শুক্রবার রাজধানীর উত্তরায় নিজের বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, তাদের দল নির্বাচনে নেই। পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তিনি এবং দলের মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারই দলের মুখপাত্র। তারা ছাড়া আর কারো বক্তব্য গ্রহণযোগ্য হবে না।
সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকরা বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন শুরু করলে জিএম কাদের বলেন, “অনেক কিছু বলার ছিল। কিন্তু বলতে পারছি না।
আমাকে কোনো প্রশ্ন কোর না। সময়মত সব জানতে পারবে। ”
সংবাদ সম্মেলনে পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের ভাই কাদের বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে পার্টির অনেকেই নিজেদের মুখপাত্র দাবি করে কথা বললেও তারা সবাই দলীয় প্রধানের প্রতিনিধি নন।
“আমাদের দলের চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। যেহেতু তিনি সরাসরি কথা বলতে পারছেন না,তার নির্দেশনা অনুযায়ী জাতীয় পার্টির মুখপাত্র হিসেবে আমি এবং পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার ছাড়া আর কারো বক্তব্য গ্রহণযোগ্য হবে না।
”
নির্বাচনের বিষয়ে এরশাদ এখনো তার সিদ্ধান্তে অটল বলে জানান জিএম কাদের।
“চেয়ারম্যান বলেছেন, সবদল অংশগ্রহণ না করলে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে যাবে না। তিনি তার সিদ্ধান্তে অটল আছেন। আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি না। ”
জি এম কাদের বলেন,তারা নির্বাচন না করার জন্য মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলেও তা গ্রহণ করা হয়নি।
এরপরও তারা আর নির্বাচনে নেই। পদত্যাগ করায় তিনি এখন আর মন্ত্রীও নন।
“তোমরা দেখেছ, আমি আমার গাড়িতে পতাকা ব্যাবহার করি না। এখন প্রজ্ঞাপন জারি করে আনুষ্ঠানিকতা সারার দায়িত্ব সরকারের। ”
জিএম কাদেরের বাসার কাছে এ সময় পুলিশের দুটি গাড়ি উপস্থিত ছিল।
সংবাদ সম্মেলন শেষ হওয়ার পরপরই একটি ব্যানারবিহীন মিছিল জিএম কাদেরের বাসার সামনে বেশ কিছুক্ষণ স্লোগান দিয়ে চলে যায়।
এ সময় স্লোগান শোনা যায়- ‘রাজাকারের আস্তানা জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও। রাজাকারের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান। ’
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।