ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর মঙ্গলবার আদালতে এই উদ্বেগের কথা জানিয়ে সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রধান প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুকে নির্দেশ দেন।
গত ৭ ডিসেম্বর রাতে পিরোজপুরের জিয়ানগর উপজেলার হোগলাবুনিয়া গ্রামে সাঈদীর মামলার সাক্ষী মোস্তফা হাওলাদারের (৫৫) বাড়িতে ঢুকে তাকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে হামলায় আহত হন মোস্তফার স্ত্রী হাসিনা বেগম।
সোমবার রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মোস্তফা।
মঙ্গলবার জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের একটি আবেদনের শুনানির জন্য নতুন দিন ঠিক করে দিয়ে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি ফজলে কবীর প্রধান প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুকে বলেন, “আমরা আজ সকালে টেলিভিশনে দেখেছি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার একজন সাক্ষী দুর্বৃত্তের হামলায় নিহত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে আপনারা কী জানেন?”
টিপুর কাছ থেকে এর সন্তোষজনক জবাব না পেয়ে বিচারক ক্ষোভের সঙ্গে বলেন,“নিরাপত্তা দিতে না পারলে সাক্ষীদের আনবেন না। ”
এ সময় প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল ট্রাইব্যুনালকে জানান, সাক্ষীদের নিরাপত্তার ব্যাপারে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকেও উদ্বেগ প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে।
সাক্ষীদের নিরাপত্তার বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে কোনো ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব কি না তা জানতে চান তিনি।
এরপর বিচারক এ ব্যাপারে প্রসিকিউশনকে লিখিত আবেদন করতে বলেন।
অভিযোগ গঠনের আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের আবেদনের ওপর মঙ্গলবার
শুনানির কথা থাকলেও জামায়াতের হরতাল ও বিরোধী দলের অবরোধের মধ্যে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে আসামিপক্ষের কোনো জ্যেষ্ঠ আইনজীবীই এদিন ট্রাইব্যুনালে আসেননি।
পরে আসামিপক্ষের আইনজীবী এসএম রায়হানউদ্দিনের আবেদনে শুনানির জন্য আগামী ১৫ ডিসেম্বর নতুন তারিখ ঠিক করে দেন বিচারক।
এছাড়া এটিএম আজহারের মামলায় প্রসিকিউশনের তিনজন সাক্ষীর মধ্যে একজনের ক্যামেরা ট্রায়ালেরও অনুমতি দেয়া হয়।
এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে তিন সাক্ষীর ক্যামেরা ট্রায়ালের আবেদন জানিয়েছিল প্রসিকিউশন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।