আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অসম্ভবের আত্মপ্রকাশ :: মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্ :: (পর্ব-২)

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

ওদের তৈরী করা জেলে ওরাই নিরাপত্তা নিচ্ছে।

মানবতার নিরাপত্তা কে দেবে বন্ধু? আমরা আজ বড্ড অসহায়। অল্প কিছু শয়তান মানুষের কাছে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ আজ জিম্মি ও বন্দি হয়ে আছে। খেটে খাওয়া মানুষগুলো আজ তিলে তিলে শেষ হয়ে যাচ্ছে। সব কিছু আজ ফর্মালিন আর ভেজালে ভরা। আর ঘুমিয়ে থেকো না।

দেশের জনসাধারণ এখন বড় দুঃসময়ে দিন কাটাচ্ছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর তিলে তিলে গড়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কষ্টে গড়া বাড়িঘর। আর প্রশাসন নামের কিছু সাজানো চরিত্রের দাসরা তা চেয়ে চেয়ে দেখছেন। হে বিচারপতি এই বাংলায় যদি প্রকৃত মানুষই না থাকে তুমি বিচার করবে কার? আজ মানবতার কান্না কি তোমার হৃদয়কে নাড়া দেয় না। ঐ গার্মেট শ্রমিকদের কর্মস্থল জ্বলে পুরে ছাড়খার হওয়াকে তুমি কি ভাবে সহ্য করো বন্ধু? আরে ও তো গামেন্ট নয় বাংলাদেশের ভাগ্য পুড়ছে।

হে বাংলার হিন্দু তোমরা এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছো না কেনো? দেখো, দেখো তোমার বাংলা মায়ের সিঁদুর বাংলার সাধারণ মানুষের রক্তে আরও টকটকে লাল হয়ে উঠছে। সেই সিঁদুরের দাম কি তোমরা দিবে না? মায়ের সিঁদুরের সম্মান রক্ষা কি সন্তানের দায়িত্ব নয়? দেখ রাজনৈতিক নেতা নামের জাতির কলংকরা আজ নিজেরা নিজেদের গ্রেফতার করে প্রটেকশন নিচ্ছে। ভেঙ্গে ফেলো ঐ সব জেলের তালা, কারণ জেল এখন শয়তানদের নিরাপদ আবাস স্থল হয়ে উঠেছে। সাধারণ ছেচরা চোর, ছিনতাইকারী, সন্ত্রাসী দের যারা সৃষ্টি করেছে ওদের জন্য বানানো ঘরেই যে তারা আশ্রয় নিচ্ছে। তোমরা কেনো এই সহজ অভিনয় বুঝতে পারছো না।

কেনো বুঝতে পারছো না যে ওরা তোমার রক্ত চোষা পয়সায় ঐ কারাগার বানিয়েছিলো; তোমাদেরই শোষন করার জন্য। তোমাদের নিরাপত্তা দেবার কথা বলে তারা আজ গণজোয়ারকে ভয় পেয়ে, তাদের ব্যাংক, ব্যালেন্স, বাড়ী, গাড়ী সহকারে নিরাপত্তাও নিশ্চিত করেছে। শেয়ার বাজারের কৃত্রিম ছক তৈরি করে তোমাদের আবারও দাস বানিয়ে রেখেছে। ভেঙ্গে ফেল এই অদৃশ্য হাতের শিকল। মাথা উচু করে দাঁড়াও।

দেখো ক্ষমতার ঊষালগ্নে যে নেতারূপী সাবেক সেনাসাশক তার আপন ভাগ্নের রক্তের উপর পাড়া দিয়েছিলো তিনি আজ এদিক সেদিক দৌড়িয়ে মানুষের রাজনৈতিক বিনোদন দিয়ে যাচ্ছে। আর বলি হচ্ছে গিয়ে তোমার আমার স্বজন! স্বজন হারাবার জ্বালা কতোখানি তা যিনি স্বজন হারিয়েছেন শুধুমাত্র তিনিই বুঝবেন। প্রিয় মানুষকে হারানোর ব্যথা অনেক। আজ লক্ষ তরুন তার প্রাণের চেয়েও প্রিয় প্রেমিকাকে জলাঞ্জলী দিয়ে তার জীবনকে অভিষাপের পথে নিয়ে গেছে। শুধু মাত্র অর্থনীতির নাম করে ঐ রাজনীতিবিদদের লুটে পুটে ভাগ করে খাবার নেশার জন্য আজ যুব সমাজ ধ্বংশ হয়ে যাচ্ছে।

আজ একটু স্থানের জন্য সাধারণ মানুষ কাঁদে আর রাজনীতিকরা মসনদে বসে সবকিছু নিয়ন্ত্রন করছে। জেগে ওঠো বন্ধু। তোমাদের হৃদয়ের মাঝে তোমার যে সুন্দর সত্য নেতা ঘুমিয়ে আছে তাকে জাগ্রত করো। দেখবে হৃদয়ের সব সমাধান খুলে যাবে। নইলে আবার বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে সেই “সময়ের ম্যুল্য” আর “গরু” রচনা পড়ে তারপর এসো।

সময়ের মুল্য, শৃঙ্খলা, জীবনের লক্ষ্য তোমাদের কেনো পড়ানো হয়েছিল? তোমার গায়ে দামি স্যুট পড়ানোর জন্য লেখাপড়া শিখানো হয় নি। তোমার অধিকার বঞ্চিত শিক্ষক, মা, বাবাদের পয়সা যারা লুটেপুটে খায় তাদের শায়েস্তা করাবার জন্যই শিক্ষাকে কাজে লাগাও। আর বসে থেকো না বন্ধু। এমন মৃত্যু জরা ক্ষুধা দেখে হৃদয় যে আর তর সইছে না। খুলে দাও ওদের মুখোশ।

