সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।
প্রিয় দেশবাসী।
আমি আমার চিন্তাধারাকে ও আমার এই আগমন কে আপনাদের মাঝে কয়েকদিন ধরে প্রকাশ করে যাচ্ছি। আমি খুব দ্রুত লিখি। নিজের হাতে টাইপ করে কোনো প্রকার প্রুফ না দেখেই পোস্ট দিয়ে দেই। আজ থেকে বিগত কয়েকদিনের লেখার প্রুফ দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
যে সব বন্ধুরা আমার বানান ভুল দেখে হতাশ হয়ে আমাকে অবগত করেছেন।
আমি বানান ঠিক করার উদ্দেশ্যে পিছনে তাকিয়ে দেখি শুধু বানান না। বাক্য গঠনে, দাড়ি, কমার ব্যবহারেও বেশ ভুল আছে। সবই ধীরে ধীরে ঠিক করে দেবো।
আজ যেটুকু ঠিক করেছি তা দিলাম। নতুন লেখাও চলতে থাকবে।
আপনাদের সবার জন্য আমার শুভ কামনা রইলো। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে। আমাদের পরবর্তি জেনারেশনকে একটি সুন্দর পৃথিবী উপহার দেবো। এই হোক সামনের দিকে এগিয়ে যাবার সকল বাঙালীর প্রেরণা।
প্রথম পর্ব
বাংলাদেশী জাতি আজ মহা দূর্যোগে।
এক মহাজাগরণের ধামামা চারিদিকে ধ্বনিত হচ্ছে। কান খাড়া করে শুনুন। বিবেকের চোখ দিয়ে দেখুন। আজ আমার ভাই ও বোনের রক্ত দিয়ে রাজনীতিবিদরা খেলছেন। তবুও তাদের রক্তস্নান শেষ হচ্ছে না।
এ কোন খেলা? এ কোন রাজতীতি?
বাংলাদেশের ইতিহাস অনেক বড় গৌরবের। বিশ্বের সবচেয়ে গর্বিত জাতি বাংঙালী। বাংলাদেশীদের মুক্ত করার মহান স্বধীনতা যুদ্ধের মতো এতো অল্প সময়ে এতো রক্ত আর কোনো জাতি দেয় নি। এতো এতো লাল টকটকে রক্তের দামে আর কোনো জাতিকে স্বাধীনতার সূর্য কিনতে হয় নি।
বিশ্বের বুকে আমরা আজও কেনো মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি নি? আজকের এই রাজনীতিবিদ নামের বেহায়ারা কারা? তারা যদি গণতন্ত্রের মধ্য দিয়েই ক্ষমতায় এসে থাকে তাহলে এতো রক্ত দিতে হচ্ছে কেনো?
প্রতিদিন এতো এতো রক্তপাত, করুন মৃত্যু, বাংলার সাধারণ মানুষের অঙ্গহানী, জীবন প্রদিপ নিভে যাচ্ছে কোন দাবির জন্য? কোন এমন জিনিস অর্জন করার বাকি আছে যে, যার জন্য আজ আমাদের মতো নিরিহ মানুষদের জীবন দিতে হচ্ছে?
বন্ধু!!! আজ স্পষ্ট করে বলার সময় এসেছে।
গভীর মন দিয়ে উপলব্ধী করার চেষ্টা করুন। নিজেকে প্রশ্ন করে দেখুন। স্বাধীনতা পরবর্তী এই ৪৩ বছরে বাংলাদেশে কি কখনও গণতন্ত্র এসেছিলো?
নাকি কিছু কিছু রাজণীতির নামে নীতি বিক্রয় করা পরিবার, দূর্ণীতিবাজ, ঘুষখোর, চাঁদাবাজ, দেশী-বিদেশী দালাল, ধর্মের নামে ভন্ডামি করা সমাজপতি, শিক্ষিত চোর ও স্বার্থলোভি ব্যাবসায়ীর বলয়ের মধ্যে গণতন্ত্র নামের শাসন ব্যবস্থাকে বন্দি করে রাখা হয়েছিলো।
আজ অনেক প্রতিভাধর বাংলার মানুষকে আবেগের সাথে বলতে শুনি ছাত্র রাজণীতি বন্ধ করা দরকার। এইসব ছাত্র রাজনীতি বাংলাদেশকে খেয়েছে! সত্যিকার অর্থে ছাত্র রাজনীতি কি আদৌ আছে? নাকি সেই কবে পিছনের দরজা দিয়ে ছাত্র রাজনীতি হারিয়ে গেছে।
এই ভন্ড প্রতারকরা আস্তে আস্তে ধীরে ধীরে ঠান্ডা মাথায় ছাত্র রাজণীতিকে বন্ধ করে দিয়েছেন, তা কি আপনারা আজও মন দিয়ে খেয়াল করেন দেখেন নি বন্ধু? আজ ছাত্র রাজণীতিতে শুধু রাজণীতি কথাটি আছে ঠিকই, কিন্তু “ছাত্র” কোথায়?
এখন আর কেউ তার সন্তানকে রাজনীতিবিদ নামের অভিনেতা বানাতে চাচ্ছেন না। গার্ডিয়ান চায় তাদের সন্তান ডাক্তার, ব্যারিষ্টার, ইঞ্জিনিয়ার, পাইলট, চটার্ড একাউন্টেন্ট ইত্যাদি হয়ে জীবন ধারন করবে।
তাহলে ছাত্র রাজনীতির নামে এই যে মা বাবার অবাধ্য সন্তানদের দেখছি, এরা কারা? এই ছাত্রদের আসল পরিচয় কি? কে তাদের প্রকৃত অভিভাবক?
