এই অদম্য ছেলেটিই নেলসন ম্যান্ডেলা। দক্ষিণ আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গদের তো বটেই, সারাবিশ্বের কৃষ্ণাঙ্গদের মুক্তির প্রতীক এই নেলসন ম্যান্ডেলা। আর এই সংগ্রাম করতে গিয়ে জীবনের বেশ খানিকটা সময় কেটেছে জেলের ভেতরে।
অবৈধভাবে দেশের বাইরে যাওয়া এবং শ্রমিকদের ধর্মঘটে উৎসাহ দেওয়ার অভিযোগে ১৯৬২ সালে এই মহান নেতাকে পাঁচ বছরের জন্য জেলে যেতে হয়। জেলে থাকতে থাকতেই, ১৯৬৪ সালে তাকে এএনসি (আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস) পার্টির মাধ্যমে জাতিবিদ্বেষের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
পরবর্তী ১৮ বছর তার কাটে দক্ষিণ আফ্রিকার পলসমোর জেলে। ১৯৮০ সালের পুরো সময়টা ম্যান্ডেলার মুক্তি এবং সরকারের সাদা-চামড়া-প্রীতির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়তে থাকে। শেষমেশ ১৯৮৫ সালে দেশটির রাষ্ট্রপতি নেলসন ম্যান্ডেলার মুক্তির বিষয়টি মেনে নেন। বিনিময়ে বন্ধ করতে বলা হয় চলতে থাকা ‘বর্ণবিদ্রোহ’।
প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দেন ম্যান্ডেলা।
শেষ পর্যটন্ত প্রবল চাপের মুখে ১৯৯০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তখনকার দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার বিনাশর্তেই মুক্তি দিতে বাধ্য হয় নেলসন ম্যান্ডেলাকে।
এরপরও সাদা-কলোর বিরুদ্ধে সারাবিশ্বে চলতে থাকা বৈষম্য দূর করতে সচেষ্ট ছিলেন এই মহান নেতা। মৃত্যুর আগ পর্যিন্ত তিনি কাজ করে গেছেন এ নিয়েই।
আফ্রিকার পুরনো প্রথা একাধিক বিয়ে করা। ম্যান্ডেলা বিয়ে করেন তিনবার।
আর তার সন্তানের সংখ্যা ৬। নাতি-নাতনি ১৭ জন।
১৯৪৪ এর অক্টোবরে প্রথম বিয়ে করেন তিনি ইভলিন নটকো মাসেকে এবং ১৩ বছর পরে ডিভোর্স দেন। এখানে তার ২ ছেলে এবং ২ মেয়ে জন্ম নেয়।
১৯৫৮ তে তিনি উইনিকে, একজন সামাজিক কর্মী, দ্বিতীয় বারের মতন বিয়ে করেন, যেখানে তার দুই মেয়ে জন্ম নেয়।
১৯৯৬ এ তাদের ডিভোর্স হয় এবং ১৯৯৮-এ গ্রেস মিসেলকে বিয়ে করেন তিনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।