পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে দেশের প্রসার ঘটাতে অর্থনৈতিক কূটনীতিতে দক্ষতা বৃদ্ধির কথাও বলেছেন তারা।
শুক্রবার রাজধানীতে ‘বিশ্বায়ন ও বাণিজ্য: দক্ষিণ এশিয়ার সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক সম্মেলনে এসব কথা বলেন বক্তারা।
সম্মেলনে অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় খাত এখন তৈরি পোশাক শিল্প। শ্রমিকদের ন্যুনতম মজুরি এ খাতের সক্ষমতার প্রধান বিষয়।
“কিন্তু এ অবস্থায় বেশিদিন টিকে থাকা যাবে না।
ন্যুনতম মজুরি বাড়াতে হবে, উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে। এজন্য শ্রমিক পর্যায়ে শিক্ষা ও দক্ষতা বাড়াতে হবে। ”
সম্মেলন শেষে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, “রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আমাদের অর্থনৈতিক কূটনৈতিক সক্ষমতা কমে যাচ্ছে। ভারত, পাকিস্তান যেভাবে অর্থনৈতিক কুটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে, বাংলাদেশ সেভাবে পারছে না। আর এখনকার এই পরিস্থিতিতে আরো পিছিয়ে পড়ছে।
”
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে বিশ্ববাণিজ্যে এগোতে হলে দেশগুলোর মধ্যে অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য বাড়াতে হবে। এজন্য দরকার অশুল্ক বাধা দূর করা। ”
তিনি বলেন, “ভারত বাংলাদেশের সব পণ্য বিনা শুল্কে প্রবেশের সুবিধা দিলেও অশুল্ক বাধার কারণে সে সুযোগ কাজে লাগানো যাচ্ছে না। অথচ ভারত ৪০০ বিলিয়ন ডলার আমদানি করে। ”
এছাড়া উৎপাদন, সরবরাহ, কর্মদক্ষতা, অবকাঠামো উন্নয়ন করা গেলে দক্ষিণ এশিয়া একুশ শতকের পাওয়ার হাউজ হতে পারে।
এজন্য তিনি বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমারের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ স্থাপনের পরামর্শ দেন।
ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী মুজিবুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশের সামনে সেবা খাতের সম্প্রসারণের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগোনোর এখনই সময়। এজন্য অবশ্য গবেষণা করতে হবে।
মহাখালীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক ইন সেন্টারে সম্মেলনের আয়োজন করে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালেয়ের অর্থনীতি ও সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগ।
চার পর্বের দিনব্যাপী সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। এতে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা ১৪টি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (বিআইডিএস) মহাপরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী মূল পর্বের সঞ্চলনা করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।