কাদের মোল্লার ফাঁসি নিয়ে পাকিস্তান পার্লামেন্টে শোক প্রস্তাব আনায় পাকিস্তান দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-যুবকরা। জামায়াত এটাকে বলছে সহিংসতা। একই সঙ্গে বিএনপির বলা উচিত ছিল বাংলাদেশের উচ্চ আদালতের রায় সম্পর্কে পাকিস্তান পার্লামেন্টের মন্তব্য বাংলাদেশের জন্য অনভিপ্রেত। অনেক কিছু নিয়ে সমঝোতা হয় কিন্তু রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের বিষয়ে সমঝোতার সুযোগ নেই। বিএনপিকে বক্তব্য দিতেই হবে।
না দিলে তার প্রতিক্রিয়া বিএনপির মধ্যেই হবে। তাই বিএনপির সামনে এটা একটা অগি্নপরীক্ষা- তারা কি বাংলাদেশপন্থি নাকি পাকিস্তানপন্থি। শুক্রবার সময় টেলিভিশনের টকশো 'সম্পাদকীয়'-তে সমাজবিজ্ঞানী, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস, বাংলাদেশের অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান এ কথা বলেন। মোরশেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ ও বৈশাখী টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে সলিমুল্লাহ খান বলেন, এই প্রথম ইইউর কোনো রাষ্ট্রদূত বিজয় দিবসে স্মৃতিসৌধে যাননি।
তারা অজুহাত দিয়েছেন মিটিংয়ের। প্রশ্ন হচ্ছে, মিটিংয়ের সময়টা তারা ওই সময়ই নির্ধারণ করলেন কেন? এটাও একটা কূটনৈতিক কৌশল। তারা আসতে চাননি। যুদ্ধাপরাধ বিচারের রায়ে তারা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, দশম সংসদ নির্বাচন নিয়ে সরকারই অস্বস্তিতে আছে।
সরকার যদি নিজেকে সমস্যাগ্রস্ত মনে না করত তাহলে প্রধানমন্ত্রী কি বলতেন যে 'সমঝোতা হলে আমরা একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে কথা বলব'! এতে বোঝা যাচ্ছে সরকারের ভেতরেই এ বিষয়ে অস্বস্তি আছে। সলিমুল্লাহ খান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনেক বিষয়ই আমি বলব রিয়েলিস্টিক। উনি বললেন, একটা নির্বাচনে দেশের প্রধান বিরোধী দল অংশগ্রহণ না করলে অস্বস্তি থাকবেই। তার আরেকটা প্রকাশ হলো ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন তাদের পর্যবেক্ষক পাঠাবে না। এগুলো ইঙ্গিত।
অর্থাৎ এ নির্বাচনের ব্যাপারে সম্পূর্ণ স্বস্তি নেই। অন্যদিকে বিরোধী দল মনস্থির করতে পারছে না তারা কোন রাজনীতিটা করবে। তাদের দুটো রাজনীতি আছে। একটা নির্বাচনের রাজনীতি। আরেকটা বিপ্লবের বা সন্ত্রাসের রাজনীতি।
আপাতদৃষ্টিতে নির্বাচন না করার বিষয়টাই এগিয়ে আছে বলে মনে হচ্ছে। তবে তারা অনেক দূর ছাড় দিয়ে এসেছে। তাদের প্রথম দাবি ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এখন সে দাবিতে তারা অনড় নেই। এরপর এলো নির্দলীয় সরকারের দাবিতে।
শেষ পর্যন্ত যা জানতে পেরেছি তা হলো বর্তমান প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে তারা নির্বাচনে আসবে। এটা অত্যন্ত চরম দাবি। সলিমুল্লাহ খান বলেন, বিরোধী দল এখনো স্থির করতে পারেনি তারা নির্বাচনে অংশ নেবে কি না। যদিও এখন সময় শেষ হয়ে গেছে বলা যায়। এর পরও প্রধানমন্ত্রী যেহেতু সদিচ্ছা ব্যক্ত করেছেন যে 'দরকার হলে আমি এই সংসদ ভেঙে দেব'।
তাহলে আমাদের তর্ক করার কিছু থাকে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।