এদের অভিভাবক যে, এই রাজনৈতিক নামের পশুগুলো। তারা তাদের ব্যবসা প্রসারের জন্য, টাকার জন্য, তাদের ব্যাংক ব্যালেন্স ভারি করার জন্য, পাওয়ার ও অবৈধ ক্ষমতা প্রশমিত করার জন্য কিছু নির্দোষ মায়ের বুক থেকে তার সন্তান কেড়ে নিয়ে চাঁদাবাজ, গুন্ডা, বদমাস, জোচ্চোর, ধর্ষক, ব্লাকমেইলার বানিয়েছে।
ঐ সব ছাত্র নামের শয়তান তৈরি হয়ে ওঠার জন্য দায়ি আসলে কারা? আর এই অসভ্য হয়ে বেড় হয়ে আসা তরুনদের জন্য প্রকৃত দায়ী কারা? কাদের অবদান এই বর্বর সমাজব্যবস্থার জন্য? গড ফাদারদের হাতের খেলয়ার এই অবুঝ বাচ্চাদের দোষ কোথায় বলুন?
আর এই বাংলা মায়ের অবুঝ বাচ্চাদের যারা সেল্টার দিচ্ছেন, তাদের সেল্টার দেয়ার নামে কিছু খারাপ মানুষ আজ রাজনীতির নাম করে পুরো দেশকে, পুরো জাতিকে জিম্মি করে, রক্তের হলি খেলায় মাতিয়ে রেখেছেন।
এ যে এক বাংলাদেশী মুক্তোবুদ্ধি জাগ্রত করার বিপরীতে এক পরিকল্পিত যুদ্ধ।
দেখুন আজ মানুষের দেয়া আগুনে মানুষ জলে পুড়ে মারা যাচ্ছে। পুরো জাতি তা হা হা করে তাকিয়ে দেখছেন। হায়রে-বাংলাদেশী চেতনার নন্দনদের করুন দশা। আরে বন্ধু আমার প্রাণের দেশই যদি না বঁচে আপনার সন্তান ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ডক্টরেট, ব্যারিস্টার হয়ে কি করবে?
এখনকার ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সরকারী চাকুরীজিবিরা কি ধোয়া তুলশী পাতা? পুরো জাতি আজ নিরব হয়ে বসে আছে।
বন্ধু তোমার ভিতরের মানুষটিকে জাগিয়ে তোলো। নয়ন তুলে স্পষ্ট করে দেখো অসম্ভব শক্তি নিয়ে একটি পরিবর্তন আসছে। এই মূহুর্তে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ও সেনাবাহিনী দারুন সংকটে। তারা যে আজ বিশ্বমায়ের কাছে শুধু লাঞ্চিতই না লজ্জিতোও বটে।
বিশ্বময় যে দেশের সেনাবাহিনী দাপোট দেখিয়ে বেড়ায়।
যে দেশের সেনাবাহীনি অন্য রাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। সে বাহিনী আজ কেনো চুপচাপ? তারা কেনো এই কসাইদের মেরে তছনছ করছে না? তারা কি বোঝে না যে এই মুষ্টিমেয় কিছু কুলংঙ্গারদের মেরে ফেললে দেশ থেকে ময়লা আবর্জনা সরে যাবে। আমাদের তরুন সমাজ অনেক বেশী সম্ভাবনাময়।
আজ দেশে ভালোমানের ইন্টারনেট সেবা ও আউটসোর্সিং এর বিশ্ব মার্কেট ধরতে পারলে আমরা একটি ধনী রাষ্ট্রে পরিনত হতে পারতাম। আমরা আদর্শের নামে কোন আদর্শের পথে হাটছি? কোন মৃত্যুক্ষুধা আমাদের এই নিরিহ সুন্দর জাতিকে টেনে হিছরে কামড়াচ্ছে? আজ রাজনীতি এক অভিশাপের নাম।
রাজনীতিবিদদের নামে কাদের আমরা মঞ্চে উঠতে দেখছি? আজ কে কামাল আতাতুর্কের মতো কিংবা ডাঃ মাহতির মোহাম্মদের মতো দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে?
বর্তমান যুগ অসীম সম্বাবনার এক যুগ। আমরা যা দেখেছি কোনো কালের মানুষ এতো অল্প সময়ে এতো পরিবর্তন দেখেননি। তাহলে কিসের এই পরিবর্তনের জন্য দৌড়ানো বলুন? এই স্টাইলে দুটি দল নিয়মিত ক্ষমতার নাম করে চুরি অবুঝের সম্পদ চুরি করে খাচ্ছে। একই মোরকে দুই চারটি ভিন্ন ভিন্ন দল দেশকে নিয়মিত তছনছ করে ফেলছে। কে বলেছে বাংলায় নেতা নেই? কে বলেছে বাংলায় মানুষ নেই? কে বলছে বাঙালী জাগতে জানে না? আজ দেশাত্ববোধের তলে সবাই আসন গ্রহন করলে দেশ ঠিকই সামনে এগিয়ে চলতে বাধ্য।
আজ একটা পরিবর্তন আসছে। অনেক দিনের অনিয়মের পরে নিয়ম আসতে বাধ্য। অনেক ভুলের পরে শুদ্ধ হবেই। মানুষের এই ছোট্ট জীবনের কোনো ত্যাগই বৃথা যায় না। আজ কোন গণতন্ত্রের নামে আন্দোলন হচ্ছে? গণতন্ত্র কি আমার ভাই বোনের রক্তের নাম? এই নষ্ট রাজনীতিবিদদের অনেক দিনের পাপের ফল আজ পুরো জাতির উপর পড়ছে।
আমরা জাগতে না জানলে কে আমাদের জাগাবে? গনতন্ত্র কি? একবার ভেবে দেখো বন্ধু, গণতন্ত্র আজ কাদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে? তুমি দেশ নিয়ে ভাবছো? তাহলে তোমার পাশের অত্যাচার করা মানুষটির অত্যাচার বন্ধ করা নিয়ে আগে ভাবো। তোমার পাশের অত্যাচারীত ও শোষিত দেশবাসীর পাশে দাঁড়াও। তাহলে দেশ জাগবেই। সাধারণ মানুষের অসাধারণ হয়ে ওঠার নামই গণতন্ত্র। এই অসৎ লোকদের ক্ষমতার দন্দ আর যাই হোক গণতন্ত্র নয়।
এখন আর সেই বক্তব্যের যুগ নেই। এখন আর সেই পুরোনো সিস্টেম নেই। অসম্ভবকে সম্ভরে রূপান্তরিত করার সময় এসেছে। এই আগমনকে প্রাণভরে বিশ্বের বুকে মেলে ধরতে না জানল, আসল গণতন্ত্র যে আসবে না। বর্তমানে কাগজের বইয়ের যুগ যে শেষ হবার পথে।
