চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণার পরদিন শুক্রবার ঢাকায় এক সংবাদ ব্রিফিঙে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই প্রতিক্রিয়া দেন। দলের পক্ষে এটিই প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া।
তিনি বলেন, “এই রায় প্রহসনমূলক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিএনপিকে ফাঁসাতে এবং হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এটি সরকারের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে আমরা মনে করি। ”
২০০৪ সালে চট্টগ্রামের সিইউএফএল জেটিঘাটে ওই অস্ত্রের চালান আটকের ঘটনায় সম্পৃক্ততার দায়ে জামায়াতে ইসলামীর আমির ও তখনকার জোট সরকারের শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী এবং তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বিএনপি নেতা লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৪ আসামির ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত।
চালান আটকে যাওয়ার পর তখনকার প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ‘নিরবতা ও নির্লিপ্ততার’ কথাও উঠে এসেছে রায়ের পর্যবেক্ষণে।
বিএনপির প্রধান শরিক জামায়াতে ইসলামী বৃহস্পতিবারই এক বিবৃতিতে এ রায়কে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে দাবি করেছে জামায়াতে ইসলামী।
শুক্রবার সকালে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে রিজভী বলেন, “যারা দশ ট্রাক অস্ত্র ধরলো, তাদেরই শাস্তি দেয়া হলো। ”
নাশকতার মামলায় বৃহস্পতিবার জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর এটাই রিজভীর প্রথম সংবাদ ব্রিফিং। গত ২৯ নভেম্বর বিএনপি কার্যালয় থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করেছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব দলীয় কার্যালয়ে এসে পৌঁছালে দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপনসহ নেতৃবৃন্দ ফুল দিয়ে তাকে স্বাগত জানান।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।