মিডিয়াকে ওদের হাত থেকে মুক্ত করে নিয়ে এসো সাধারণ মানুষের মুখপাত্র হিসেবে। ও যে তোমাদেরি সম্পদ!!! 6 তৃতীয় শক্তির জাগরণ:: এসো সবাই মিলে দেশ গড়ি। কৃতজ্ঞতা জানাই সামহোয়য়্যার ব্লগকে যার কারণে এই মুক্ত স্বাধিন মঞ্চে নিজেদের চিন্তা চেতনাকে শেয়ার করতে পারছি। এটা একটি ওয়েব সাইট। যেখানে সবাই যার যার মনের কথা, বা মনের আকাংক্ষা প্রকাশ করতে পারছে।

এ যেনো এক মুক্ত স্বাধীন মঞ্চ। ইন্টারনেটের যুগ এসেছে। কোন দেশ ইন্টারনেট আবিস্কার করেছে তা বড় কথা নয় বরং বড় কথা হচ্ছে অনেক মানুষের সমন্বয়ে আজ এই ইন্টারনেট ভুবন রাঙিনো হয়েছে। এটা কোনো দেশের একক কৃতিত্ব বললে ভুল বলা হবে। আপনাকে বুঝতে হবে এই ইন্টারনেট মানুষ আবিষ্কার করেছে।

সব কৃতিত্ব মানুষের। মানুষ মানুষকে পণ্য করছে আমরা গানে শুনেছি কিন্তি বুঝতে পারি নি কিভাবে পণ্য হলাম, তাই না? এখন বোঝার সময় এসেছে। মানুষ নিজের প্রয়োজনে চাকু আবিস্কার করেছে। সেই চাকু দিয়ে মানুষ মানুষকে ধ্বংস করছে। এখান কথা হল ইন্টারনেট একটি মাধ্যম যা আজও অনেকটা স্বাধীন মিডিয়া।

কিন্তু বাস্তব মিডিয়ার কুফল আজ আপনাদের চোখের সামনে। শুধু মাত্র কিছু ব্যাক্তি ক্ষমতার নাম করে আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ফেলেছে। ওরা বুঝছে না যে আমরা ঐ কুশিলবদের চিনে ফেলেছি। এ সেই টিপ সহি দেবার যুগ না। যে সাধারণ জনগনের কাছ থেকে সামান্য একটি বুড়ো আঙ্গুলে কালি লাগিয়ে সব কিছু লিখে নিয়ে আমাদের উপর শাসনের নামে অত্যাচার করবে।

সাধারণ মানুষ আজ অনেক বেশী বলিয়ান। তারা আজ সত্যকে জানতে বুঝতে শিখেছে। সমস্ত প্রিন্ট ও টিভি মিডিয়া ওদের দখলে। ওরা যা দেখাচ্ছে আমরা দেখছি, ওরা যা শোনাচ্ছে তাই দেখছি, ওরা যা বোঝাচ্ছে আমরা তাই বুঝছি, ওরা যা জানাচ্ছে আমরা জানছি। এ কেমন কথা আমাদের ভাগ্য লেখবার ওরা কারা? আমাদের ভাগ্য স্রোষ্টা লিখে রেখেছেন।

যিনি সত্য কথা বলেন তার মৃত্যু আছে কিন্তু সত্যের কখনও মৃত্য নেই। সত্য সত্যই। জ্ঞাণীর মৃত্যু আছে কিন্তু জ্ঞানকে কে মারবে বন্ধু? ওরে জ্ঞান যে স্রষ্টার সৃষ্টি, ওরে সত্য যে স্রষ্টার সৃষ্টি, মানব সৃষ্ট কোনো ধ্যান জ্ঞান দিয়ে একে মাপা যাবে না। আজ প্রযুক্তির উন্নতি ঘটেছে কিন্তু মন থেকে শান্তি উঠে গেছে। শান্তি থাকতো যদি আমাদের কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রাষ্ট্র নিত।

আমাদের বঞ্চিত করে ওরা ঠিকই ভালো আছে। নিজেকে দুর্বল ভাবছো কেনো বন্ধু? তোমার হাতেই তো তোমার পথ খোলা আছে। আজ হৃদয়ের সকল বাঁধ ভেঙ্গে দাও। তুমি যদি একজন চ্যানেলের ক্যামেরাম্যান হও তাহলে তুমি যে চ্যানেলে চাকুরী কর সেই চ্যানেলের মালিকের কথা না শুনে নিজের চোখের সামনের সত্যকে জনগনের সামনে নিয়ে আসো। মানুষ তোমাকে ঠিকই মেনে নিবে।

তুমি যদি পত্রিকার সম্পাদক হও ভেঙ্গে ফেল সেই মালিক নামের জানোয়ারের কাচ দিয়ে ঘেরা দেয়াল। তুমি যদি সেনাবাহিনির প্রধান হও তোমার অবস্থানে তুমি ঠিক থাকো। দেখবে এই দেশ ঠিক হয়ে গেছে। বন্ধুগণ মিডিয়া আজ রাজনৈতিক নেতা নামের ঐ তথাকথিত সুবিধাবাদি মানুষের হাতে বন্দি। মিডিয়াকে মুক্ত করা তোমার আমার সকলের দায়িত্ব।

বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার প্রেস ক্লাব ঘেরাও করে ফেলো, আমাদের মনের কথা প্রিন্ট হলে সেই পেপার সবার মাঝে বিলিয়ে দিও। দেশের একজন পেপারওয়ালা হকারেরও অনেক দায়িত্ব। তুমি হকার হলেও যে মানুষের দারে দারে যে সত্য পৌছে দাও। তুমি সাইকেলে চড়ে কত কষ্ট কর কিন্তু দেখো আমাদের টাকায় ওরা বড় বড় বিলাশবহুল গাড়ীতে চলে। যে চিরসত্য তোমার হৃদয়ে আছে তাকে সবার সামনে মেলে ধর।