তাই আমার এই বক্তব্যকে তোমরা যে যেভাবে পারো সকল বাঙালীর কাছে শেয়ার করে দিয়ো। মৃত্যুর ভয় আমি করি না। যুগস্রষ্টারা কখনও মৃত্যু ভয়ে আতঙ্কিত হয় না। আমরা যুগে যুগে আসি। এই আগুন নিয়ে খেলা আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধ ভাবে বন্ধ করতে হবেই।
আসো, আমরা সব সাধারণ মানুষ জেগে উঠি। কে হিন্দু? কে মুসলমান? কে ক্রিচিয়ান? কে বৈদ্ধ? কে ইহুদী? বা কে উপজাতি? তা পরে দেখা যাবে। সবার আগে নিজের ভিতরে নিজে চিৎকার করে বলে উঠুন “আমি একজন গর্বিত বাঙালী”।
এই মুষ্টিমেয় কিছু দূর্ণীতিগ্রস্ত মানুষের জন্য বাংলাদেশ উল্টো পথে হাটবে কেনো? অনেক সাধারণ মিলে অসাধারণ হয়। আর সেই অসাধারণকে বরণ করে নেবার সময় আজ এসেছে।
বাংলাদেশের কতো জন মানুষ মন প্রাণ দিয়ে পলিটিক্যাল পার্টি করে? এই যুগ যে তথ্য প্রযুক্তির ভরা মৌসুম। অন্য সময় হলে হয়তো দ্রুত খবর ছড়াতো না। এই যুগ ইন্টারনেটের অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগ। জীবনের সময় বড্ড কম বন্ধু! অনেক কাজ বাকি পড়ে আছে। একজন একজন করে সবাই জেগে উঠলে পুরো জাতি আজ উন্নত হতে বাধ্য।
তাকিয়ে দেখুন গ্রাম-গঞ্জে এর মানুষও যে আজ সর্বযুগের চেয়ে অনেক বেশী সচেতন। যে টাকার জন্য রাজনীতির নামে দূর্ণীতিতে দেশ ভারি হয়ে যাচ্ছে। আমাদের বাংলাদেশে ঐ টাকা দিয়ে অনেক গুলো পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন ও ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সেবা পৌছে দেয়া সম্ভব। এই দায়িত্ব আজ আমাদের কাধে তুলে নিতে হবে।
জন্ম যখন হয়েছে মৃত্যু হবেই।
মৃত্যু নামের পরম বন্ধুটি কোনোদিনও কারও সাথে বেঈমাণী করে না। আমরা স্বাভাবিক মৃত্যু চাই। আমার মা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন নিরিহ শিক্ষিকা। তিনি প্রতিদিন বরিশাল থেকে ঝালকাঠী ১৬ কিলোমিটার পথ বাসে করে যাতায়াত করেন। আমি সকালে আমার মায়ের নামে গড়া মেরী কম্পিউটার্স নামের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে চলে আসি।
গত পরশু মা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝালকাঠী স্কুলে গিয়েছিলেন। মায়ের মোবাইল বন্ধ দেখে আমি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলাম! কিসের জন্য এই কান্না? কে সরকার প্রধান হবেন তা আমার জানার দরকার নেই। রাষ্ট্র আমার মা কে কি ভাবে নিরাপত্তা দিবে তা জানার অধিকার আমার আছে।
আমি টাকা পয়সা হারালে পাবো। গরিব থাকলে ধনী হতে পারবো।
খারাপ থাকলে ভালো হতে পারবো কিন্তু ঐ ভন্ডদের কারণে আমার মায়ের কিছু হলে তাকে কি আর কোনোদিন পাবো?
দেশের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে পড়েছে। জন প্রশাসন ভেঙ্গে পড়েছে। তবুও এই ভন্ডদের রক্তের নদীতে সাঁতার দেবার বাসনা একটুও কমেনি। জাতির পিতা কে আমি জানতে চাই না। আমার পিতাকে আমি ভালো অবস্থায় দেখতে চাই।
আমার বাবার চিকিৎসার ব্যয়ভার আমার বাংলা মায়ের নিতে হবে। কিভাবে নিবে এতো যুক্তি তর্ক মানতে আমি রাজি না।
আসুন বন্ধু সকলে ঐ দলের নামে ধান্ধাবাজির বেড়াজাল থেকে বেড় হয়ে আসি। আমার লেখায় কোনো ভুল হলে আমাকে আপনারা ক্ষমা করে দিবেন। বিশ্বাস করুন কোনো নীতি নির্ধারক হতে আমি এই বসুন্ধরায় আসি নি।
আমি এসেছি শুধু একটি স্বাভাবিক জীবন যাপন করার উদ্দেশ্য।
আসুন আমরা সবাই মিলে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাই। অসম্ভবকে চাপটে ধরে সম্ভবে পরিনত করি। আমার দেশের রিকশাওয়ালা, লুঙ্গীওয়ালা, হকার ভাইয়েরা দূর্ণীতি করে না। বরং ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যারিষ্টার- ডক্টরেটগণ চুরি করেন।
আজ দ্রব্য মূল্যের এতো দাম কেনো? মুন্সিগঞ্জে আলু পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নিরীহ চাষী মাথায় হাত দিয়ে কাঁদছেন আর শহরের মানুষ জীবন আতঙ্ক নিয়ে ১০০ টাকা দরে আলু কিনে খাচ্ছে। হায়রে সমাজ-সোসাইটি-দেশ-গণমাধ্যম?
গোটা সমাজের একটি পরিবর্তন হচ্ছে। এই পুরাতন পঁচা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা আইন দিয়ে এই তরুনদের নষ্ট হতে দেয়া যাবে না। আমরা এমন একটি জেনারেশন উপহার দিতে চাই যারা গর্ব ভরে বিশ্বের বুকে রাজটিকা এঁকে দিতে সক্ষম হবে।
আসুন আমরা এই নষ্ট প্রতারক পলিটিশিয়ানদের লাথি দিয়ে সরিয়ে দেই।
আপনার আমার মধ্যে যে পরম সত্য লুকিয়ে আছে তাকে জাগিয়ে তুলে ধরুন, দেখবেন আমরা সবাই শৃঙ্খল মুক্ত হয়ে গেছি। আসুন আমরা সবাই ওদের হাত থেকে বাংলার চেতনাকে ও দেশকে রক্ষা করি। কিসের এতো অভাব? বাংলার মানুষের কি আজ পেটে খাবার নাই? পরনে কাপর নাই? তাহলে কেনো এই জ্বালাও পোড়াও?
