সদ্য শেষ হওয়া প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ইংরেজি ও বাংলা বিষয়ের বেশির ভাগ প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। এর মধ্যে ইংরেজিতে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সঙ্গে পরীক্ষা হওয়া প্রশ্নের ৮০ শতাংশ এবং বাংলার ৫০ শতাংশ মিল পাওয়া গেছে।
আজ বুধবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তবে তিনি জানান, পরীক্ষা বাতিল করা হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে ইংরেজি বিষয়ে উত্তরপত্র মূল্যায়নে শিশুরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, সারা দেশে নয় ঢাকা, খুলনা, সাতক্ষীরা ও দিনাজপুর এ চার জেলায় প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। কোচিং ভিত্তিক একটি চক্র এর সঙ্গে জড়িত। ময়মনসিংহের কোচিং সেন্টার এবং প্রশ্নপ্রত্র প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির (নেপ) কয়েকজন কর্মকর্তা প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত বলে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে। এটি আংশিক ফাঁস, সার্বিক ফলাফলে প্রভাব ফেলবে না বলেও জানান মন্ত্রী।
গত ২০ নভেম্বর থেকে এ পরীক্ষা শুরু হয়েছিল।
কিন্তু শুরু হওয়ার পর থেকে এ প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। এরপর গত ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস এম আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্ব একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর আজ সংবাদ সম্মেলন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী।
তদন্ত কমিটি বেশ কিছু সুপারিশ করেছ তা হলো—প্রশ্ন প্রণয়নে পরিবর্তন আনা, চিহ্নিত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া, সন্দেহে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের ব্যবস্থা নেওয়া।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।