবন দিতে হচ্ছে। আজ স্পষ্ট করে বলার সময় এসেছে স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশে কি কখনও গণতন্ত্র এসেছিলো? নাকি কিছু কিছু পরিবার, দূর্ণীতিবাজ, ঘুষ খোর, চাঁদাবাজদ, দালাল, ধর্মের নানে ভন্ডামি, শিক্ষিত চোর ও স্বার্থলোভি ব্যাবসায়ীর বলয়ের মধ্যে গণতন্ত্র বন্দি হয়ে আছে। আজ অনেক প্রতিভাধরদের আবেগের সাথে বলতে শুনি ছাত্র রাজণীতি বন্ধ করা দরকার। এই ছাত্র রাজনীতি দেশকে খেয়েছে। আসলে ছাত্র রাজনীতি কি আদৌ আছে।

সেই কবে এই ভন্ড প্রতারকরা আস্তে ধীরে ঠান্ডা মাথায় ছাত্র রাজণীতিকে বন্ধ করে দিয়েছেন তা কি তোমরা খেয়াল করো নি? আজ ছাত্র রাজণীতিতে শুধু রাজণীতি আছে, ছাত্র নেই। আজ আর কেউ তার সন্তান কে রাজনীতিবিদ বানাতে চায়না। তারা চায় তাদের সন্তান ডাক্তার হোক, ব্যারিষ্টার হোক, ইঞ্জিনিয়ার হোক, পাইলট হোক তাহলে ছাত্র রাজনীতির নামে এই মা বাবার অবাদ্ধ সন্তান কারা? কে তাদের অভিভাবক? তাদের অভিভাবক এই রাজনীতিক নামের পশুটি। তারা তাদের ব্যবসার জন্য, তারের ব্যাংক ব্যালেন্স পাওয়ার ভারি করতে কিছু মায়ের বুক থেকে সন্তান কেড়ে নিয়ে চাঁদাবাজ, গুন্ডা, জোচ্চোর, ব্লাকমেইলার বানিয়েছে। তাতে এই অবুঝ বাচ্চাদের দোষ কোথায়? আর এই বাচ্চাদের যারা সেল্টার দিচ্ছে তাদের সেল্টার দেয়ার নামে কিছু খারাপ মানুষ আজ রানীতির নাম করে পুরো দেশকে রক্তের হলি খেলায় মাতিয়েছে।

আজ মানুষের দেয়া আগুনে মানুষ পুরছে। পুরো জাতি হা হা করে দেখছে। আরে বন্ধু দেশই যদি না বঁচে আপনার সন্তান ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ডক্টরেট, ব্যারিস্টার হয়ে কি করবে? এখনার ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সরকারী চাকুরীজিবিরা কি ধোয়া তুলশী পাতা? পুরো জাতি আজ নিরব হয়ে বসে আছে। বন্ধু তোমার ভিতরের মানুষটিকে জাগিয়ে তোলো। নয়ন তুলে স্পষ্ট করে দেখো একটি পরিবর্তন আসছে।

এই মূহুর্তে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী দারুন সংকটে। বিশ্বময় যে দেশের সেনাবাহিনী দাপোট দেখায়। যে দেশের সেনাবাহীনি অন্য রাষ্ট্রের নিরাপত্তা দেয় সে বাহিনি আজ কেনো চুপচাপ। তারা কেনো এই কসাইদের মেরে তছনছ করছে না। তারা কি বোঝে না এই মুষ্টিমেয় কিছু কুলংঙ্গারদের মেরে ফেললে দেশ থেকে ময়লা আবর্জনা সরে যাবে।

আমাদের তরুন সমাজ অনেক বেশী সম্ভাবনাময়। আজ দেশে ভালোমানের ইন্টারনেট সেবা ও আউটসোর্সিং এর বিশ্ব মার্কেট ধরতে পারলে আমরা একটি ধনি রাষ্ট্রে পরিনত হতে পারতাম। আমরা আদর্শের নামে কোন আদর্শের পথে হাটছি? কোন মৃত্যুক্ষুধা আমাদের এই নিরিহ সুন্দর জাতটিকে টেনে হিছরে কামড়াচ্ছে। আজ রাজনীতি এক অভিশাপের নাম। রাজনীতিবিদদের নামে কাদের আমরা মঞ্চে উঠতে দেখছি।

