আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চিয়ার ল্যান্ডিং খেলা

চিত্ত-বিনোদনের জন্য খেলাধুলা করা হলেও এমন কিছু খেলা রয়েছে যেসব খেলায় মৃত্যুঝুঁকি বেশি। বলা যায়, বিনোদন লাভের জন্য নিজের জীবনকে বিপদের মুখোমুখি করাই এসব খেলার মূল লক্ষ্য বলে প্রতীয়মান হয়। প্রায়শ এসব খেলা খেলতে গিয়ে প্রাণ হারান খেলোয়াড়রা। এমনই একটি খেলা কেইভ ডাইবিং। সমুদ্রের অতলে লাফ দিয়ে ফাঁপা গুহায় বেরিয়ে আসার খেলা এটি।

যেখানে আলো নেই, বিষাক্ত প্রাণী আর অঙ্েিজন স্বল্পতা। সান মারকোসের রিকভারি টিমের রিপোর্টের মতে, ১৯৬০ সাল থেকে এই খেলায় প্রায় পাঁচশ'রও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ খেলায় ঝুঁকি এত বেশি যে, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি থাকার পরও, অভিজ্ঞতা এখানে কোনো কাজেই লাগে না।

এরপরই রয়েছে চিয়ার ল্যান্ডিং। এ খেলায় ইনজুরি আক্রান্ত খেলোয়াড়ের সংখ্যাই বেশি।

বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এ খেলায় খেলোয়াড়দের হাত-পা, বুকের হাড় ভেঙে থাকে। তবু এই খেলায় অংশগ্রহণ কমছে না। চিয়ার ল্যান্ডিং মূলত আকাশ থেকে ঝাঁপ দেওয়া। খেলোয়াড়রা উপর থেকে ল্যান্ড করছেন, সোজা শক্ত মাটিতে। নতুন এ খেলাটি খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

বুলরানিং একটি ভয়ঙ্কর খেলা। খেলাটি মূলত স্পেনেই সবচেয়ে জনপ্রিয়। প্রতি বছর ২০০-৩০০ লোক এই খেলায় আঘাতপ্রাপ্ত হন। তার পরও প্রতি বছর লাখ লাখ টুরিস্ট এ খেলায় যোগ দেন। পাগলা ষাঁড় রাস্তায় ছেড়ে সবাই আগে আগে ছুটতে থাকে।

ষাঁড়ের সামনে পড়া মানেই ভয়ানক গুঁতো খাওয়া। এ খেলারই অন্যরকম সংস্করণ বুল রাইডিং বা পাগলা ষাঁড়ের পিঠে চড়া। যে প্রতিযোগী যত বেশি সময় ষাঁড়ের পিঠে চড়ে বসে থাকতে পারে সেই বিজয়ী হয়। প্রায়ই খেলোয়াড়রা ষাঁড়ের পায়ের নিচে পড়ে যায় আর ষাঁড়ের শিং, ক্ষুর ও তার বিশাল দেহ দিয়ে প্রতিযোগীকে গুঁতো দিয়ে বা আঘাত করে মেরে ফেলতে উদ্যত হয়।

এরপরই আসে বিগ ওয়েভ সার্ফিংয়ের কথা।

উঁচু উঁচু ঢেউ এসে যখন প্রতিযোগীকে পানির নিচে টেনে নিয়ে যেতে চায় তখন প্রতিযোগীকে তার সার্ফিং বোট দিয়ে দুরন্ত গতিতে ছুটে যেতে হয়। পানির তলদেশে যেখানে পানির চাপ প্রতি ঘণ্টায় ১০০ কি.মি সেখানে গিয়ে পড়লে নিশ্চিত মৃত্যু ছাড়া আর গতি নেই। এরপর আসে ফ্রি হ্যান্ড ক্লাইম্বিং বা খালি হাতে পাহাড়ে চড়া। খালি হাতে পাহাড়ে চড়তে গিয়ে বহু মানুষ প্রতি বছরই মৃত্যুবরণ করেন। শুধু একটি সেফটি রোপ বা নিরাপদ দড়ি ছাড়া পর্বত আরোহণকারীর কাছে আর কিছুই থাকে না।

হাত ফসকে গেলেই নিশ্চিত মৃত্যু।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।