একজনকে পাত্র হিসেবে দেখিয়ে আরেকজনের সঙ্গে বিয়ে দিতে গিয়ে ধরা পড়ে গেল বরপক্ষ। তায় আবার বরটি মানসিক ভারসাম্যহীন। মুহূর্তেই রীতিমতো যুদ্ধ লেগে গেল বরপক্ষ বনাম কনে পক্ষের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত মুচলেকা লিখে তবেই ছাড়া পেতে হল বরযাত্রীদের। গ্রামের মাতব্বরদের হস্তক্ষেপে থানা-পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়নি বিষয়টি।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের ফালাকাটার গোপনগর এলাকায়। জানা যায়, প্রায় পনেরদিন আগে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় জলপাইগুড়ির শিশিরতলা মোড়ের বাসিন্দা রমেশ সূত্রধরের। দু'পক্ষের সম্মতিতেই বিয়ের দিন ঠিক হয় ১৩ ডিসেম্বর, শুক্রবার।
বিয়ের দিন।
সানাই বাজছে। নিমন্ত্রিতরা আসতে শুরু করেছেন। যথাসময়ে বরপক্ষের আগমণ। আর তারপরই বিপত্তির শুরু। বরের অস্বাভাবিক আচরণে চারপাশে শুরু হয় ফিসফাস।
আচমকা বর নিজের মাথার চুল ছিঁড়তে শুরু করে দেন। সেইসঙ্গে বিকট চিৎকার। রহস্য উন্মোচিত হলো। দেখা গেল পাত্র হিসেবে যাকে দেখানো হয়েছিল তিনি অন্য কেউ। কনে পক্ষ ক্ষেপে গিয়ে বরযাত্রীদের অন্ধকার গোয়াল ঘরে আটকে রাখলেন।
খবর পেয়ে ছুটে আসেন পঞ্চায়েত সদস্য সানি গোপ, স্থানীয় ব্যবসায়ী অশোক দাস। তাদের মধ্যস্থতাতেই গণধোলাই থেকে বেঁচে গেলেন পাত্রপক্ষ। স্থির হয়, এই প্রতারণার জন্য তিন লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে পাত্রপক্ষকে। তিন লক্ষ টাকা দিয়ে, মুচলেকা লিখে এলাকা ছাড়েন বরপক্ষ। মুচলেকায় লেখানো হয়, কোনও মেয়ের ভবিষ্যত নষ্ট করতে গেলে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।