তোমার হাতে গিটার থাকলে তাতে সত্যের সুর বাজাও। আঘাত না করলে ঐ গিটার বাজবে না-যে বন্ধু। তাই এই পুরোনো সিস্টেম ভেঙ্গে দাও। তোমার মনের সত্যিটাকে সবার মাঝে প্রকাশ করো। দেখবে জনগন তোমাকে ঠিকই মেনে নিবে।

তোমাদের কথা বলতে গিয়ে আমার যদি মৃত্যুও হয় তাতে অন্তত সত্যের মৃত্যু হবে না। আমার উপর গোয়েন্দা গিরি বাড়ছে। আমি তোমাদের জাগাতে এসেছি বন্ধু। আগে এই গুলো বলার সুযোগ পাই নি। আজ সকল বাঁধ ভেঙে গেছে।

আমি একসময় টেকটিউনস নামের ট্যাকনিক্যাল ব্লগ সাইটে লিখে সামান্য পরিচিত হতে চেয়েছি। কতটা পেরেছি তোমরাই ভালো জানো। আমাকে তোমরা হাজার গালি দাও তবু্ও তোমাদের গান গেয়ে যাবো আমি। আমার লেখনী তোমাদের মনে আঘাত দিলে আমায় ক্ষমা করে দিও। বিশ্বাস করো আমি তোমাদের নেতা হতে আসি নি, আমি তোমাদের অধিকার আদায় করতে এসেছি।

এজন্যই আমার আদম্য পথ চলা। তোমার পাশে একটি প্রিন্টার থাকলে তাতে আমার লেখাটি প্রিন্ট করে সাধারণ মানুষকে পড়তে দাও। তোমার কারণে যদি ১টি মানুষও সচেতন হতে পারে তাহলে পুরো জাতিই সচেতন হবে। ঐ এয়ারপোর্টে আগুন দিয়ে দাও। ঐ এয়ারপোর্ট জনগণের সম্পদের নামে ওরা দখল করে রেখেছে।

আর আমাদের কৃষক, শিক্ষক, সাধারন পুলিশ, আর্মি দের তরুন ছেলে সন্তান দিয়ে এগুলোকে পাহারা দিচ্ছে। আসো আমরা সবাই মিলে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করি। আমাদের অধীকার আমরা আদায় করে নেবই। ঐ আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখো বন্ধু কবি নজরুল, রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিবেকানন্দ, সূর্যসেন, শের এ বাংলা, সরওয়ারর্দী, নেতাজী সুবাস চন্দ্র বসু, বঙ্গবন্ধু, বীর উত্তম জিয়াউর রহমান, জাহানারা ইমাম, কর্নেল তাহের, সিরাজ শিকদার প্রমূখ নেতার আত্মা আজ আকাশের তারা হয়ে তোমাকে আদেশ করছে সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে। এয়ারপোর্ট যদি সত্যিই জনগনের সম্পদ হতো তবে আমাদের সবার অধীকার থাকতো ঐ প্লেনে চরার।

নেতা নেত্রীরা কার টাকায় প্লেনে চলছে? যে কৃষক জমি বিক্রি করে তার সন্তানকে বিদেশে পাঠাতে গিয়ে টাকা হারিয়েছেন, ভূমিহীন হয়ে গেছেন তার সাথে ছেলেও বখাটে হয়ে গেছে। ঐ বাপের দায়িত্ব কে নেবে বন্ধু? এ যে অনেক দিনে পাপ। আমার মনের কথা লেখার মাঝে তোমাদের কাছে তুলে দিলাম। তোমরাই পারো এই অদৃশ্য শিকল ভাঙতে। আজ তোমার টাকা দিয়ে নেতা নেত্রীরা প্রতিদিন নাটক রচনা করছে আর সেই নাটকের একটি কমেডি টাইপের ক্যারেক্টারের টেনিস বলের মতো বাড়ি খাওয়াকে কেন্দ্র করে তোমরা তোমাদের জীবনের মূল্যবান সময় মিডিয়ার পিছনে নষ্ট করছো।

এসো সবাই এক হই। আজ সবাই নেতা। এই দেশ তোমার আমার সবাই। ফুটবলে আজ বাংলাদেশ বিশ্বকাপে থাকার কথা? কিন্তু ঐ নোংড়া পলিটিক্সের জালে ফুটবল ধ্বংস এক কংকালে পরিনত হয়ে ছোট দেশের সাথেও আমরা হারছি। এ কেমন কথা? আর চুপ চাপ বসে থেকো না বন্ধু এ দেশ তোমার দেশ।

এই দেশ আসলে গরিব না। আমাদের গরিব করে রখা হয়েছে। এসো সবাই মিলে সংঘবদ্ধ আন্দোলন শুরু করি। কোন দল তা বড় কথা নয়। দলের চেয়ে আমার মা বড়।

আমার মা, বাবা, বোনের জীবনের নিরাপত্তা থাকবে না, আর ওরা আমাদের সম্পদে স্বর্গসম বাড়ীতে থাকবে! এ কি করে হয়। পাঠ্য পুস্তকে নজরুলের “যৌবনের গান” প্রবন্ধটি সংক্ষেপিত আকারে পড়ানো হয় কোনো? কোথায় সেই সত্যি কারের প্রবন্ধ? কোথায় সেই চেতনা। আমাদের জানতে না দিলে জানবো কিভাবে। তোমার ভিতরের মানুষটাকে আজ জাগিয়ে তোলো বন্ধু। দেখবে সব ঠিক হয়ে গেছে।