সবাই যেনো ঘুমিয়ে আছে। যে দেশে বিবেকানন্দ, নজরুল, সুবাস চন্দ্র এসেছিলেন, সেই দেশের মানুষ কেনো এতো অসহায় থাকবে? অন্ধকারের পর আলো আসবেই।
অনেক দুঃখের পরে সুখ আসবেই। অনেক দূর্ণীতির পর সুনীতি আসবেই। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবেই। বাংলাদেশের মানুষের মেধা আছে। বাংলাদেশের মানুষ পরিশ্রম করতে জানে।
আর এই মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে বাংলাদেশ একসময় ধনী রাস্ট্রে পরিনত করা যাবেই। আমাদের অসম্ভবের পথে যাত্রাকে কেউ রুখতে পারবে না।
দেখো সাধারণ মানুষ আজ অসাধারণ ভাবে জেগে উঠেছে!!!
আমারা যারা সাধারণ মানুষ। আপনারা কেনো বুঝছেন না আমাদের নিয়ে ঐ ভন্ড রাজনৈতিকগণ খেলছেন। তাদের ঐ রক্তের হলি খেলা আজ আমাদের শহর বন্দর গ্রাম রাঙিয়েছে।
ঐ নষ্ট রাজনীতি ও দুর্ণীতির কারণে অনেক দিনের জমে যাওয়া ক্ষোভের কালোমেঘ আজ বৃষ্টি হয়ে বাংলার প্রতি ঘরে ঝরে পড়ছে। জন প্রশাসন ভেঙে পড়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সরাসরি ক্ষমতা গ্রহণ করতে পারছেন না। কারণ বিশ্বে আমাদের অকুতভয় অনেক সেনা সদস্য কর্মরত আছেন। সেনাবাহিনী সরাসরি ক্ষমতা গ্রহন করলে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশী নাগরিকদের অসুবিধা হতে পারে।
তাই সেনাবাহিনীকে প্রতিটি পদক্ষেপ চিন্তা ভাবনা করে এগোতে হচ্ছে।
পর পর কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে খারাপ মানুষদের শেষ করে দেয়া হচ্ছে। প্রথম এলেন অপারেশন ক্লিন হার্ট, তারপর ক্রোস ফায়ার, তারপর মঈন ইউ. সমর্থিত প্রধান উপদেষ্টা ফকরুদ্দীন আহম্মেদ। ফররুদ্দীন আহম্মেদ এর মধ্যমে বাংলাদেশের রাজণীতির প্রধান বলে দাবি মানুষকে কারাগারের অন্ধকুপে নিক্ষেপ করে বাংলাদেশের জনগণকে বোঝানো হয়েছে যে কেউ শাস্তির ঊর্ধে নয়।
বিদেশে বাংলাদেশী সোনার মানুষরা কষ্ট করে টাকা ইনকাম করে দেশের অর্থণীতিকে সমৃদ্ধ করে চলছে।
বাংলাদেশের রিজার্ভ কারেন্সী এখন এক বিশ্বরেকর্ড। সাধারণ মানুষ ট্যাক্স, ভ্যাট দিচ্ছে, তার সাথে প্রতিনিয়ত অতিরিক্ত হারে যুক্ত হচ্ছে ঘুষ। সাধারণ পণ্য সিন্ডিকেট করে বিক্রি হচ্ছে। সমাজে আজ স্পষ্ট দুটি শ্রেণী তৈরি হয়েছে। এক শ্রেনীতে আছে সাধারণ মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত্ব মানুষ আর অন্য দিকে রয়েছেন মুষ্টিমেয় কিছু জন্ম বেঈমাণ রাজনৈতিক, দূর্নিতীগ্রস্থ ব্যাসায়ী, আমলা সম্প্রদায়।
এরা এই অসম্প্রদায়িক বাংলার মানুষকে পণ্য বানিয়ে ফেলেছে।
কিন্তু এই মুষ্টিমেয় মানুষের মতো দেখতে শয়তানরা তাদের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে আজ গন্ডগোল পাকাচ্ছে। আর দেখুন তার খেসারত দিতে হচ্ছে এই সাধারণ অভাগা মানুষকে। আমরা যারা সাধারণ মানুষ আজ তারা কাকে নেতা হিসেবে মেনে নিচ্ছি? এই রক্ত চোষা জোঁকদের?
যারা গরিব মজুরের রক্তকে মদ বানিয়ে পান করে বিভিন্ন দেশী বিদেশী বেশ্যাদের নিয়ে রঙ্গ খেলায় মেতে থাকেন। এই মানুষ নামের শয়তানদের হাতের পুতুল হতে কি আমারা এই সুন্দর বাংলাদেশে ও পৃথিবীতে এসেছি? তাদের ভয় পেলে চলবে না বন্ধু!
মৃত্যু হবার আগেই নিজের মনের আকুল চেতনার মৃত্যু হলে তাকে কে বাঁচাতে পারেন ভাবুন? বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যে অনেক ত্যাগী বীর আছেন।
যারা অন্যদেশে তাদের অবদানকে চির অম্লান করে রেখেছেন। আমাদের সেনাবাহিনীর অবদানের কথা ঐ সব আফ্রিকার সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের কে জিজ্ঞাস করলে দেখবেন তারা তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশে একটুও কার্পন্য বোধ করেন না।
আর সেই বির সেনা সৈনিকদের পরিবার পরিজন বাবা, মা, সন্তান, স্ত্রী, দাদা-ফুপু, ননী-চচী, চাচতো-খালাতো ভাই বোন যে বাংলাদেশে বাস করেন। এই বাংলাদেশীদের কেনো এই করুন দশা হবে?
