আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাকা টু সিলেট...... ( আজমপুর, স্টেশন নং-২৪)

এক সময় বই ছিল আমার নিত্য সঙ্গী , অনেক রাত জেগে বালিশ নিয়ে উপুর হয়ে বই পড়তে পড়তে বুক ব্যাথা হয়ে যেত । পড়া শেষ হতো না । আজো বইয়ের কথা মনে হলে আমার বুকে ব্যাথা হয়, তাদের মলাটে ধুলোর আস্তর জমেছে বলে । বইয়ের পোকা থেকে এখন আমি ইন্টারনেটের পোকা ।
ঢাকা টু চিটাগাং রেল লাইন ধরে হাটা শেষ করেছি।

পরবর্তি পরিকল্পনা ছিল ঢাকা টু সিলেট রেল লাইন ধরে হাটার । আখাউড়া স্টেশনের আগে তিতাস নদীর কড্ডা ব্রিজ পর্যন্ত ঢাকা টু চিটাগাং আর ঢাকা টু সিলেটের একই রুট হওয়ায় আমি সিলেটের পথে হাটা ধরেছি আসলে তিতাস নদীর কড্ডা ব্রিজ থেকে। আর কড্ডা ব্রিজের আগে যতগুলো স্টেশন আছে সেগুলোও আমি গননায় আনবো। সুতরাং আমার ঢাকা টু সিলেট প্রথম পোষ্টই হবে ঢাকা টু সিলেট ২৪তম স্টেশন। তারপর ২৫..২৬......এভাবেই ক্রমান্বয়ে সিলেট পর্যন্ত যতগুলো স্টেশন গনণা হয়ে যাবে।

আমার হাটার ধরণ তো আপনাদের জানাই আছে। আমি এক ষ্টেশন থেকে পরবর্তী স্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানগুলোর ছবি দিব এবং প্রতি ষ্টেশনের জন্য একটা করে পোষ্ট । এতে করে স্টেশনের নাম এবং সংখ্যাটা ও হিসেব হয়ে যাবে । আমাদের হাটার ধরণঃ- সারাদিন রিলাক্স মুডে রেল লাইন ধরে হাটব, সন্ধ্যায় গাড়িতে করে বাড়িতে ফিরে আসব । এই সপ্তায় যেখানে আমার হাটা শেষ হবে আগামী সপ্তায় সেখান থেকে হাটা শুরু করবো এবং আবারো সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে আসব ।

এভাবেই পর্যায়ক্রমে আমি চিটাগাংএর দিকে অগ্রসর হব এবং যতদিন না আমি চিটাগাং পৌছতে পারি । প্রতি সপ্তাহে হাটা আমার দ্বারা সম্ভব হচ্ছে না, তাই চিটাগাং পর্যন্ত কবে গিয়ে পৌছব এখনো জানি না, বলতে পারেন অজানা গন্তব্য স্টেশনের অবস্থানঃ এটা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জেলার আখাউড়ার অন্তর্গত একটি স্টেশন । (২) এই পয়েন্ট থেকে সোজা চলে গেছে চট্টগ্রাম, আর বামের রাস্তাটা সিলেটের। আর এই কড্ডা ব্রিজ এলাকা থেকেই আমার ঢাকা টু সিলেট যাত্রা শুরু। (৩) তিতাস নদী।

(৪) রেল লাইনের পাশে ফুটে থাকা এমন চমৎকার ল্যান্টানা ফুল গুলো বরাবরই আমাদের ক্লান্ত হতে দেয় না। (৫) সামনে এমন দীর্ঘ পথ, শুধু জানি এগিয়ে যেতে হবে সিলেটের দিকে। (৬) পাশের বিলে মাছ ধরছে গ্রামের শিশুরা, এমন দৃশ্যে আমি হারিয়ে যাই শৈশবে। (৭) রেল লাইনের উপর সেদিন কাকদের কোন একটা মিটিং চলছিল (৮) চমৎকার এমন ফড়িংগুলো গ্রামের পথ ছাড়া আর কোথায় পাব বলুন । (৯) মাছ ধরে রেল ব্রিজের নিচ দিয়ে চলে যাচ্ছে একটা ক্ষুদে নাও।

(১০) শাহপীর কল্লা শহীদের মাজার শাহ সৈয়দ আহম্মদ গেছুদারাজ (রহ.) এর মাজারকে শাহপীর কল্লা শহীদের মাজারও বলা হয়। তিতাস নদীর তীরঘেঁষা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর শহরের খড়মপুর গ্রামে মাজারটির অবস্থান। (১১) এইগুলো লজ্জাবতী ফুল, তা তো আপনারা জানেনই (১২) মৎস শিকারির একটা ক্ষুদে বাহিনী। (১৩) ক্ষুদে শিকারীদের শিকারগুলো। (১৪) দিনমান এমন পথ ধরে শুধুই হেটে চলা............ (১৫) চলছে মাছ ধরা।

(১৬) জোড়া ঘুঘু, সব কিছুর জোরা দেখা নাকি শুভ লক্ষণ, সুতরাং (১৭) এই লাইনটা ঢাকা টু সিলেট আর ঐটা সিলেট টু চট্টগ্রাম। (১৮) হেটে হেটে সিলেটের দুরত্ব কমানোর চেষ্টায় শুধুই এগিয়ে চলা। (১৯) সিগন্যাল গাছগুলো বলছে সামনেই আসছে কোন স্টেশন। (২০) একজন ফেরিওয়ালা, কিন্তু কি বিক্রি করে জানা হলো না। (২১/২২) এক সময় আমরা পৌছে গেলাম আজমপুর স্টেশনে।

আগের স্টেশন দেখতে এখানে ক্লিক করুন
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.