বাংলাদেশে কেনো বৃটিশ আইন বলবৎ থাকবে? বাংলাদেশের ছেলেরা কি বৃটেনে গিয়ে আদালত চালাবে? বাংলাদেশের জন্য বাংলাদেশে ব্যারিষ্টারি থাকবে। ঐ ব্যারিষ্টার নামের বিদেশী দোসরদের আগে বিচার করুন। এ কারণেই তো সলিল চৌধুরী গেয়েছিলেন “বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা আজ জেগেছে এই জনতা। ” ক্ষুদিরামের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। ক্ষুদিরাম শুধুমাত্র কোনো ইংরেজের গায়ে আক্রমন করেনি।

ক্ষুদিরাম চেয়েছিলেন পুরো একটি জাতিকে ভালোভাবে বাঁচার জন্য, একটি বিশেষ শ্রেণীকে সমাজ থেকে তুলে দিতে। আজও সেই শ্রেণী তোমার আমার রক্ত চুষে খাচ্ছে বন্ধু!!! ওরা ধরা ছোয়ার এতো বাইরে চলে গেছে যে দেখা করতেও এপার্টমেন্ট লাগে। হায়রে অভাগা জাতি। আজ জাগার সময় এসেছে জাগো। 7 সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করার দিন এসেছে : : হৃদয়ের সত্য গোলাপের সুঘ্রান সবার মাঝে ছড়িয়ে দাও।

চেয়ে দেখো আকাশে আজ নতুন জাতীয় পতাকার ভিতরের রক্তলাল সূর্যে মতো করে জেগে উঠেছে। রঙ্গীন ঘোর দিয়ে যারা আমাদের নিজের দিবাকরকে সান বানিয়ে রেখেছিলো তারা আজ চিন্তিত। কিন্তু আমাদের মাথার উপর যে নজরুলের হৃদয় দিয়ে সম্মান করা কবিন্দ্র রবিন্দ্রনাথ নামের চীর সত্য “রবি”কে পুস্তকে কিংবা কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কোনো রাজনৈতিক দলভুক্ত দালালদের বক্তৃতার মধ্যে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছিলো। যে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন সভ্যতার সংকট। সেই পরম রবির আদর্শই আজ তোমার আমার ও জনসাধারনের হিয়ায় বিষের বাঁশীর মতো বেজে উঠছে।

তাতে আজ একটি মাত্র সুর বেজে উঠছে এই আধুনিক ও নতুন ভার্সনের আবুজাহেল, রাবন দের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ), ইমাম হোসাইন, মুসা, মুসলিম জাতির পিতা যে আবু জাহেল, এয়াজিদ, ফেরাউন, নমরুদ লাঞ্চনা ও খেলার পাত্র মনে করে ছিলেনছিলে। আমাদের প্রিয় নবী মোহাম্মদ (সঃ) কে তৎকালীন সমাজ পাগল ভেবে গায়ে পাথর মেরে ছিলো। ইমাম হাসানের সত্য ও ন্যায্য ধৈর্যের কাছে আজও এই নিখিল বিশ্বের সকল সৃষ্টিকে খেলনার মতো মনে হয়। তারা যে ঈশ্বর প্রেরীত বানী নিয়ে এসেছিলো তারা যে মানবতার ঊর্ধে যে পরম পিতা ঈশ্বরের স্থান তারই প্রমাণ দেখিয়েছেন।

আজ নিখিল বিশ্ব তাদের মেনে নিয়েছেন। রাবনের মায়াবী জাল ফেলে সিতার পিছনে সোনার হরিণ লাগিয়ে যে রাম কে রাবন পারিবারিক বলয়ে আবদ্ধ করে রাখতে চেয়েছিলো। সেই রাম যে রাবনের এতো বড় সম্রাজ্য ভেঙ্গে দেবার জন্য জন্মেছিলো তা রাবন ঐ সিংহাসনে বসে বোঝে নি। আজ এই রাজনৈতিক নামের আবুজাহেল ও রাবন এর সাম্রাজ্য ভেঙে দেবার সময় এসেছে। ভেঙ্গে দাও ঐ রাজনৈতিকদের অট্টালিকা সম বাড়ী।

যা ওরা শুধু তোমাকে আমাকে ধোকা দিয়ে নয় বরং তার সাথে তোমার আমার পিতা, পিতামহদের রক্ত চুষে গড়ে তুলেছিলো। আজ কাকে তুমি রিকশাওয়ালা, মজুর, শ্রমিক বা চাষি বলে এরিয়ে যাচ্ছো? আরে বন্ধু তাকিয়ে দেখো তোমার আমার এক দু’পুরুষ আগের মানুষদের প্রতিচ্ছবি এই সাধারণ মানুষ। তাদের ঋণের জালে বন্দি করে, জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদ ও দেওয়ানী ও ফোজদারী মামলার নাম করে যে উকিল ব্যরিষ্টার, ম্যাজিষ্ট্রেটরা, জজ, বিচারপতি, রাজনৈতিক নামের সুবিধাভোগীদের ঐ রক্তে গড়া সম্পদের প্রতিটি সম্পদের হিসাব আজ সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। বাংলার প্রশাসন, বাংলার আর্মি, বাংলার আধা-সমরিক বাহিনী তথাকথিত রাজনৈতিক মদদপুষ্ট বুদ্ধিজীবি নামের পরজীবীদের আজ জনগণের কাঠগোড়ায় এসে জবাব দিতে হবে। বন্ধু এই সাধারণ মানুষের রক্ত দেখে আর যে নিজেকে ধরে রাখতে পারছি না।

মনে পরছে তোমার আমার নানা নানী ও পূর্বপুরুষের কথা। এতো তাড়তাড়ি কিভাবে ভুলে গেলে সবকিছু? রাজনৈতিক জনপ্রসাসন ও সামরিক বাহিনীকে আমি স্পষ্ট ভাবে বলে দিতে চাই তোমাদের যখন এতো রক্ত নেয়ার ইচ্ছে। আমাকে মেরে আমার রক্ত পান কর কিন্তু সাধারন মানুষকে আর মেরো না। ওরা যে তোমার আমার পূর্বপুরুষদের প্রতিচ্ছবি। ওরা যে নিস্পাপ!!! বন্ধু!!! এই জীবন এই শরীর আমায় আল্লাহ্ দিয়েছে।