আজ কে কামাল আতাতুর্কের মতো কিংবা মাহতির মোহাম্মদের মতো দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এই যুগ অসীম সম্বাবনার যুগ। আমরা যা দেখেছি কোনো কালের মানুষ এতো অল্প সময়ে এতো পরিবর্তন দেখেনি। তাহলে কিসের এই পরিবর্তনের জন্য দৌরানো। একই মোরকে দুটি ভিন্ন দল দেশকে তছনছ করছে।

কে বলেছে বাংলায় নেতা নেই? কে বলেছে বাংলায় মানুষ নেই? কে বলছে বাঙালী জাগতে জানে না? আজ দেশাত্ববোধের তলে সবাই আসন গ্রহন করলে ও ঠিকই চলে যেতে বাধ্য হবে। আজ একটা পরিবর্তন আসছে। অনেক দিনের অনিয়মের পরে নিয়ম আসতে বাধ্য। অনেক ভুলের পরে শুদ্ধ হবেই। মানুষের এই ছোট্ট জীবনের কোনো ত্যাগই বৃথা যায় না।

আজ কিসের গণতন্ত্রের নামে আন্দোলন হচ্ছে। গণতন্ত্র কি আমার ভাই বোনের রক্ত? এই নষ্ট রাজনীতিবিদদের অনেক দিনের পাপের ফল আজ পুরো জাতির উপর পড়ছে। আমরা না জাগলে কে আমাদের জাগাবে? গনতন্ত্র কি? একবার ভেবে দেখো বন্ধু গণতন্ত্র আজ কাদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে। তুমি দেশ নিয়ে ভাবছো? তাহলে তোমার পাশের অত্যাচারি মানুষটির অত্যাচার বন্ধ করা নিয়ে ভাবো দেশ জাগবেই। সাধারণ মানুষের অসাধারণ হয়ে ওঠার নামই গণতন্ত্র।

এই অসৎ লোকদের ক্ষমতার দন্দ আর যাই হোক গণতন্ত্র নয়। এখন আর সেই বক্তব্যের যুগ নেই। এখন আর সেই পুরোনো সিস্টেম নেই। নতুন এসেছে। এই আগমনকে প্রাণভরে মেনে নিতে না পারলে আসল গনতন্ত্র আসবে না।

এই আর কাগজের বইয়ের যুগ নেই। তাই আমার এই কথাটিকে তোমরা যে যেভাবে পারো শেয়ার করে দিয়ো। মৃত্যুর ভয় আমি করি না। যুগস্রষ্টারা কখনও মৃত্যু ভয়ে আতঙ্কিত নয়। আমরা যুগে আসি।

এই আগুন নিয়ে খেলা আমাদের বন্ধ করতে হবে। আসো আমরা সব সাধারণ মানুষ জেগে উঠি। কে হিন্দু? কে মোসলমান? কে উপজাতি? আমরা সবাই গর্বিত বাঙালী। এই মুষ্টিমেয় কিছু দূর্ণীতিগ্রস্ত মানুষের জন্য বালাদেশ উল্টো পথে হাটবে। অনেক সাধারণ মিলে অসাধারণ হয়।

আর সেই অসাধণকে বরণ করে নেবার সময় এসেছে। বাংলাদেশের কয় জন মানুষ মন প্রাণ দিয়ে পলিটিক্যাল পার্টি করে। এই যুগ তথ্য প্রযুক্তির। অন্য সময় হলে হয়তো দ্রুত খবর ছরাতো না। এই যুগ ইন্টারনেটের অবাধ তথ্য প্রবাহের।

জীবনের সময় বড্ড কম। অনেক কাজ বাকি পড়ে আছে। একজন একজন করে সবাই জেগে উঠলে পুরো জাতি আজ উন্নত হতে বাধ্য। চেয়ে দেখো গ্রাম গঞ্জের মানুষও আজ কতো সচেতন। যে টাকা দিয়ে আমরা রাজনীতির নামে দূর্ণীতিতে দেশ ভারি হচ্ছে।

সেই দেশে ঐ টাকা দিয়ে অনেক গুলো পদ্মা সেতু ও ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌছে দেয়া সম্ভব। এই দায়িত্ব আজ আমাদের কাধে তুলে নিতে হবে। জন্ম যখন হয়েছে মৃত্যু হবেই। মৃত্যু নামের পরম বন্ধুটি কোনোদিন বেঈমাণী করে না। আমরা স্বাভাবিক মৃত্যু চাই।