সব নিরিহ পরিবারের নিরাপত্তা যে আজ চরম হুমকির মুখে। আজ সেনাবাহিনী কিছু না করতে পারলেও তারা অন্তত বিমান বন্দর দখল করে তাদের সৈন্য সামন্ত নিয়ে চলে আফ্রিকার কোনো দেশে স্থায়ী ভাবে পাড়ি জমাতে পারেন।
আফ্রিকার অভিবাসী হয়ে তারপর কৃষি বিজ্ঞানীর কাজ করুক। আলু চাষ করে তাতে পানি দিক। বন্য পশু শিকার করে কাবাব বানিয়ে খেতে পারেন।
না বন্ধু তারা এ কাজ করতে পারবেন না। কারন তারা আমাদের মতো রক্ত মাংসের মানুষ।
তাদের শরীরে যে বিরের রক্তধারা প্রবাহিত। তারাও ট্যাক্স ভ্যাট দেন। তাদেরও পরিবার পরিজন আছেন। আমাদের মাঝে কি ঐ নোংড়া মানুষগুলো ছাড়া আর কোনো নেতা নেত্রী নেই? নাকি সেই দ্বার অনেকদিন ধরে মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ নামের চরিত্রাভিনেতা বন্ধ করে রেখেছেন। আসুন আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হই।
বাংলাদেশের পতাকার দিকে একবার মন-প্রান উজাড় করে তাকিয়ে দেখুন। কাদের দখলে ঐ রক্তের দামে অর্জন করা পতাকা? আমার দেশের সাধারণ যখন অসাধারণ এক স্বাধীনতার ইতিহাস রচনা করতে পেরেছেন সেই আমরাই আমাদের নিজের মনের ভিতরের লুকায়িত নেতাটিকে বের করে বিশ্ব মায়ের বুকে মাথা উচু করে উন্নত জাতিতে পরিনত হতে পারবোই পারবো।
আমরা বিশ্বের সেরা জাতি। আমরা আমাদের পূর্ব পুরুষদের অনেক ভুলের মাশুল অনেক ভুল দিয়ে শোধ করে চলেছি। তাদের যে অনেক ঋণ আমাদের শোধ করার বাকি আছে।
সেই শোধ করা যদি আমার রক্তের মাধ্যমে হয় তাতেও ভয় নেই। সেই চেতনা নিয়ে সবাইকে নিজ নিজ জায়গায় থেকে কাজ করে যেতে হবে।
আর আমাদের পাশে থাকবে আমাদের গর্বিত সামরিক আধা সামরিক বাহিনী। কারণ তাঁরা আমাদেরই মতো ঐ মুষ্টিমেয়দের হাতের খেলনা পুতলে পরিনত হয়ে আছেন। এ যেনো অনেকদিনের মরিচা পরা কোনো শক্ত ইস্পাত।
আসুন আমরা আমাদের মনের ইস্পাতকে জাগিয়ে তুলে, তাকে শক্তিতে পরিনত করে, সামনের দিন গুলো রাঙিয়ে তুলে সুখ সমৃদ্ধির প্রতিকে। আমরা জেগে উঠবোই। আমাদের কেউ আটকে রাখতে পারে নি আর পারবেও না। কারণ জীবন একটাই। এই জীবন নামের সুগন্ধের সাবান যে একবারই ব্যবহার করা যায়।
সেই জীবন যদি সত্য ও সুন্দরকে প্রতিষ্ঠিত করবার জন্য দান করে দিতে হয়ও তাহলে সেই জীবন দান করাও যে হবে সুখের মরন!
যারা নিজেরা ভালোভাবে বাঁচতে জানে না, তারা কিভাবে একটি জাতিকে বাঁচাবে?
অসম্ভব কে জয় করা তৃতীয় শক্তি
অনেক দিন ধরে তৃতীয় শক্তি নামে একটি শক্তির জাগরনের কথা মিডিয়ায় বেশ জোরেশোরেই উচ্চারিত হয়ে আসছিলো। সেই তৃতীয় শক্তি আসলে কে? সেনাবাহিনী? সেনাবাহিনী জনগনের টাকায় বেতন নিচ্ছে। সকল সেনাবাহিনীর মালিক দেশের সকল জনগন তাতে বিন্দু মাত্র সন্দেহ থাকার অবকাশ নেই।
আজ আমরা যাকে তাকে তৃতীয় শক্তি ভেবে ভুল করছি। ধরুন আপনি কোনো দল করেন না।
এবং এটি বেশ জোড়েশোড়েই উচ্চারণ করার সহস রাখেন। কিন্তু কথাটি যদি এভাবে হয়, “আমি কোন দলকেই পছন্দ করি না”। হ্যাঁ সত্যি সত্যি এই রাজনৈতিক দলকে মন থেকে পছন্দ করেন কয়জন?
মনের সত্যিকে মুখে বলতে কি দোষ? একটি সত্যি প্রকাশ যে পুরো জাতিকে সামনে নিয়ে যেতে পারে। তা কি এখনও বোঝেন না। আমরা যে আজ একটি বৃহৎ শিক্ষিত সমাজ সৃষ্টি হয়েছি কিসের জন্য?
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান অবশ্যই ইতিহাসের স্বাক্ষী।
তিনিই প্রথম বাংলার নিরিহ মানুষকে জানিয়েছিলেন তৎকালীন পাকিস্তান আর্মিতে কাজ করা বাংলাদেশী সামরিক বাহিনীর সেনা যারা, এই বাংলায় উপস্তিত আছেন। তাদের অবস্থান জন সাধারণের স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করার জন্য। আর এই যুদ্ধে সকল বাঙালী একতাবদ্ধ। আর এই যে, জনগণকে মেজর জিয়া রেডিও সেন্টার দখল করে ঘোষনা দিয়েছিলেন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কথা, সেই জনগনকে তৈরী করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সহ শের এ বাংলা এ কে ফজলুল হক, মাওলানা ভাষানী, সোহরাওয়ার্দী, নেতাজী সুবাস চন্দ্র বসু প্রমুখ নেতারা। তাহলে আজকের যে খালেদা জিয়া বা শেখ হাসিনা তারা কারা? কোথা থেকে এলেন? একজন হলেন এক প্রভাবশালী প্রতিভাধর ত্যাগী বীর জিয়াউর রহমানের স্ত্রী আর অন্যজন হলেন এক বিশাল বড় নেতা শেখ মুজিবর রহমানের মেয়ে।
যিনি তার আপন ২ ভাইয়ের বিয়ের সময়ে বিদেশে ছিলেন। এখন আমার প্রশ্ন নেতার স্ত্রী কি নেতা হয়? নেতার মেয়ে কি নেতা হয়? তাহলে এরা কারা?