হয়তো তোমরা আমার শরিরকে ছিন্ন ভিন্ন করে দিতে পারবে কিন্তু আমার হৃদয়ে জ্বলে ওঠা যে সত্য সুন্দর পরমআত্মা বিরাজ করছে, যে নীতি আমার মাঝে বিরাজিত, যে আদর্শকে আমি লালন পালন করে আজ তোমাদের সামনে তুলে ধরেছি তাকে তোমরা কিভাবে ছিন্ন ভিন্ন করবে? ও যে সত্য? ও যে চিরশান্তির প্রতিরূপ, ও যে তোমার আমার সকলের মাঝে লুকায়িত সত্য। তাকে আজ জাগ্রত করার সময় এসেছে। আর বসে থেকো না। এবার জেগে ওঠো। তোমরা কেনো বুঝছো না।

আর একবার বাঙালী সচেতন হলে এ বিশ্ব ভিসা মুক্ত হবে। বাংলার মানুষ বুঝিয়ে দেবে পাসপোর্ট ভিসার নামে পৃথিবীকে ভাগ করা হয়নি। ভাগ করা হয়েছে শুধু কিছু শ্রেণীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে। এসো এ চির সত্য সুন্দরকে সবার মাঝে জাগ্রত করি। মানবতা ও মুক্তির বাণীকে তোমরা সবার মাঝে ছড়িয়ে দাও।

তোমার ভিতরের শক্তিকে তোমরা তোমার পথ চলার প্রেরণা করে সবার মাঝে ছড়িয়ে দাও। আমরা যে বিশ্ব মায়ের সন্তান! আর বিশ্বমাকে যারা চালাচ্ছেন তারা আমার বাংলা মায়ের অধিকার হরন করে তাকে গরীব সাজিয়ে রেখেছে। তোমার মায়ের মুখের দিকে একবার তাকাও। তোমার বাবার জীবন সংগ্রামে বেঁচে থাকাকে একবার কল্পনা করো, দেখবে তোমার হৃদয় এমনিতেই গোলাপের মতো প্রষ্পুঠিত হবে। আর তোমার সেই গোলাপের সুঘ্রাণ ছড়িয়ে যাবে সবার মাঝে।

গোলাপ আর সত্য দুটুই যে স্রষ্টার সৃষ্টি। সেই সত্য গোলাপ তোমার হৃদয় নাড়া দিবেই। জাগাও সেই সুন্দরকে। অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলো। মানুষের মাঝে ফিরে এসো সত্যসুন্দর হয়ে।

“যে ভেঙে সব গড়তে জানে, সে চীর সুন্দর”- নজরুল বলেছিলেন। সত্য দিবাকর কখনও অনেক উত্তপ্ত হয়ে ধরা দিয়ে আবার নরম ভাবে অস্তমিত হয়। সকালের রবি কত কত সুন্দর, সেই দুপুরের সূর্য আবার কতো তেজী, আর বিকেলের রবির দিকে তাকিয়ে দেখো কতো রহস্যময় ও কি রাঙ্গা। এই সত্যি যদি তোমার উপলব্ধি বোধকে দখল করে সত্য সুন্দর হয়ে ধরা দেয় তাহলেই তুমি জোৎস্না রাতের চাঁদ কিংবা ঐ সুদুরের কোনো নাম না জানা তারার মধ্যে স্থান করে নিতে পারবে। আজ এই সত্য বোধকে তোমাদের মাঝে জাগ্রত করার জন্যই চিরদিন, যুগে যুগে, শতাব্দীতে শতাব্দীতে আমাদের আবির্ভাব হয়।

ঐ চেয়ে দেখো বন্ধু!!! যে সাধারণদের ঠকিয়ে তুমি আজ অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছো যারা তোমার এই অভিনয় জেনেও তোমাকে কঠিন কোন শাস্তি দেয়নি। তোমার অন্যায় আবদার মেনে নিতে বাধ্য দেখে ছিল, তারাই আজ তোমাকে সত্যের কাছে সমর্পিত হতে বলছে। ভয় পাচ্ছো? আরে বন্ধু কিসের ভয় করছো? তুমি কি এই বুড়ো হয়ে যাওয়া কে ভয় পাচ্ছো? প্রকৃতির নিয়মকে যে অস্বীকার করা যায় না? আজ যে মার্বেল পাথরের প্রসাদ, তোমার অঢেল সম্পদের আস্তাকুর, তোমার ওয়ারিশ কিবাং তোমার ঐ খারাপ বখে যাওয়া বন্ধু তোমাকে বুড়ো ভাবতে পারে। আরে ওরা তো জানে না মানুষের এই দেহ বুড়ো হতে পারে। মানুষের গড়া ঐ সম্পদের পাহাড় বুড়ো হতে পারে, ঐ পাপের বোঝা বুড়ো হতে পারে, ঋণের নামে লোনের বোঝা বুড়ো হতে পারে, কিন্তু তোমার মনের মাঝে সেই সত্য সুন্দর কখনও বুড়ো হয় না।

ও যে স্রষ্টার শক্তি। আরে ও যে সত্য সুন্দর। সত্য চির যৌবনা। যে মানুষকে মুক্ত করার সত্য আদর্শ নিয়ে তুমি সমাজের সাধারণ মানুষের কাছে এসেছিলো, সে সত্য আদর্শ আজও তোমার মনে টিপ টিপ করে জ্বলছে। আজ শুধু বাংলাদেশী জাতির জন্য নয় সারা বিশ্বের ভালোর জন্য আবার তাকে জাগানোর সময় এসেছে।