আমার মা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। তিনি প্রতিদিন বরিশাল থেকে ঝালকাঠী ১৬ কিলোমিটার পথ বাসে করে যাতায়াত করেন। আমি সকালে আমার মায়ের নামে গড়া মেরী কম্পিউটার্স নামের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে চলে আসি। গত পরশু মা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝালকাঠী স্কুলে গিয়েছেন। মায়ের মোবাইল বন্ধ দেখে আমি কান্নায় ভেঙে পড়েছি।

কিসের জন্য এই কান্না? কে সরকার প্রধান হবেন তা আমার জানার দরকার নেই। রাষ্ট আমার মা কে কি ভাবে নিরাপত্তা দিবে তা জানার অধিকার আমার আছে। আমি টাকা পয়সা হারালে পাবো। গরিব থাকলে ধনি হতে পারবো। খারাপ থাকলে ভালো হতে পারবো কিন্তু ঐ ভন্ডদের কারণে আমার মায়ের কিছু হলে তাকে কি আর কোনোদিন পাবো।

দেশের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে পড়েছে। জন প্রসাশন ভেঙ্গে পড়েছে। তবুও এই ভন্ডদের রক্তের নদীতে সাঁতার দেবার বাসনা কমেনি। জাতির পিতা কে আমি জানতে চাই না। আমার পিতাকে আমি ভালো অবস্থায় দেখতে চাই।

আমার বাবার চিকিৎসার ব্যায়ভার আমার বাংলা মায়ের নিতে হবে। কিভাবে নিবে এতো যুক্তি তর্ক আমি মানতে রাজি না। আসুন বন্ধ সকলে ঐ দলের নামে ধান্ধাবাজির বেড়াজাল থেকে বেড় হয়ে আসি। আমার লেখায় কোনো ভুল হলে আমাকে আপনারা ক্ষমা করে দিবেন। বিশ্বাস করুন কোনো নীতি নির্ধারক হতে আমি এই বসুন্ধরায় আসি নি।

আমি এসেছি শুধু একটি স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে। আসুন আমরা সবাই মিলে দেশ কে সামনে তুলে নিয়ে যাই। আমার দেশের রিকশাওয়ালা লুঙ্গীওয়ালা হকার দূর্ণীতি করে না। বরং ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যারিষ্টার- ডক্টরেটগণ চুরি করেন। আজ দ্রব্য মূল্যের এতো দাম কেনো? মুন্সিগঞ্জে আলু পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

নীরিহ চাষি মাথায় হাত দিয়ে কাঁদছে। আর শহরের মানুষ জীবন আতঙ্ক নিয়ে ১০০ টাকা দরে আলু কিনে খাচ্ছে। গোটা সমাজের একটি পরিবর্তন হয়েছে। এই পুরাতন পঁচা রাষ্টিয় ব্যবস্থা আইন দিয়ে এই তরুনদের নষ্ট হতে দেয়া যাবে না। আমরা এমন একটি জেনারেশন উপহার দিতে চাই যারা গর্ব ভরে বিশ্বের বুকে রাজটিকা এঁকে দিতে পারে।

আসুন আমরা এই নষ্ট প্রতারক পলিটিশিয়ানদের সরিয়ে দেই। আপনার আমার মধ্যে যে পরম সত্য লুকিয়ে আছে তাকে জাগিয়ে তুলুন দেখবেন আমরা সবাই শৃঙ্কল মুক্ত হচ্ছি। আসুন আমরা সবাই ওদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করি। কিসের এতো অভাব। বাংলার মানুষের কি আজ পেটে খাবার নাই? পরনে কাপর নাই? তাহলে কেনো এই জ্বালাও পোরাও? সবাই যেনো ঘুমিয়ে আছে।

যে দেশে বিবেকানন্দ, নজরুল, সুবাস চন্দ্র এসেছিলেন সেই দেশের মানুষ কেনো এতো অসহায় থাকবে? অন্ধকারের পর আলো আসবেই। অনেক দুঃখের পরে সুখ আসবেই। অনেক দূর্ণীতির পর সুনীতি আসবেই। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবেই।


সোর্স: http://www.techtunes.com.bd/     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.