হাসিনা-খালেদা-জামায়াত-শিবির-জাতিয় পার্ট হলেন বিশ্ববাজার দখলকারী কিছু ব্যাক্তি ও রাস্ট্রের বাংলাদেশী বাজার থেকে মুনাফা তুলে নেয়ার জন্য কিছু সংখ্যক ব্যবসায়ীর সরাসরি দালাল। সরকারী আর বিরোধী দল নিয়ে নয়, তারা সবাই রাজনীতির নাম করে, গণতন্ত্রের নাম করে, জনগনের মাথার উপরে বসে ব্যবসা করে যাচ্ছেস। তাদের সোর্স অব ইনকাম কি? কি এমন কাজ করেন তারা যে এমন বিলাস বহুল জীবন যাপন করছেন? জিয়াউর রহমান কিংবা শেখ মুজিবের আদর্শ বলতে কোনো কথা নেই। আসল আদর্শ বাঙালী চেতনা বোধ।
আসল কথা মানবতা। সবার আগে মানবতা। সকল ধর্মেই তাওহিদ অর্থাৎ একাত্ববাদে বিশ্বাস করা সবার আগে কর্তব্য।
যুগের সাথে আদর্শের পরিবর্তন হয় না, কিন্তু যুদ্ধের স্টাইলের পরিবর্তন হয়। শুধুমাত্র স্রষ্টা প্রকৃতি ও মানুষ সৃষ্টি করেছেন তাতে বিন্দু পরিমান সন্দেহ নেই।
আর চোখ মেলে দেখুন প্রকৃতিই সত্যিকারের সচ্ছল। প্রকৃতির কোনো প্রাণী যেমন হাতি, ঘোড়া, বাঘ, সিংহ এমনকি একটি সাপকেও স্রষ্টা তার রিজিক থেকে বঞ্চিত করেন নি। কিন্তু মানুষ যখন স্রষ্টাকে ভুলে নিজের ভাগ্য নিজে নির্ধারণ করতে চায় তখন সমাজের অধঃপতন ঘটে।
যেমন করে আগে ঘটেছিলো। যে সময় স্যার সৈয়দ আহমেদ, সৈয়দ আমির আলী, মীর মোশাররফ হোসেনের মতো নেতাদের কথায় এই মাটি কাঁপতো।
তৎকালীন সমাজের নেতা ছিলেন তারা। তাদের কথা মানুষ মনে রাখে নি। কিন্তু ঠিক সেই সময় লালন ফকির নামের এক মুসাফির নিজ উদ্যোগে গান লিখেছিলেন যা আজ সবার সম্পদ রূপে পরিগনিত হচ্ছে।
কারণ নেতারা ছিলেন সার্থ অন্বেষী, কুচক্রী, দুষ্ট ও মোনাফেক। কিন্তু লালন নিজে একটি আদর্শের জন্মদাতা পিতা।
ঠিক সেইভাবে বর্তমান সময়ও আমাদের অনেক মেধা পচে গলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দেখার কেউ নেই। সবাই সবার নিজের স্বার্থ নিয়ে ব্যাস্ত।
বন্ধু এই ভার্চুয়াল জগত থেকে কিছুক্ষণের জন্য বেড় হয়ে আসল জগতে পা রাখুন দেখবেন আমরা ঐ স্বার্থ অন্বেষীদের ঠিকই উচিৎ শিক্ষা দিতে পারবোই।
আজ বাংলাদেশ বিশ্বের বিত্তশালী ধনী দেশ সমূহের মার্কেটে রূপান্তরিত হয়েছে।
আজ সমাজ অধপতনে যাবে কেনো? আমরা কি পণ্য উৎপাদন করতে পরি না?
আপনি কি জানেন না একটি নতুন আইডিয়া গোটা সমাজকে পাল্টে দিতে পারে। তার প্রমাণ বিশ্বনেতাদের জীবনী। আপনার আমার মতো তরুন বয়সে বিশ্বের অনেক নেতাই সাধারণ ছিলেন। পরবর্তিতে তারা তাদের নিজ নিজ আসন পাকা পোক্ত করেছেন।
আজ বড় দুঃখের সাথে বলতে হয় বাংলার বিশাল এক জনগোষ্ঠী শিক্ষিত যুব সমাজ যারা সংসারের সম্পদের বদলে আপদ বলে বিবেচিত হচ্ছে।
এদেরকে বের করে নিয়ে আসতে হবে। এদেরকে চাকুরী দেয়া রাষ্ট্রের কাজ বা ব্যবসার পথ দেখানো সরকারের কাজ। হিন্দু মুসলমানের মধ্যে অনেক সমাজ সংস্কারক এসেছেন আমরা তাদের মূল্যায়ন করিনি। তাদের আদর্শ থেকে আমরা বিচ্যুত হয়ে গেছি। সমকাল নজরুল কিংবা বিবেকান্দকে মেনে নিতে পারে নি কিন্তু মহাকাল তাদের স্মরণ রেখেছেন ও জাকিয়ে তুলেছেন।
কিন্তু তাদের আদর্শ বাস্তবায়ন হয় নি। সত্য যে একবারে প্রতিষ্ঠিত হবে এমন কোনো কথা নেই কিন্তু সত্যের জয় হবেই। আসুন নতুন একটি সমাজ ব্যবস্থা আমরা সবাই মিলে উপহার দেই যেখানে কিছু কিছু ব্যপার উপস্থাপন করা যায়ঃ এগুলোকে দাবি বললেও ভুল হবে না।
১। বাংলাদেশে ব্যবসা করে এমন প্রতিষ্ঠান যেমন মোবাইল অপারেটর, তামাক জাত দ্রব্য, কিংবা ভোগ্য পন্য বিক্রেতা বিদেশী কোম্পানী বাংলাদেশকে তাদের লাভের ৮০% দিয়ে দিবে যা দিয়ে দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হবে।
২। লীজ বা ঠিকাদারির নামে কোনো প্রকার রাজনৈতিক চাঁদাবাজি চলবে না। সবাই হবে একটি সরকার ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে। তরুন মেধাবীরা এই সমাজে ঠাঁই পাবে। দালান-কোঠা, ব্রিজ সহ সকল স্থাপনা হবে মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী ও প্লান অনুযায়ী হতে হবে।