যে সাধারণ মানুষের ভয়ে নিরাপত্তা নামক যে পাপিকে তুমি লুকিয়ে রখাছো। তাকে আর তুমি আটকে রেখো না বন্ধু। ফিরে এসো সেই সাধারণের মাঝে। তোমার ছোট্ট এই মানবজীবনকে আজ যে সত্যিকার অর্থে আদর্শ করে সবার ঊর্ধে মানবতার জয়গাথা গেথে রাখবার সময় এসেছে। যে তুমি অসহয়ের মতো অঢেল অর্থ বিত্তের মাঝে থেকেও বিবেকের সত্যের কাছে নিত্যদিন পুরে পুরে মরছো, মার্বেল পাথরের প্রসাদসম বাড়ীর মধ্যে অর্থ বৃত্তের মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে রেখেও মানুষকে জিম্মি করার অভিশাপের কান্না করে দু’চোখ জলে ভরিয়ে দিচ্ছ, সেই সুন্দর পরমাত্না বিবেকের কাছে তোমাকে সপে দাও, সাধারণ মানুষের মাঝে আবারও তোমার ঐ সুন্দরকে জাগ্রত করো, প্রতিষ্ঠিত কর সেই সত্যকে, যে সত্যের জয়গাঁথার জন্য তুমি রাজপথে নেমেছিলে, আবারও একবার রাজপথে নেমে দেখো।

তুমি হয়তো নিজেকে পাপি ভাবছো। আরে পাপির জন্যও পাপ মোচনের সুযোগ থাকে। কিন্তু পাপকে পাপ বলে স্বীকার করে নিতে হয়। আজ সেই জনগনের আদালতে সত্য বলার সময় এসেছে। নিজেকে আর নিজের মধ্যে লুকিয়ে রেখো না।

তাহলে তোমাদের গড়ে তোলা সভ্যতাই যে বঞ্চিত হবে? আজ জনগণের মধ্যে এসে তোমার চোখের জল ভাগ করে দাও দেখবে সেই জল সবাই ভাগ করে নিবে। সাধারণ মানুষের কষ্টের কান্না, অভিশাপের কান্না জলীয়বাস্পের মতো মেঘ তৈরি করে, আর সেই মেঘ যখন ভারি হয়ে কালো হয় ঠিক তখনই বৃষ্টি হয়ে ঝরে পরে আর সেই বৃষ্টির জলেই হয় নতুন ফসল। আমরা যদি নতুন দিনের নতুন ফসল হই তাহলে তুমি সেই কালো মেঘ। কালো টাকা যখন তোমরা নিত্যদিন কৌশলে সাদা করতে পেরেছো তাহলে ঐ আকাশ থেকে বৃষ্টির মতো ঝরে পরতে পারবে না কেনো বন্ধু? নইলে তো সব নতুন ফসল ওরা আবারও কেড়ে নেবে। যারা কেড়ে নিয়োছিলো তোমার সেই সদ্য তরুনে ফুটে ওঠা আত্মসম্মানকে, তোমার যে সত্য সুন্দর অনির্বান কে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যে রাজণীতিতে এসেছিলে আজ সেই রাজণীতিকে ঠেলে সাজাও বন্ধু।

ও যে রাজণীতির নামে তোমার দাদা, নানা বা পুর্বপুরুষদের ভালোভাবে বাচঁতে না দেওয়া শক্তির নাম। জীবনের শেষ বা শুরু বলতে কিছুই নেই। মৃত্যুর শেষ বা শুরু বলতে কিছুই নেই। সুন্দরের শেষ বা শুরু বলতে কিছুই নেই ও যে তোমার আমার মনের লোভ, লালসা, বাসনা, কুসংস্কার, হানাহানি, নষ্টরাজনীতির নামে নিজের ইস্পাতসম মরিচার নাম। শুরু বা শেষ হয় একটি দেহের কিন্তু একটি আদর্শের নয়।

আসো, ফিরে আসো দেখবে সব তোমারি আছে। আজও সব যে সেই যৌবন বেলার আদর্শের মতোই সত্য। মানবাতার মঙ্গল স্রষ্টার কাছে চাইতে হয় না। শান্তি ও সুন্দর প্রতিষ্ঠার কথা স্রষ্টার কাছে চাইতে হয় না। তিনি তো অমৃত হিয়া, তিনিই তো সকল সুন্দরের থেকে সুন্দর।

চেয়ে দেখো সেই সুন্দর তোমার হৃদয়ে লুকায়িত। একটি সত্য অন্যটি মিথ্যা। সত্য আর মিথ্যার লড়াই নিত্যদিনের। কিন্তু একজন মুক্ত মানবই সত্য উপলব্ধি করতে পারে। সংসারের মায়া, বিলাস বাসনার কাছে অনেক গুণীকে তার প্রকৃত ইচ্ছা ও স্বাধীনতাকে বিসর্জন দিতে হয়েছে।

আমি এক বাধঁন হারা। সত্য ও সুন্দরকে কোনো বাঁধনে বাধা যায় না। আমরা বাংলাদেশ সেনবাহিনীর শক্তিটাই শুধু দেখি। তাদের অসহায়ত্ব দেখি না। আমরা সামরিক শাসন আসার প্রতিক্ষায় থাকছি কিন্তু বুঝতে পারছি না সামরিক বাহিনী আসে না কেনো? আরে ঐ অসৎ রাজনৈতিক কিংবা সেনাবাহিনী তোমার আমার সম্পদ দিয়েই তো লালন পালন করছি।

