মিডিয়া, বিশেষ করে বাংলাদেশের মিডিয়া বর্তমানে যে ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে তাতে একথা নিশ্চিত করে বলা যায় চলমান সঙ্কটের জন্য বিএনপি, আওয়ামী লীগ যতটুকু দায়ী, মিডিয়ার তার চাইতে কোন অংশেই কম দায়ী নয়। আমার কথার হয়তো প্রমাণ চাইবেন।
ঠিক আছে প্রমাণ দিচ্ছি। মিডিয়াকে বলা হয় জাতির বিবেক। কিন্তু বর্তমান মিডিয়াকে জাতির বিবেক না বলে নীতিহীন বিবেক বললেই ভাল হয়।
এই এরা এখন ফুলে ফেপে একেকটা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ এই প্রবাদকে স্বার্থক করে তুলেছে। এদের পেছনে অবশ্যই একেকটা টাকাওয়ালা কুমির রয়েছে। নিজেদের ব্যবসায়ীক স্বার্থসিদ্ধি, নিজস্ব পণ্যের প্রচার প্রসার, নিজেদের কৃত অপরাধ ঢাকা, রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল সবকিছুই করা যায় এই মিডিয়া হাতে থাকলে। তাইতো দেখি ঐ পয়সা্ওয়ালা পুজিপতিদের একেকজনের নিয়ন্ত্রণে কয়েকটা করে পত্রিকা, টিভি চ্যানেলের মালিকানা রয়েছে। তাই এর মালিকগণ নির্বিঘ্নে তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে।
অন্যদিকে সম্মানজনক পেশা, অবৈধ সুযোগ লাভের আশায় সমাজের একটা অংশ ঐ মালিকদের নিকট নিজেদের অজান্তেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।
দ্বিতীয়ত, আজ রাজনীতিকরা মিডিয়া থাকায় খুব স্বাচ্ছন্দের সাথে তাদের অপরাজনীতি চালিয়ে যেতে পারছে। একদিকে ক্ষমতায় থাকা সরকারের চামচামী অন্যদিকে সামান্য একটি বিবৃতি কিংবা গোপনস্থান থেকে এই রেকর্ড করা ভিডিও দিয়ে হরতাল অবরোধের নামে দেশ অচল করে দিতে পারছে। অথচ মাত্র ১০/১৫ বছর আগেও একটি হরতাল বা অবরোধের জন্য অন্তত এক মাস আগে থেকে ঘোষণা দিতে হতো। তারপর একটি স্বার্থক হরতাল কিংবা অবরোধ সম্পন্ন হতো।
কিন্তু আজকাল কয়েক মিনিটের মধ্যে তৃণমূল পর্যায়ে রাজনীতিকদের বক্তব্য মাঠকর্মীদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে।
তাই ন্যায় নীতির ধারক মিডিয়া আজ প্রশ্নবিদ্ধ। কিন্তু তারা এর দায় এড়াতে পারছে কি? এখন একজন সাংবাদিককে বলা হয়, তুমি সাংবাদিক? কিন্তু আগে তো তুমি দেশ প্রেমিক ছিলে!
আগে রাজপথে যত সহিংসতাই হউক না কেন, কোন পক্ষই সাংবাদিকদের উপর আঘাত করতো না। কিন্তু ইদানীং কি হচ্ছে তাতো নিজেরাই দেখতে পাচ্চেন! আর ভবিষ্যত যে আরো খারাপ তা কি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে? অতএব খুব খেয়াল!! খাল কেটে কুমির আনছেন না তো?
যাক এবার আসা যাক মূল কথায়। নীতিহীন সাংবাদিকতাকে বলা হয় হলুদ সাংবাদিকতা।
কিন্তু হলুদ সাংবাদিকরা কিন্তু কালো হরফেই লেখা ছাপান। কালিটা হলুদ হলে ভাল মানানসই হোত। দয়া করে বলতে পারেন কোন রঙ্গের কাগজে হলুদ লেখা ভাল ছাপা হবে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।