৩। দেশে কেউ কেউ বাড়িওয়ালা আর বেশী সংখ্যক মানুষ ভাড়াটিয়া কিংবা ভূমিহীন। বাড়িওয়ালা ভাড়াটিয়া বলে কোনো কথা থাকতে পারবে না। ৪০ বছরের সহজ কিস্তিতে সবাই কমপক্ষে একটি ফ্লাটের/জমির মালিক হবেন। ৪০ বছর হিসেব করে প্রতি বছর থেকে প্রতি মাস হিসাব করে সহজ কিস্তিতে জমি বা বাড়ী মালিকের কাছে, রষ্ট্রিয় তত্তাবধায়নে টাকা পরিশোধ করবেন।
তাতে করে সমাজের শ্রেণী বিভাজন কমবে। সেই সাথে আত্মবিশ্বাসও বাড়বে। দেশের সব জমিকে একক করে, জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ দিয়ে। মাথাপিচু জমি কেনার একটি নির্দিষ্ট সীমারেখা থাকবে। ঐ সীমার বাইড়ে কেউ জমি ভোগ দখল কিংবা কিনতে পারবে না।
তাতে অনেক ব্লাক মানি নতুন নতুন কাজে ইনভেস্টমেন্ট হবে। জমি ক্রয়-বিক্রয়ের কোনো দালাল থাকবে না। দালাল হবে সরকার। আর সরকার হবে জনগণের সেবক ও রক্ষক। জনগণের সম্পদের ভক্ষক হলে তার পরিনাম অনেক বেশী খারাপ হবে।
৪। সরকারী তত্তাবধায়নে বিদেশী আউটসোর্সিং এর কাজ আসবে। তারা তরুনদের টাকা ইনকামের ব্যবস্থা করে দিবে। বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য নতুন নতুন পদক্ষেপ নিতে হবে। চাকরীর সর্বনিম্ন বয়স নির্ধারিত হবে ৪০বছর।
৫। সবাই রেশন সুবিধা পাবে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সরকার একটি ব্যবস্থা করে দিবে। তা শুধু সামরিক বাহিনী বা আধা সামরিক বাহিনী নয় আমার দেশের সাধারণ মানুষ সবাইকে রেশন ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।
৬।
সরকারী দায়িত্বে সবার চাকুরীর বিধান করতে হবে। সবার রিটার্ডমেন্ট এর ব্যবস্থা সরকার করবে। বেকাররা বেকার ভাতা পাবে। বয়স্করা বয়স্ক ভাতা পাবে। বিয়ের খরচ বহন করবে সরকার।
সরকার চিকিৎসা ভাতা দেবে। দেশে বিনিয়োগ কারী সব ব্যবসায়ী থেকে একটি যুক্তিযুক্ত ট্যাক্স নির্ধরণ করলে সেই খাত থেকে এই খরচ মিটানো সম্ভব হবে।
৭। বুড়িগঙ্গা নদীকে দঃ কোরিয়ার সিওলের আদলে গড়ে তুলতে হবে। যাতে করে বুড়িগঙ্গাও বাঁচে মানুষও বাঁচে।
৮। পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করতে হবে। ঢাকার সাথে দক্ষিন অঞ্চলের সংযোগ নয় বরং দক্ষিণ অঞ্চলের সাথে ঢাকার করার জন্য পদ্মা সেতু হবেই। সেই সাথে বাংলাদেশের সব অঞ্চলে রেল ব্যবস্থার সম্প্রসারন ঘটাতে হবে। নদী পথকে আরও বেশী ব্যবহার করলে পণ্য পরিবহনের খরচ বহুলাংশে কমবে।
৯। সকল বেসরকারী হাইস্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কে সরকারি করতে হবে।
আসুন বন্ধু সবাই মিলে ঐক্য গড়ে তুলি। সবাই আমার লেখাটি সবার মাঝে বিতরণ করে দিন। যাতে করে সবাই একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারি।
মৃত্যুর পরোওয়া করলে হবে না।
আপনার মনের ভিতরে যে শিখা অনির্বান জ্বলছে, আপনার হৃদয়ে যে স্মৃতিসৌধ গড়ে উঠেছে তাতে ফুল দিন। ঐ সব ইট পাথরের স্মৃতিসৌধ ও শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে আর শহীদদের আত্মায় কষ্ট দিবেন না। আন্দোলন চলবেই। সবাই মিলে যখন এক হতে পেরেছি।
আমাদের আর কেউ রুখতে পারবে না। বাংলাদেশের মেধা আছে। মেধাকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। বাংলার মানুষ এখন অনেক বেশী সচেতন। বাংলার মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকলে তারা সব অসম্ভকে সম্ভব করতে পারে।
তার প্রমাণ পরাধিনতার মায়াজাল থেকে স্বাধীনতার সূর্যকে অনেক রক্তের বিনিময় অর্জন করার ইতিহাস। অনেক কিছু হারিয়েছি এবার অর্জনের পালা।
**************************************************
আজ জেগে ওঠার সময় এসেছে :: আপনার ভিতরেই লুকিয়ে আছে সেই অসম্ভব :: মুক্ত করুন জাতিকে!!!
জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতিনিধি অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর সাহেবের তোড়জোড় ও দৌড়াদৌড়ি দেখে আমার সেই বৃটিশ ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানীর সেই লর্ড ক্লাইভ এর কথা মনে পড়ছে। সেই দিন কি আর এখন আছে বন্ধু!!! বাংলাদেশের একটি মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত, শিক্ষিত সমাজ গড়ে উঠেছে। সেই সাথে অর্ধশিক্ষিত বা সামান্য অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন সাধারণ মানুষকেও এখন কোনো কিছু বুঝিয়ে বললে কিছু না করতে পারলেও অন্তত বোঝে।
শুধুমাত্র কিছু রাজনৈতিক নামের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জন্য এতো এতো মানুষ দূর্ভোগ পোহাবে কেনো? সেই বৃটিশরা কৌশলে আমাদের রক্ত চুষে আজ পর্যন্ত তাদের সাম্রাজ্য ধরে রেখেছে। আগে ওরা ওপেনে করেছে আজ করছে গোপনে। এই জন্যই তো এই গোপন বৈঠক। জেগে ওঠেন বন্ধু। আপনাদের ঘুম ভাঙ্গাতে যুগে যুগে অনেক মহাপুরুষ এসেছেন।
আমরা তাদের বুঝিনি। আমাদের দেয়ালে কিংবা কম্পিউটারের কোনো ফোল্ডারে আজ নজরুলের ছবি আছে। রমজানের ঈদে কিংবা কোনো হামদ নাত প্রতিযোগীতায় নজরুলের গান বানী আওড়ানো বেজে উঠছে। কিন্তু আওয়াজ এতো কম কেনো বন্ধু?
নজরুলের নামে এভিনিউ হয়েছে। সেই এভিনিউ আজ বাংলাদেশের নিরিহ মানুষের রক্তে রঞ্জিত কেনো বন্ধু? তাহলে তার গান কিংবা তার রচিত লেখা দিয়ে আজ শিঙ্গারার ঠোঙ্গা বানানো হচ্ছে।
তাহলে তার প্রেরনা কোথায়। নজরুলকে দিয়ে নজরুলের আদর্শকে বুঝতে হবে। নজরুলের বানী গানে তার লেখনীতে শুধু বাংলাদেশী সব কালের সব জাতির জন্য একটি সুন্দর গাইড লাইন লুকিয়ে আছে। আর এই মহাকালের মহা চেতনা তোমার আপনার হৃদয়ে লুকিয়ে আছে। জ্ঞাণ শক্তি দিয়ে তাকে জাগ্রত করুন।
দেখবেন সব ঝকঝকে পরিষ্কার হয়ে চোখের সামনে ভেসে উঠবে। সেই বাঁধন হারা বাধনে সবাই সেই অসীম আত্মার পরম সাধ পাবেন। আসুন আমরা জাগ্রত হই। আমাদের অধীকার অন্য কেউ এনে দিবে কেনো। অন্য কেউ আপনার মুখে খাবার তুলে দিবে।
আপানার হাত দিয়ে আপনি খাবার তুলে খান। দেখবেন সেই খাবার আর যাই হোক বি-স্বাদ হবে না। নজরুল আমাদের হাতুরি সাবোল চালাতে বলেছিলেন। আজ আপনারা আপনার হাতের নিচের মাউস কিবোর্ড ছেড়ে কিছুক্ষণের জন্য দু’হাত উচু করে ঐ রাজণৈতিক নামের অভিনেতাদের বুঝিয়ে দিন আমরা আজও আছি। আমাদের মহান পূর্বপুরুষদের সরলতার সুযোগ নিয়ে তাদের জিম্মি করার ফল ভালো হবে না।
আপনি যদি না জাগেন, আপনি যদি সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যা স্পষ্ট করে বলতে না পারেন তাহলে অন্য একজন কিভাবে বলবে বন্ধু?
আজ সুযোগ এসেছে সেই সুযোগকে কাজে লাগান। আমার হাতে লাঠি নিতে পারছি না। তাই আমি আমার লেখা দিয়ে আপনাদের জাগাবার অবিরত চেষ্টা করে চলেছি।
যার হাতে প্রশাসনের লাঠি আছে যার গায়ে বাংলা মায়ের মাটির গন্ধ আছে তিনি তার প্রশাসনের লাঠি সুশাসনের জন্য চালান। দেখবেন সেই অধরা সূর্য আপার হাতের মুঠোয়।
আজ কেউ নেতা নয় সবাই আমরা কর্মী। সবাই যার যার বিবেকর কাছে নিজেকে তুলে দিয়ে তুলে নিই সেই মহান দায়িত্ব। বুঝিয়ে দিন কোনো আই ওয়াসে আর কাজ হবে না। কেউ এই জাতটাকে আটকে রাখতে পারবে না। বাংলার আকাশ হবে কলঙ্ক মুক্ত।
টাকার গায়ে আমাদের প্রকৃত গুণী জনদের ছবি থাকবে। কারও পারিবারিক খুনের বদলার জন্য পুরো জাতি জিম্মি হতে পারবে না।
শুধু ভেবে দেখলে চলবে না বরং এক্সিকিউশন করার সময় এসেছে পুরো জাতি মুক্ত হবে কি করে? আপনি আপনার নব সংগীত দিয়ে নেমে আসুন রাস্তায় দেখবেন আপনার সংগীত ঐ হ্যামিলনের বাঁশিওয়াদের মতো করে টেনে নিয়ে ইদুঁরের মতো ওই মানুষ নামের মূর্তিদের সমূদ্রে ফেলে দেবে কিন্তু আপনার বাচ্চা হারিয়ে যাবার ভয় থাকবে না। এই জাতির আজ অনেক কালের অনেক ঋণ শোধ করার সময় এসেছে। আমরা চাই না আর কোনো বুদ্ধিজীবি শহীদ হোক, আর কোনো বুদ্ধিজীবি টাকার কাছে নিজের ব্যক্তিত্বকে বিসর্জন দিক।
আসুন সব সাধারণ অসাধারনের রূপ ধারণ করি। গোল্ডলিফের প্যাকেটে এ কার ছবি দেখতে দেখতে আপনার আমার হৃদয় নিস্তেজ হয়ে গেছে ঐ প্যাকেট ছেড়ে দিয়ে আসুন বাংলাদেশী পন্যের পসরা সাজিয়ে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করে তুলে ধরি।
ঘরের মহিলাদের বলছি আপনারা এবার টিভির রিমোট হাত থেকে ছুড়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।