আজ তাকিয়ে দেখো ওদের অসহায়ত্ব? তোমরা কলামিস্টদের প্রতিনিয়ত দেখো, তোমরা টকশোতে নিয়মিত কিছু বুদ্ধিজিবীর নাম করে পরজিবী দেখো, স্টার জলসায় ডেইলী সোপ দেখ। কিন্ত দেখ না পণ্যের বাহার। তোমরা শুধু টিভি কিংবাং ইলেকট্রিক মিডিয়ার এ্যাডভেটাইজ গুলোকে দেখো কিংবা এরিয়ে যাও কিন্তু বোঝনা এই মিডিয়াগুলো গুলোই ২৪ঘন্টা এ্যাডেভেডাইজ দেয়ার জন্যই জন্ম নেয় কিংবা জন্ম দেয়া হয়। তোমরা রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি, কিংবা ওয়েসলিং বলো নাটোক বলো মুভি বলো সবকিছুযে ওদের মদদপুষ্ট তা বুঝছো না? বাংলাদেশ সেনাবাহিনির অস্ত্রগুলো দেখে তোমার খুব গর্ব হয় তাই না? তোমরা কি জানো, ঐ অস্ত্র যারা দিয়েছে তারা তাদের অস্ত্র পাহারা দেবার জন্য তাদের লোকও দিয়ে দিয়েছেন। তোমারা নবাব সিরাজুদ্দৌলাকে দেখে বিনোদন পাও কিন্তু বোঝ না সিরাজুদ্দৌলার সাথে যে মিরজাফর আর যে ফরাসী ইংরেজ কে তোমাদের প্রতিনিয়ত দেখানো হচ্ছে ওরা সবাই এক।

ওরা সিরাজুদ্দৌলা নামের কোনো পালিয়ে যাওয়া স্বাক্ষী কে বাঁচিয়ে রাখে নি ঠিক তেমনি আজও রাখছে না। দেখো না স্বাক্ষীদের কিভাবে মারা হচ্ছে। আজ দেখো ঐ ব্রটিশ, ফরাসী নামের শক্তি আমাদের মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীর নাম করে আমাদের রক্তে উপার্জিত টাকা দিয়ে তাদের মদ বানাচ্ছে। বিশ্ব সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদের দোহাই দিয়ে প্রতিনিয়ত প্রতিদিন বিশ্ব মিডিয়ায় ওরা কি দেখাচ্ছ? বালাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান কিংবা রাজনীতিক নেতাদের তোমরা স্বাধীন মনে করছো? দেশ স্বাধীন হয়েছে কিন্তু রাজনীতিক বা সামরিক বেসামরিক বাহিনী নয়। হে সনাপতি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা কিংবা রাজনীতিবিদ, যে যেখানে আছো তোমাকে এই মূহুর্তে আমি আদেশ করছি তোমার যে বডিগার্ড তাকে তুমি সিকিউরিটি দাও।

তোমার বডিগার্ডরা যে ওদের লোক। ওরাও যে আমার মতো সমাজের মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান। ওকে তুমি যদি না বাচাও ওদের গোয়েন্দ সংস্থা ঐ গার্ডকে মেরে নতুন গার্ড বসাবে। আজ জাগবার দিন আজ কারও বসে থাকলে চলবে না। তোমার বন্ধু আজ সচিব আর তুমি স্কুলের শিক্ষক হয়ে তোমার ছাত্রদের ঐ সচিব বন্ধুর কেরামতির গল্প শুনাচ্ছো? আর মনে মনে তোমার ঘরে বাজার সদায় , অভাব অনটনের কথা বলছো।

আজ তোমাদের জয়গাঁথার ইতিহাস রচনা করার দিন। এখন জাগার সময় এসেছে। কে ঐ শিক্ষকদের সংসারের দুঃখ দরদাশা দুর করবেন। ঐ সচিব বন্ধু ইচ্ছে করলেও ঐ স্কুলটিকে সরকারী করতে পারছেন না। শিক্ষকের অপমান জ্বাল তিনিও অনুভব করেন।

কিন্তু তিনি তা প্রকাশ করতে পারেন না। তার সীমাবদ্ধতার কথা শুধু তিনিই জানেন। হায়রে অভাগা বাঙালী জাতি। আজ সব স্কুল কলেজকে সরকারী করার সময় এসেছে। এ শুধু আমার দাবি না আমার পূর্বপুরুষদের দাবি।

আমার বাবা একজন শিক্ষক ছিলেন। মা একজন প্রাইমারী শিক্ষিকা। আমি দেখেছি তাদের নিত্যদিন ঋণ করে জীবন যাপন। ঋণে আবদ্ধ হওয়া আর মুক্ত হওয়ার জন্যই কি এই দুনিয়ায় এসেছো বন্ধু? এখন সময় হয়েছে ভেঙ্গে ফেলো সকল দেয়াল, চুরমার করে দাও ঐ সাজানো নাটক। মানুষের শক্তি অসীম।

যারা মৃত্যু’কে ভয় পায় তারাই প্রজা। আরে মৃত্যু যে একটি পর্দার নাম। সত্য শুধু এক মন থেকে অন্য মনে প্রবেশ করে মাত্র। হে সুবিধা বঞ্চিত সরকারী কর্মকর্তা তোমরা ঘুষ খাও জাতি জানে। তোমাদেরকে ঘুষ খাওয়া কে শিখিয়েছে? তা বলার সময় আজ এসেছে।

খুলে দাও ঐ সব সয়তানদের মুখোশ। হে ডাক্তার, তোমার মা বাবা অনেক অনেক কষ্ট করে তোমাকে ডাক্তার বানিয়েছে। তিলে তিলে গড়া তাদের সংসারের সঞ্চয় দিয়ে তোমাদের মানুষ বানিয়েছে। আজ তোমরা কেনো ফেনসিডিলে আসক্ত হবে? ওষুধ নামের মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীর কাছে তোমরা কেনো বন্দি থাকবে? নেমে এসো গুরিয়ে দাও সবকিছু। আজ বাংলাদেশের রাস্তায় এতো পাগল কেনো? তোমার কাছে প্রতিদিন ক’জন ভিক্ষুক আসে।

