আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।
জামায়াত ও জঙ্গীরা রামুর সহিংস ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের কথিত ছায়া কপি বিতরণ করে ফের নাশকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে। রামু বৌদ্ধ বিহার বড়ুয়াপল্লীতে হামলায় সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের উস্কানি দিয়ে চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বুধবার থেকে রামু বৌদ্ধ জনপদে আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানা গেছে। রামুর সহিংস ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের কিছু অংশ ফটোকপি করার সময় ফটোকপিয়ার মেশিনসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
তাদের কাছ থেকে প্রতিবেদনের ১৮১ থেকে ১৮৭ পৃষ্ঠার তালিকাও উদ্ধার করা হয়েছে। কিছুসংখ্যক জামায়াত নেতা ও রোহিঙ্গা জঙ্গীদের সহযোগিতায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির কথিত প্রতিবেদনের ফটোকপি প্রকাশ্যে বিলিবণ্টনের মাধ্যমে এলাকায় নতুন করে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে স্বার্থান্বেষী মহল। উচ্চ আদালতের নির্দেশে গঠিত কমিটির নিকট যাঁরা সাক্ষ্য দিয়েছেন, অভিযুক্তরা তাদের ওপর চড়াও হতে জামিনে মুক্ত এক জামায়াত নেতা ও সদ্য কারামুক্ত রোহিঙ্গা জঙ্গী দলপতির সহযোগী ক্যাডাররা কথিত প্রতিবেদনের কপি সরবরাহ করে আসামিদের বিভিন্ন ধরনের উস্কানি দিচ্ছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। সূত্র জানায়, ওই স্বার্থান্বেষী মহলটি এ বিষয়টিকে কাজে লাগাতে নতুন করে সঙ্কট সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে রামু এলাকায়। রামু উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রিয়াজ উল আলম জানিয়েছেন, তিনি কমিটির নিকট সাক্ষ্য দেয়ায় গত ক’দিন ধরে তাকে অজ্ঞাত নম্বরের মোবাইল থেকে হুমকি দেয়া হচ্ছে বার বার।
কক্সবাজার জেলা ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহসান ভুলু, বৌদ্ধ নেতা পলক বড়ুয়া আপ্পু, কক্সবাজার ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মাসুদুর রহমান, ওসমান গনিসহ অনেকে এ রকম হুমকির অভিযোগের কথা জানিয়েছেন। বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির জমা দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনের কপি (তথ্য) ফাঁস হওয়ার খবরে সাক্ষী ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। রামু থানার ওসি মোকসেদুল মোমেন জানান, এলাকার কিছু লোক বিচার বিভাগীয় কমিটির প্রতিবেদনের কপি বিলি করার কথা শুনে ফতেখারকুল ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভুট্টোকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডেকে আনা হয় এবং পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। পুলিশ জানায়, ইউপি চেয়ারম্যান ভুট্টোর দুই সহোদরসহ অনেক আত্মীয়স্বজন বৌদ্ধ বিহারে হামলার ঘটনায় জড়িত রয়েছে। থানা পুলিশ রামু চৌমুহনী স্টেশনে চৌধুরী মার্কেটস্থ ফটোকপির দোকান হাসান এন্টারপ্রাইজের মালিক মৌলভী মোঃ তৈয়বের পুত্র নাইমুল হাসান ও রকিবুল হাসানকে ফটোকপির মেশিনসহ আটক করেছে।
তাদের কাছ থেকে প্রতিবেদনের ১৮১ থেকে ১৮৭ পৃষ্ঠার তালিকাও উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ওই কপিগুলো রামুতে বৌদ্ধ বিহার ও বসতিতে হামলার ঘটনায় গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের একাংশ হতে পারে। তবে এটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের কপি কিনা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন রামু থানার এসআই এনামুল হক।
সুত্র
রামুকাণ্ডের আরো কথা:
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।