নিত্য নতুন হকার কি তোমার নজরে পরে না? হে শিক্ষিত সমাজ আসো ভিক্ষুক ও পাগলদের পূর্নবাসন করি। ওদের মধ্যেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে যে বিশ্ব গোয়েন্দা সংস্থার স্পাইগুলো। তুমি এবার সত্যের চোখ খুলে দেখবে সব কিছু ঝকঝকে পরিষ্কার। মাদ্রাসা লিল্লাহ বডিং এর নাম করে মুসলিম সমাজকে এতিম বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কয় টাকা লাগে এই ভিক্ষুক, এতিম, মিস্কিনদের পূর্ণাবাসন করতে? শুধু মাত্র চেষ্টার অভাব।

আজ সময় এসেছে জাগ্রত হবার। আসুন আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই। সকল সত্যের সাথে সবযুগে আমি এসেছি। বাংলাদেশের মানুষকে আর কোনোদিনও ডাবিয়ে রাখা যাবে না। তোমরা মিডিয়ার দখল নিয়ে নাও।

তোমরা আজও কেনো বুঝছো না তোমাদের চুকুরী খোঁজার নাম করে কিংবা মাদকের আড়ালে ঐ মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীই যে বন্দি করে রেখেছে। আমাদের টাকাই আমাদের হাতে ঋণ হয়ে ফিরে আসছে। হায়রে অভাগা জাতি? আজ জেগে ওঠো। হে রাজনীতিবিদ ও সমাজের বৃদ্ধ ব্যবসায়ী সমাজ তুমি কি আজ এতিম মিস্কিনদের হক নষ্ট করে, কিবাং জমিজমা লুটে নেয়ার দন্ডে দন্ডিত? তাহলে আজ এই কলংকের তকমা মাথায় নিয়ে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হয়ে আছো কেনো? আজ যে বাঁধন হারাদের দিন এসেছে। এতিমের আসল হক নষ্টকারিদের চিনিয়ে দেবার দিন এসেছে।

আসো এই সমৃদ্ধ সমাজটাকে ঢেলে সাজাই। আমরা সবাই যে বিশ্ব মায়ের সন্তান। আসো গুরিয়ে দাও ঐ সব সয়তানদের দুর্গ। জাতিসংঘ কেনো ইউএসএ তে থাকবে? জাতিসংঘ প্রধান দপ্তর কেনো বাংলাদেশে হতে পারে না। আরে ঐ অত্যাচারী সমাজ যে ওটাকে সেই সাদ্দাতের তৈরি করা বেহেশত ভাবছে।

আমাদের লুটে ওরা যে আরও ধনী হচ্ছে। ওরা বুজছে না রক্ত মাংসের মানুষ আজ জেগে উঠেছে। ঐ কঙ্কালদের মানুষ চিনে ফেলেছে। কঙ্কাল দিয়ে শুধু ডাক্তারি বিদ্যা অর্জন করা যায় আসোল পড়া উদ্দেশ্য যে ঐ রক্তমাংসের মানুষের উপরই প্রিস্কৃপশন করা। জেগে ওঠো আর ঘুমিয়ে থেকো না।

আজ বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দাও বাংলাদেশীরা পুরো বিশ্ব শাসনের ক্ষমতা রাখে। বাঙালী আর দূর্বল নয়। পৃথিবীর সকল বঞ্চিতদের আজ জাগিয়ে তোলো। যারা ভালো ইংরেজী জানো আমার লেখা ইংরেজীতে রুপান্তর করে বিশ্বের মানুষের কাছে পৌছে দাও। তোমাদের বাপ দাদাদের ওরা বোকা বানিয়েছে তোমাদের পারবে না।

আমি খুব দ্রুত লিখি তাই ভুল শুদ্ধ প্রুফ দেখতে ইচ্ছে হয় না। বানান ভুল দেখলে ঠিক করে দিও। সবার মাঝে সত্যকে বিকাশিত করো। মানুষ মানুষকে মারবে এ হয় না। আমরা আর ওদের হাতের পুতুল হয়ে বাঁচতে চাই না।

মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে চেতনাকে শেষ করা যায় না। পরমাত্মার আবির্ভাব তোমার হৃদয়কে প্রভাবিত করে। সমাজে হঠাৎ হঠাৎ কিছু কিছু ঝার ফু দেয়ার মানুষ বের হয়, আবার হারিয়ে যায়। আবার কিছু জতিষ্যির দেখা মেলে ওরা আসলে বিশ্বগোয়েন্দা সংস্থার লোক ওদের এরিয়ে চলবে। সব সময় তোমার নিজের ভিতরের বিশ্বাসকে গুরুত্ব দেবে।

নিজের মধ্যের সত্য বিশ্বাস তোমাকে অনেক ঊদ্ধে নিয়ে যাবে। আর ওখানে যেতে পারলে আইন তোমার কাছে ফাইন হয়ে হাস্যকর রূপ ধারণ করবে। আজ খুব বেশী মনে পড়ছে হুমায়ূন আহমেদ স্যারকে যিনি সারাজীবন ঘৃহবন্দিই ছিলেন। উপন্যাস নাটকে আমাদের জাগাতে চেয়েছে আমরা তাকে অনেক পরে বুঝেছিলাম। ডঃ জাফর ইকবাল স্যার সায়েন্স ফিকশনের নামে আমাদের মাঝে বর্তমান সময়কে তুলে দিয়েছেন।

আসুন আজ সময় এসেছে জাগ্রত হবার। অসম্ভবের আত্মপ্রকাশ :: মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্ :: (পর্ব-১)

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৪ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.